সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
করোনাভাইরাসে বিঘ্নিত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করেছেন পুরুষ ও নারী বিভাগের অন্যতম সফল ও শীর্ষ খেলোয়াড় রজার ফেদেরার ও সেরেনা উইলিয়ামস। টুর্নামেন্ট পরিচালক ক্রেইগ টিলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনার কারণে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বছরের প্রথম এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম। সব বাঁধা বিপত্তিকে পেছনে ফেলে এই আসরটিকে এর মধ্যেই ‘হ্যাপি স্ল্যাম’ এর তকমা দিয়ে দিয়েছেন টিলে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবাই যাতে এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে কয়েকটি দিন সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এখন সর্বাগ্রে সেই আশাই করা হচ্ছে।
দুই বিভাগের দুই শীর্ষ খেলোয়াড় নোভাক জকোভিচ ও এ্যাশলে বার্টির সঙ্গে সঙ্গে শীর্ষ সব খেলোয়াড়ই এখন এই আসরে খেলার জন্য এন্ট্রি নিশ্চিত করেছেন। হাঁটুর ইনজুরির কারণে চলতি বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় কোর্টের বাইরে থাকা সুইস তারকা ফেদেরারের খেলা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও এখন তা দুর হয়েছে। এর মধ্যেই তিনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনকে সামনে রেখে দুবাইয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন। মেলবোর্ন পার্কে সপ্তম শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে তিনি পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই কোর্টে নামতে চান।
আগামী বছর ফেদেরারের মত ৪০ বছরে পা রাখতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের তারকা সেরেনা উইলিয়ামসও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নিজেকে মেলে ধরার সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। নারী বিভাগে মার্গারেট কোর্টের ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম অর্জনের সর্বকালের সেরা রেকর্ড স্পর্শ করার জন্য আরো একবার উদগ্রীব হয়েই কোর্টে নামবেন সেরেনা, এমন ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে।
২০১৭ সালের তিনি সর্বশেষ এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মাধ্যমেই গ্র্যান্ড স্ল্যামের শিরোপা জিতেছিলেন। বিস্ময়রকর বিষয় হচ্ছে তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন।
উচ্ছ্বসিত টিলে বলেছেন, ২০২১ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সবাই খেলতে আসছে। সেরেনা অষ্টম শিরোপা ও নোভাক রেকর্ড নবম শিরোপার জন্য কোর্টে নামতে যাচ্ছেন। আমাদের নিজস্ব নাম্বার ওয়ান এ্যাশ বার্টি আবারো গ্র্যান্ড স্ল্যামে ফিরছেন। এদিকে হাঁটুর সমস্যা কাটিয়ে কোর্টে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছেন ফেদেরার।
করোনার কারণে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম আসরে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি থাকবে। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর পর সব খেলোয়াড়কে ১৪দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। ঐ সময় তাদের প্রতিনিয়ত কোভিড-১৯ পরীক্ষার মধ্যে থাকতে হবে। যদিও জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে তারা দিনে পাঁচ ঘণ্টা অনুশীলনের সুযোগ পাবে।
টিলে বলেন, অতীতের সব আসরের তুলনায় এবারের আয়োজন একেবারেই ভিন্ন বিধায় অংশগ্রহনকারী প্রত্যেকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব। আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে একটি নিরাপদ ও উপভোগ্য স্ল্যাম সবাইকে উপহার দেবার। এছাড়াও আবারো সমর্থকদের উপস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জনেরও সুযোগ পাচ্ছে খেলোয়াড়রা। এই বছরটি যা খেলোয়াড়রা দারুণভাবে মিস করেছে।
আগামী ১০-১৩ জানুয়ারি দোহা ও দুবাইয়ে পুরুষ ও নারী বিভাগের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে খেলোয়াড়রা বিশেষ চার্টাড প্লেনে ১৫ জানুয়ারি মেলবোর্নে পৌঁছানো শুরু করবে। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
খেলা