নিজস্ব প্রতিবেদক»
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে নগরীর প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা ছিল। প্রধান সড়কে বের হলেই পড়তে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশ্নের মুখে। তবে অলিগলিতে ছিল মানুষে ঠাসা।
গতকাল শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ ও সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তবে রাস্তায় রিকশা ছাড়া তেমন কোন যানবাহন চোখে পড়েনি। কিছু মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার বের হলেও চেকপোস্টে পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়ে ফিরে যেতে হয়েছে। নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। তবে অলিগলিগুলোতে জনসমাগম ছিল অনেক বেশি। শুক্রবার সকলের কর্মস্থল বন্ধ থাকায় অনেককেই জটলা করে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। অলিগলিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় খোলা রাখা হয়েছে সকল ধরনের দোকানপাঠ। তাছাড়া নগরীর কাঁচা বাজারগুলো ছিল মানুষে ঠাসা।
লকডাউন বাস্তবায়নে নগরে সেনাবাহিনীর ৬টি টিম, বিজিবি’র ৬টি টহল টিম কাজ করেছে। এছাড়াও মাঠে ছিল পুলিশ। জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।
নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় দেখা যায়, জনশূন্য এলাকায় কোন যানবাহন নেই। নেই সেই চিরচেন কোলাহল। কিছু রিকশা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও যাত্রী নেই। তবে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ভিড়। শুক্রবার সকালে অনেকে বাজার করতে এসেছে। জিইসি মোড় এলাকায়ও একই চিত্র বিদ্যমান ছিল। কিছুটা ফাঁকা ছিল আগ্রাবাদ মোড়। আন্দরকিল্লা, জামালখান মোড় ছিল নিরব।
তবে মোহাম্মদপুর প্রবেশে দেখা যায়, মানুষের ঢল নেমেছে। মোড়ে মোড়ে আড্ডায় মগ্ন যুবসমাজ। তাছাড়া অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বেশিরভাগ পথচারীর মাস্ক থাকলেও দোকানদারদের মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি।
এসময় পথচারী রহিম রহমান বলেন, ‘লকডাউন শুধু প্রধান সড়কে বাস্তবায়ন করলে তো হবে না। অলিগলিতে টহল বাড়াতে হবে। অনেকে অপ্রয়োজনে রাস্তাঘাটে আড্ডা দিচ্ছে। তাছাড়া করোনা মোকাবেলায় পরিবারের সকলকেও সচেতন হতে হবে।’
চকবাজারে বাজার করতে আসা আরিসা বলেন, ‘খুব প্রয়োজন হয়েছে তাই বাজার করতে এসেছি। কিন্তু মানুষজন যে হারে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করছে এতে করে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো কোনভাবে সম্ভব নয়।’
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পড়ে চলাফেরা নিশ্চিত করা গেলে করোনা সংক্রমণ অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তবে এক্ষেত্রে সকলকে সচেতন হতে হবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ