সুপ্রভাত ডেস্ক »
প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি ২১৬ কোটি ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা একক মাস হিসেবে আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে রেমিট্যান্স এসেছিলো প্রায় ২২০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এসেছিলো ১৫৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ সেই তুলনায় রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ বেড়েছে ৬০ কোটি ডলার। খবর অর্থসূচক।
সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারিসহ সবশেষ পাঁচ মাসের ইতিবাচক ধারায় রেমিটেন্স প্রবাহের গতি একটু একটু করে বাড়ছে। তবে চলতি অর্থবছরের শুরুতে পরিস্থিতি ছিল নাজুক। ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের পাঠানো আয় কমে যায়। প্রথম তিন মাসে নেতিবাচক ধারা দেখা গেছে রেমিটেন্সে, যা এখন আবার প্রবৃদ্ধির ঘরে গেছে।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে রেমিটেন্স এসেছিল ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, নানা চড়াই উৎড়াই শেষে প্রবৃদ্ধি হয় ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এমন অবস্থায় বৈধ উপায়ে দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে সরকার নগদ প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করে। পরে তফসিলি ব্যাংকও এর সঙ্গে আরও সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ পর্যন্ত যোগ করে প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে। রেমিটেন্স আকর্ষণে ডলারের বিনিময়মূল্য বাজারভিত্তিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পাশাপাশি রেমিটেন্স পাঠাতে অন্যান্য শর্তের কড়াকড়িও শিথিল করা হয়। চলতি অর্থবছর থেকে একদিনে যেকোনো অঙ্কের রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগও আসে। কাগজপত্র জমার বাধ্যবাধকতাও রাখা হয়নি।
এছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলের নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে চার্জ তুলে দেওয়া হয়। এত চেষ্টার পরও রেমিটেন্সে কাক্সিক্ষত হারে না বাড়ার জন্য ‘হুন্ডি ব্যবস্থাকে’ দায়ী করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদরা দায়ী করে আসছেন খোলাবাজার ও ব্যাংকের মধ্যে থাকা দরের বড় ব্যবধানকে। খোলাবাজারে ডলারের দর বেশি হওয়াকে।