সুপ্রভাত ডেস্ক :
প্রথম প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মিয়ানমার। সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা জানায়, প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে গণহত্যা থেকে রক্ষায় মিয়ানমার সরকার যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে তার বিশদ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
মুল বিচারকাজ শুরু হতে অনেকটা সময় লাগবে এমন বিবেচনায় নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গত জানুয়ারি মাসে রাখাইনের মুসলিমপ্রধান জনগোষ্ঠিকে নিরাপত্তা দিতে মিয়ানমারকে নির্দেশ দেয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য মিয়ানমার কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী চার মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে জমা দিতে হবে।
ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, শনিবার প্রতিবেদনটি আইসিজের কাছে পাঠানো হয়।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে আলজাজিরা জানায়, এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের কার্যালয়ের তিনটি নির্দেশনার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। তবে, প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে কি না তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বেসডর-অ্যাট-লার্জ ডেভিড শেফার জানান, প্রতিবেদনটি পাঠানোর আগেই মিয়ানমার এটিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেছে। মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আদেশ মানলেও তারা প্রতারণা বা অবহেলা ছাড়া সততার সঙ্গে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে কিনা সেটিও যাচাই করা উচিত।
গত বছরের ১১ নভেম্বর রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার