সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ব্র্যাক বাংলাদেশের উন্নয়নে সরকারের সব কাজের অংশীদার। মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে ব্র্যাক স্বাধীনতার পর থেকে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে আসছে। নগরীর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাসযোগ্য আবাসন তৈরি করতে পারলে ব্র্যাকের অনেক কাজের মধ্যে বড় ধরনের সফলতা দৃশ্যমান হবে। তিনি চট্টগ্রাম নগরীকে একটি বাসযোগ্য, আধুনিক, নান্দনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বমহলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। তিনি নগরীর বস্তি এলাকায় বৈকালিক বিদ্যালয় ও ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা চালু করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মেয়র গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম প্রকল্পের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ রূপকল্প নির্ধারণে ব্র্যাকের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম¥দ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মোর্শেদ আলম, মো. মোবারক আলী, মো. শাহেদ ইকবাল (বাবু), শৈবাল দাশ সুমন, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, মো. ইসমাইল, মো. ওয়াসিম উদ্দীন চৌধুরী, জেসমিন পারভীন জেসি, নিলু নাগ, আনজুমান আরা, হুরে আরা বেগম, তছলিমা বেগম, শাহীন আকতার রোজী, সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর, ব্রাকের পক্ষে ইফতেখার হাসান, নজরুল ইসলাম মজুমদার ও এস এম মুনিরুজামান।
মেয়র নগরীতে নিম্ন আয়ের এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন তৈরির ক্ষেত্রে খাস জমির চাইতে পরিত্যক্ত সম্পত্তির উপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেন, নগরীর খাস জমি বন্দোবস্তি নিতে অনেক দীর্ঘসূত্রতা আছে, কিন্তু পরিত্যক্ত সম্পত্তির ক্ষেত্রে সেই ঝামেলা নেই তাই সরকার চাইলে বন্দোবস্তি দিতে পারে। তিনি প্রসঙ্গক্রমে বলেন, নগরীতে এমন অনেক পরিত্যক্ত সম্পত্তি আছে যেগুলো এমনিতে খালি পরে আছে। এই জায়গাগুলোর উপর কোন ধরনের তদারকি ছিল না বিধায় অবৈধভাবে বস্তি গড়ে উঠেছে। তিনি এসব জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ব্রাককে নিম্ন আয়ের ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন প্রকল্প হাতে নিতে আহ্বান জানান। সভার প্রারম্ভে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ভবিষ্যৎ রূপকল্প বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি