চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পাচ্ছে। জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং তিনজন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিতিতে ভীত আওয়ামী লীগ সরকার। তাই তারা বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়ে বরকত উল্লাহ বুলুসহ অনেক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। তাদের এ কার্যকলাপ প্রমাণ করছে আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি।
তিনি গতকাল রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. শাহাদাত আরও বলেন, তারা অতীতেও একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখনো একই উদ্দেশ্যে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা সারা দেশে একই কায়দায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করছে। উসকানি দিয়ে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, বর্তমান সরকার সারাদেশের প্রশাসনকে প্রশাসন লীগ বানিয়ে রেখেছে। পুলিশ আর প্রশাসন লীগের সহযোগিতায় সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ভুলে গেছেন তিনি একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মী নন। এই দলবাজ জেলা প্রশাসকের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি