সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার জনকল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখি। অনেক বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।’
বাসস জানায়, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন সরকারপ্রধান।
বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট হিসেবে গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী ও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপের কথা সেখানে তুলে ধরেন দলের সভানেত্রী। খবর বিডিনিউজের।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। কারণ, আমরা কখনও অ্যাডহক ভিত্তিতে কোনো পরিকল্পনা নেইনি।
‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অক্ষুণœ রেখে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। সুনির্দিষ্ট ও দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে আমরা সবকিছু করেছি। পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমরা সবসময় দেশের জনগণের কল্যাণকে প্রাধান্য দিই।’
এ বছর মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শামসুল আলম, প্রয়াত লেফটেন্যান্ট এজি মোহাম্মদ খুরশীদ (মরণোত্তর), শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া (মরণোত্তর) এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।
‘সাহিত্য’ ক্যাটাগরিতে প্রয়াত মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন, মরণোত্তর) এবং ‘সাংস্কৃতিক’ ও ‘ক্রীড়া’ ক্যাটাগরিতে পবিত্র মোহন দে এবং এএসএম রকিবুল হাসান পুরস্কার পেয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ‘সমাজ সেবা/জনসেবা’ বিভাগে এবং ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’ ক্যাটাগরিতে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) এবং ফেরদৌসী কাদরী পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার।
গত ৯ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিজয়ীদের প্রত্যেককে একটি করে স্বর্ণপদক, একটি সার্টিফিকেট এবং সম্মানী চেক দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন পুরস্কার প্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেন।