নিজস্ব প্রতিনিধি , আনোয়ারা
জন্মসনদে ১৩ দিন বেশি হওয়ায় জেএসসি পরীক্ষা নিবন্ধন করতে না পেরে আত্মহনন করে আনোয়ারা উপজেলার কৈনপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র দুর্জয় দাশ। এরআগে বিচারের দাবিতে গত শুক্রবার দুপুরে মানববন্ধন ও বিড়্গোভ করেছে স্থানীয়রা।
রবিবার দুপুরে এর প্রেড়্গিতে এক সপ্তাহ পর জরম্নরি সভার আয়োজন করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু চন্দ্র দেবনাথ, শ্রেণি শিক্ষক ও অফিস সহকারিকে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরসাথে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যালয়ের। সভা শেষে সড়কে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা বাবা ও দাদি। এসময় স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে বিড়্গোভ করে।
সূত্রে জানা যায়, একাধিকবার স্কুল ছাত্র দুর্জয় দাশ বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে না পেরে জেএসসি পরীক্ষার নিবন্ধন করতে না পারায় গত সোমবার (২৯ জুন) আত্মহনন করে। তার জন্মসনদে ১৩ দিন বেশি থাকায় কারণে জেএসসি পরীক্ষার নিবন্ধন করেনি বিদ্যালয়। জন্মসনদ সংশোধনের জন্য সংশিস্নষ্ট দপ্তরে ঘুরেও সুরাহা না পেয়ে অভিমানে নিজ বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিবন্ধনের বিষয়ে দুর্জয়কে বিদ্যালয় থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা করা হয়নি বলেও পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিড়্গোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
ঘটনা প্রবাহের প্রেড়্গিতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রঘুপতি সেনের নির্দেশে বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী সদস্য রফিক উলস্নাহকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ে অনুপসি’ত ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী সাত দিবসের মধ্যে তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
কৈনপুরা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রঘুপতি সেন সভা শেষে জানান, ঘটনার প্রেড়্গিতে বিদ্যালয়ে অনুপসি’ত ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রধান শিক্ষকসহ ৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু চন্দ দেবনাথ বহিষ্কারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।