সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
শনিবার রাতে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে ১১৮ রানে বন্দী করে জয়ের সূবর্ণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতা ও ইংরেজ বোলারদের দাপটে তা ভেস্তে গেছে। চার দিন বিরতির পর আগামী ১০ অক্টোবর তৃতীয় ম্যাচে নিগার সুলতানা জ্যাতির দলকে লড়াই করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে। শারজা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ৮টায় এ ম্যাচ শুরু হবে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে ছিল।
এদিকে ইংল্যান্ডকে হারানোর এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপটা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে হয়তো অনেক কাল পোড়াবে। টি-২০ ফরম্যাটের বৈশ্বিক আসরেও ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার মাশুলটা লাল-সবুজের দলকে নিতে হয়েছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাওয়ার প্লেতে স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান তুলতে না পারাকেই দায়ী করলেন দলের অন্যতম সদস্য ফাহিমা খাতুন। টাইগ্রেস এই লেগব্রেক বোলার ব্যাটিং লাইনআপে উন্নতির সেই পুরনো কথাই শোনালেন। ইতিহাস গড়ার সুযোগ হাতছাড়ার বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করে নিয়ে ফাহিমার ভাষ্য, ‘আমি নিজের জায়গা থেকে তাই মনে করি। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় মনে করছে, খুব বড় সুযোগ ছিল। আসলে ইংল্যান্ড অনেক বড় একটা দল আমরা সবাই জানি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। আমি খুব আশাবাদী ছিলাম এবং দলের সবাই খুব আশাবাদী ছিল যে, আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি বলবো (ব্যাটিংয়ে) আমাদের শুরুটা অনেক ধীরগতির হয়েছিল। হ্যাঁ, আমরা সুযোগ হাতছাড়া করেছি।’ বাংলার মেয়েরা মাত্র ১১৯ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। ফলাফল ইংলিশদের কাছে ২১ রানের হার। ১২০ বলের মধ্যে ব্যাটাররা ৬৩টি ডট বল খেলে ঘটিয়েছে সর্বনাশ। প্রতিপক্ষের সঙ্গে অভিজ্ঞতার ব্যবধানকে পরাজয়ের কারণ বলার অবকাশ নেই। চমৎকার বোলিংয়ের পর এমন ব্যাটিং প্রদর্শনী ছিল চরম হতাশাজনক। ফাহিমা বলেন ‘বোলিং গ্রুপটা আসলেই দারুণ করেছিল। লক্ষ্যটা অবশ্যই তাড়া করা সম্ভব ছিল। পাওয়ার প্লেতে ঠিকঠাক খেলতে পারিনি। ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে পরিকল্পনায় আমাদের আরো উন্নতি করতে হবে। এটা খুবই বিপর্যস্ত ব্যাটিং ছিল।’ শারজা’র কন্ডিশন যে পুরোপুরি সহায়ক ছিল কিনা, এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিলেও ফাহিমা জানান, আউট ফিল্ড ছিল বেশ ধীরগতির। সেজন্য পরের ম্যাচগুলোতে পাওয়ার প্লেতে পর্যাপ্ত রান তোলার ব্যাপারে তিনি তাগিদ দেন। ‘আমি মনে করি সোবহানা মোস্তারি তার কাজটা ভালোই করেছিল। বলের লাইন অনুযায়ী সে ভালো শট খেলেছিল। অনেকগুলো বাউন্ডারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই রান হয়েছে। আউটফিল্ড অনেক ধীরগতির ছিল। পাওয়ার প্লেতে পর্যাপ্ত রান নিয়ে রোটেশনের কাজটা সেরে নিতে হবে। তাহলে কাজটা ব্যাটিং গ্রুপের জন্য সহজ হবে।’