দীর্ঘদিন পর কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর, জম্মু ও কাশ্মীরকে একটি রাজ্য থেকে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর এই প্রথম বৈঠক। তাতে যোগ দেন আটটি দলের ১৪ জন নেতা। ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাও।
সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে আবার রাজ্য করা হবে। তবে সেটা করা হবে উপযুক্ত সময়ে। সেই উপযুক্ত সময়ের কোনো ব্যাখ্যা তিনি দেননি।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, কাশ্মীরের সঙ্গে দিল বা মনের দূরত্ব এবং দিল্লির দূরত্ব ঘোচাতে হবে। তিনি কাশ্মীরে নির্বাচনের কথা বলেন। তার জন্য ডিলিমিটেশন বা নির্বাচনকেন্দ্রের সীমানার পুনর্বিন্যাসের কথাও বলেন। তার পরেই নির্বাচিত সরকার হবে।
অমিত শাহ বলেছেন, তিনি সংসদেই জানিয়েছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেয়া হবে। তার জন্য ডিলিমিটেশন দরকার, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়া দরকার।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা বলেছেন, ডিলিমিটেশন কেন শুধু কাশ্মীরেই হবে? তিনি জানিয়েছেন, অনেক নেতাই বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে। দিল্লির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে রেখে বিধানসভা নির্বাচন করালে হবে না। আর প্রশাসনে কাশ্মীর ক্যাডার আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।
ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, কোনো দলই কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে খুশি নয়। অন্য রাজ্যে ডিলিমিটেশন হবে ২০২৬ সালে। কাশ্মীরে এখনই করার কথা বলা হচ্ছে। প্রায় সব রাজনৈতিক দলই জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীরে এখন ডিলিমিটেশন দরকার নেই। আগে কেন্দ্রীয় সরকার ও কাশ্মীরের মধ্যে আস্থা ফেরানো দরকার।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির বক্তব্য, তারা ৩৭০ ধারা চান এবং তার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই করবেন। তাতে কয়েক মাস লাগতে পারে, কয়েক বছরও লাগতে পারে। কিন্তু তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন।
কাশ্মীরের নেতাদের দাবি মেনে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেয়ার দাবি খতিয়ে দেখতে একটা কমিটি করবেন লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। কমিটি বন্দিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে