ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, বিশেষ একটি মুহূর্তে আওয়ামী লীগের জন্ম। পাকিস্তান সৃষ্টির সাথে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের অবজ্ঞা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দেখে সেদিন পূর্ব বাংলার জনগণকে বঙ্গবন্ধু বুঝাতে সক্ষম হন পশ্চিম পাকিস্তানিরা কখনোই আমাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা প্রদান ও আমাদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তিনি তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ৬দফা দিয়ে জাতিকে বৃহত্তর ঐক্যর পথে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, জন্মলগ্ন হতে বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার হাত ধরেই এদেশের সব অর্জন এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মে ও কর্মে সফল একটি দলের নাম। মানুষের চোখের ভাষা বুঝে রাজনীতি করে বলে এই দলটি সবসময় সফলতার পরিচয় দিয়েছে। জনগণ এখনো মনে করে এদেশ, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। জনগণের চাহিদা পূরণে জ্বালানি, শিল্প, শিক্ষা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের ফলে জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। এই আস্থার সাথে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি যোগ করতে হবে। তবেই দেশবিরোধী গোষ্ঠী মাথা চড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সংগ্রামে বিজয়ে গৌরবে ৭৩ বছর পার করেছে। এই উপমহাদেশে এই দলের বিশাল বিশাল অর্জন বিশ্বে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। যে অর্জনগুলো জনগণের অধিকার, উন্নয়ন ও মর্যাদার সাথে সম্পর্কিত। আওয়ামী লীগ টিকে থাকলে বাংলাদেশ ঠিকে থাকবে। দেশ শক্তিশালী হচ্ছে আওয়ামী লীগকেও শাক্তিশালী করে তুলতে হবে। ৭৩ বছরে এসে আওয়ামী লীগ এখনো তরুণ্যের উচ্ছ্বাস নিয়ে রাজনীতি করছে। আওয়ামী লীগের শেকড় জনগণের হৃদয়ে গাঁথা আছে তাই এ দলের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র সফল হয়নি, সফল হবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি এম এ সাইদ, এস এম আবুল কালাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিন, আবু সুফিয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোছলেহ উদ্দিন মনসুর, দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর, শিক্ষা সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, তথ্য সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, কৃষি সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ, ধর্ম সম্পাদক আবদুল হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, বন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার বড়–য়া,সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব সিআইপি, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম, কর্নফূলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, চন্দনাইশ পৌর মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা, দক্ষিণ জেলা সদস্য মোহাম্মদ মুছা, সৈয়দুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, ছিদ্দিক আহমদ বি.কম, মাহবুবুর রহমান শিবলী, এ কে আজাদ, সেলিম নবী, বিজন চক্রবর্ত্তী, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মো. গালিব, নুরুল হাকিম, ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম, আতিকুর রহমান চৌধুরী, সুরেশ দাশ, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রেহেনা ফেরদৌস, জান্নাত আরা মঞ্জু, খালেদা আক্তার চৌধুরী, পাপড়ী সুলতানা, জীবন আরা বেগম, নিলুফার জাহান, তাহমিনা আক্তার ফৌজিয়া, তামান্না সুলতানা, জান্নাতুল ফেরদৌস, মোমেনা আক্তার নয়ন, কোহিনুর মুন্নী, বানাজা বেগম, পারভীন আক্তার, সাজিয়া সুলতানা, জুসি রহমান, হাসিনা আক্তার চৌধুরী, রোকেয়া খান, শাহনাজ আক্তার, কামরুন নাহার, আয়েশা রুমী, মেহের আফরোজ সুমী, জগধা চৌধুরী সুপ্রিয়া, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের প্রমুখ।