সুপ্রভাত ডেস্ক »
এই প্রথম আরব বিশ্বে প্রধানমন্ত্রীর পদ পেলেন কোনো নারী। কিন্তু তিউনিশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অনেকেই পাপেট বলে মনে করছেন।
রাজনীতির সঙ্গে তার বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। ৬৩ বছরের এই নারী তিউনিশিয়ায় ন্যাশনাল স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে জিয়োলজির অধ্যাপিকা ছিলেন। পরবর্তীকালে উচ্চশিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণা মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টরও ছিলেন। বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গেও বহু কাজ করেছেন। কিন্তু কখনো সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নেননি তিউনিশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী নাজলা বাউদেন রমধান। দেশের প্রেসিডেন্ট কাইস সইদ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গদিচ্যূত করে রমধানকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
এর আগে আরব বিশ্ব কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী পায়নি। সেই দিক থেকে রমধানের দায়িত্ব ঐতিহাসিক। কিন্তু কেন তাকে শিক্ষাজগত থেকে রাজনীতিতে তুলে আনা হলো, আদৌ তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশের একাংশের মানুষ প্রেসিডেন্টের এই কাজকে স্বাগত জানালেও অনেকেই বলছেন, রমধান আসলে পুতুল প্রধানমন্ত্রী। বকলমে চূড়ান্ত ক্ষমতা ভোগ করবেন প্রেসিডেন্ট। সে কারণেই এ কাজ তিনি করেছেন।
মাত্র দুইমাস আগে ক্ষমতায় এসেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এসেই পুরনো প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভেঙে দিয়েছেন মন্ত্রিসভাও। রমধানকে দ্রুত নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রমধানের কথা ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট বলেন, এ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এই প্রথম কোনো নারী এই পদে এলেন। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।
বস্তুত, আরব বিশ্বে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পেয়ে অনেকেই উচ্ছ্বসিত। কিন্তু একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। নতুন পদ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রমধান। প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দুইজনে মিলে নতুন করে তিউনিশিয়াকে গড়ে তুলবেন তারা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে