নিজস্ব প্রতিবেদক »
আগামীর বন্দর বলে খ্যাত বে টার্মিনালের কাজ ২০২৫ এ শেষ হবে। যদিও এখনো এর কাজ শুরুই করা যায়নি। তবে আগামী বছর বে টার্মিনালের শুরুর কাজ নিয়ে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান।
গতকাল বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে বে-টার্মিনাল নির্মাণে তৈরি করা খসড়া মাস্টারপ্ল্যানের ওপর স্ট্যাক হোল্ডার, বন্দর ব্যবহারকারী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আশাবাদ করেন।
বিদেশি কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘কুনহুয়া’ ও ‘দাই’ এর তৈরি করা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে। ব্যবহারকারীদের মতামত পাওয়ার পর যাচাই শেষে সেগুলো মাস্টারপ্ল্যানে যুক্ত করা হবে।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বে টার্মিনাল নির্মাণ ঘিরে চট্টগ্রাম শহরে কোন জলাবদ্ধতার সুযোগ নেই, কারণ পরিকল্পনা সেভাবেই করা হয়েছে। একইসাথে বে টার্মিনাল নির্মাণ ঘিরে যাতে মৎস্যজীবীরা তাদের পেশা নিয়ে কোন ঝুঁকিতে না পরেন সেজন্য মাছ ধরার বোট চলাচলের জন্য খাল চওড়া করা এবং সাগর থেকে মাছ ধরে এনে রাখার জন্য ল্যান্ডিং স্টেশন রাখা হচ্ছে।
তবে এখনো প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ভূমি পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে ৬৮ একর ভূমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বাকি জমি দেয়ার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে একমত হয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও এই প্রকল্পের পরিচালক মীর জাহিদ হাসান বলেন, বে টার্মিনালের গাড়ি নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশের জন্য ফৌজদারহাট থেকে বে টার্মিনাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের সাথে একটি উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এসময় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিসি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপিং এজেন্ট ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বে-টার্মিনাল প্রকল্পে একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি নির্মাণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাকি দুটি টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হবে। বে-টার্মিনাল প্রকল্পে একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ টার্মিনালে জেটি থাকবে ছয়টি। তবে বে-টার্মিনালে মোট ১৩টি জেটি থাকবে। এ টার্মিনালে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি সুবিধা থাকবে। প্রকল্পের পূর্ব দিকে রয়েছে পোর্ট অ্যাকসেস রোড ও রেলপথ।