নিজস্ব প্রতিনিধি, আলীকদম
বান্দরবানের আলীকদমে পল্লিসঞ্চয় ব্যাংক ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অফিস থেকে ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে নৈশপ্রহরী উসাই সুই মারমা। অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ওই নৈশপ্রহরী ও মাঠসহায়ক সাইদুল হাসান গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় আলীকদম সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ২২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করে। টাকা নিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ফেরার পথে সাইদুল হাসান মাঝপথে নিজের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে নেমে যায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে উসাই সুই মারমা সম্পুর্ণ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। প্রশ্ন উঠেছে, মাঠসহায়ক সাইদুল হাসান, হিসাবরক্ষক মো. শরিফ কিংবা ব্যাংক সমন্বয়ক ফেরদৌসি আক্তার এ ঘটনার সাথে কতটা জড়িত?
২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল নিয়োগপত্রমূলে নৈশপ্রহরী উসাই সুই মারমা, লামার তুলাতলী পাড়া, চিংনু মং মারমার ছেলে কাজে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকে সে পল্লিসঞ্চয় ব্যাংক আলীকদম শাখায় কর্মরত ছিল। দায়িত্ব পালনকালে সে বিভিন্ন সময়ে পল্লিসঞ্চয় ব্যাংকের টাকা উত্তোলন করতো বলে জানান সোনালী ব্যাংক আলীকদম শাখার ব্যাবস্থাপক মো. গিয়াস উদ্দিন। সোনালী ব্যাংক আলীকদম শাখার তথ্যমতে, ২২ জুলাই পল্লিসঞ্চয় ব্যাংক, আলীকদম উপজেলা সমন্বয়ক ফেরদৌসি আক্তার স্বাক্ষরিত চাহিদাপত্রমূলে ২৩ লক্ষ টাকা উত্তোলন করার কথা।
কিন্তু ঘটনার দিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকার একটি চেক নিয়ে ব্যাংকে আসে পল্লিসঞ্চয় ব্যাংক শাখার নৈশপ্রহরী উসাই সুই মারমা ও মাঠসহায়ক সাইদুল হাসান। চেকের অপর পৃষ্ঠায় পল্লিসঞ্চয় ব্যাংকের উপজেলা সমন্বয়ক ফেরদৌসি আক্তার ‘এই টাকা বাহককে দেওয়া যেতে পারে’ বলে সিল ও স্বাক্ষর দেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পল্লিসঞ্চয় ব্যাংকের সমন্বয়ক ফেরদৌসি আক্তার দীর্ঘদিন ধরে নৈশপ্রহরী উসাই সুই মারমা ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত মাঠসহায়কদের দিয়ে টাকা উত্তোলন এবং ব্যাংকের সকল প্রকার কাজ করিয়ে আসছেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে বিকেল ৫টা অবধি কোনো প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লিসঞ্চয় ব্যাংক আলীকদম শাখার সমন্বয়ক ফেরদৌসি আক্তার সাংবাদিকদের সকল প্রশ্ন এড়িয়ে যান। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো প্রকার মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়নি বলে জনিয়েছেন আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী রকিব উদ্দিন।