ইংল্যান্ড না আসায় সাকিব-মোস্তাফিজের আইপিএল ভাগ্য খুলছে

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় গত ৪ মে আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা আসে। স্থগিত হওয়া এই টুর্নামেন্টটির বাকি অংশ আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ওই সময় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড সফর স্থগিত করায় বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের সামনে সুযোগ এসেছে আইপিএলে অংশ নেওয়ার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, অনাপত্তিপত্রের আবেদন করলে তাদের আইপিএলে খেলার অনুমতি দেবে বোর্ড।
বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড সিরিজ হলে সাকিব ও মোস্তাফিজ খেলার সুযোগ পেতো না। এখন যেহেতু সিরিজটি হচ্ছে না, যদি তারা আবেদন করে আমরা অনাপত্তিপত্র দেবো। মনে হচ্ছে না এতো দ্রুত সময়ে আন্তর্জাতিক কোনও সিরিজ আয়োজন করা যাবে। ফলে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ আছে।’
আইপিএল খেললেও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলা হচ্ছে না সাকিবের। আগামী ২৬ আগস্ট থেকে ১৫ সপ্টেম্বর হবে সিপিএল। কিন্তু ওই সময় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ আছে। তাই সাকিবের ওই টুর্নামেন্ট খেলার কোনও সুযোগ নেই।
গত ৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল আইপিএলের ১৪তম আসর। করোনার কারণে স্থগিত হওয়ার আগে শেষ হয়েছে ২৯ ম্যাচ। ৩০তম ম্যাচে এসে হানা দেয় করোনা, যে কারণে স্থগিত হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচ। সে পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা চেন্নাই ২ পয়েন্টে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে বেঙ্গালুরুর সমান পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে তারা।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থগিত হওয়া আইপিএলের ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে। তিন সপ্তাহের মধ্যেই বাকি ৩১ ম্যাচ শেষ করতে চায় বিসিসিআই। ১৫ অক্টেবর হবে প্রতিযোগিতার ফাইনাল। এই আসরে সাকিব খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। মোস্তাফিজুর রহমানের দল রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএলে কলকাতার হয়ে সাকিবের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে সাকিব করেছেন ৩৮ রান, আর বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট। অন্যদিকে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স ভালোই ছিল। ৭ ম্যাচ খেলে তার উইকেট সংখ্যা ৮টি।