চসিকের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম
‘ভরাট হয়ে যাওয়া আযব বাহার খালে চলছে শাক-সবজি চাষ’ এই সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁর একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম সংশ্লিষ্ট এলাকা দেখতে যান। তিনি পরিচ্ছন্ন বিভাগ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে গতকাল শনিবার সকালে আযব বাহার খালের স্তূপীকৃত ময়লা আবর্জনা অবমুক্তকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ কার্যক্রম প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলের মাধ্যমে তদারকি করেন।
তিনি বলেন, এলাকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পানি চলাচলের পথগুলোকে বাধামুক্ত করতে পারলেই আমাদের কোন সংক্রমণ রোগ ব্যাধি স্পর্শ করতে পারবে না। নিজেদের উদ্যোগেই নিজের আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং নালা-নর্দমাকে আবর্জনা ও বর্জ্য মুক্ত রাখতে হবে। বার বার এ নির্দেশনা দেয়ার পরও যারা তা আমলে আনছেন না, তাদের আবারও সতর্ক করা হচ্ছে খাল-নালা-নর্দমায় ময়লা আবর্জনা না ফেরার জন্য, অন্যথায় সিটি করপোরেশন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রশাসক আরো বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। একে প্রতিহত করতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন বিকল্প নেই। এই নিবেদন আমার ব্যক্তিক নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষার মানবিক আবেদন। এই আবেদনে সবাই সাড়া দেবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।
চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আযব বাহার খাল হতে প্রায় শতটন ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা হয়। এতে খালের পানি চলাচলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে এবং মশার প্রজনন কেন্দ্র ধ্বংস হওয়াসহ পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
এ সময় সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা, পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজার সিদ্দিকুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।