কণ্ঠনীড়ের পূর্তি অনুষ্ঠান
‘করোনা একটা নতুন পৃথিবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো আমাদের। বৈশ্বিক এ মহামারী মানুষের মধ্যে ভিন্ন ভাবনার দ্বারও উন্মোচন করে দিয়েছে। মানুষ শিখে নিয়েছে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। কীভাবে মানুষ শতাব্দী ধরে টিকে আছে লড়াই করে।’
বাচিক শিল্পচর্চা কেন্দ্র কণ্ঠনীড়ের ৬বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে অতিথিরা এ কথা বলেন।
সীমিত পরিসরে এবং যথাযথ স্বাস্থবিধি মেনে প্রমা মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘আমরা করবো জয়’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা হীরার সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ, কথামালা ও আবৃত্তি দিয়ে জন্মদিনের আয়োজনে দীর্ঘদিন পর মঞ্চে ফিরলো কণ্ঠনীড়। সকল সংকট কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার সম্মিলিত কণ্ঠে উচ্চারিত হলো, ‘আমরা করব জয়’।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, কবি ও সংগঠক জিন্নাহ চৌধুরী, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী দেবাশীষ রুদ্র, সম্মিলিত আবৃত্তি জোট, চট্টগ্রামের সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী হাসান জাহাঙ্গীর, সম্মিলিত আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মাহাবুবুর রহমান মাহফুজ, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, মহানগরের সভাপতি সাজ্জাত হোসেন, বিভাস আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী শামীমা শীলা এবং এম শাহাদাত নবী খোকা।
রাশেদ হাসান বলেন, ‘একটি আবৃত্তি সংগঠন শুধুমাত্র সংগঠন নয়, এটি একটি পরিবার; যে পরিবারের সবাই একত্রিত থাকে সুখে-দুখে, সংকটে। এ পরিবারের সাথে যুক্ত থাকে দেশের সকল আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠকেরা’।
কবি জিন্নাহ চৌধুরী বলেন, ‘করোনাকালীন সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলো বাচিকশিল্পীরা। মানসিক অবসাদের ঘোর কাটাতে কবিতা ও তাঁর আবৃত্তি মানুষকে কিছুটা হলেও প্রফুল্ল করেছে।’ কণ্ঠনীড়ের সভাপতি সেলিম রেজা সাগর স্মৃতিচারণ করে বলেন , ‘শিল্পকলার বারান্দায় বসে কিছু স্বপ্নবান তরুণের কিছু করার ইচ্ছে থেকেই জন্ম নিয়েছে কণ্ঠনীড়।
অনুষ্ঠানে দীপান্বিতা চৌধুরী কবি স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর শুভ জন্মদিন, সামানজা নুরেন সুকুমার রায়ের ‘হাত গণনা’, শামীমা আক্তার কবি মাসুদ আলম বাবুলের ‘মানিনা’, তাজুল ইসলাম কবি আবু হেনা মোস্তাফা কামালের ‘ছবি’, জয়া রায় চৌধুরী কবি আর্যতীর্থের ‘বিকর্ণ’ কবিতা আবৃত্তি করেন। বিজ্ঞপ্তি