সুপ্রভাত ডেস্ক »
শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন তার আইনজীবী। আদালতে গিয়ে উল্টো দাবি করলেন, অভিযানের সময় মাদক পার্টি চলা সেই প্রমোদতরিতেই ছিলেন না আরিয়ান! তাই তার ওপর আরোপ করা অভিযোগ সত্য নয়।
আরিয়ানের নতুন আইনজীবী অমিত দেশাই আজ (১৩ অক্টোবর) আদালতের কাছে এই দাবি করেছেন। দুপুর থেকেই মুম্বাইয়ের কোর্টে চলেছে আরিয়ানের জামিন শুনানি।
অমিত দেশাই বলেন, ‘যখন অ্যান্টি ড্রাগস অফিসাররা অভিযান চালাচ্ছিল, তখন সেখানে ছিলেন না আরিয়ান। তাই তার ওপর আনা মাদক পাচারের অভিযোগ একবারেই উদ্ভট!’
অভিযান চালানো নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) সে সময় আদালতে জানায়, আরিয়ান তাদের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তিনি চরস খান। যা আরবাজ মার্চেন্টের কাছে পাওয়া গেছে।
এ সময় অমিত দেশাই বলেন, ‘আদালত জানেন, মানুষের কাছ থেকে জোর করে এমন স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়। আরিয়ানের ক্ষেত্রেও সেটা করা হতে পারে।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে এই আইনজীবী মুম্বাই আদালতকে বলেন, ‘তদন্তে ড্রাগ কেনাবেচার কথা বলা হলেও আরিয়ান খান যখন প্রমোদতরিতে গিয়েছিলেন তার কাছে কোনও নগদ টাকাই (ক্রেডিট কার্ড ছাড়া) ছিল না। তাই কেনা বা বেচার কোনও সুযোগ তার নেই।’
আজ (১৩ অক্টোবর) দুপুর থেকেই চলেছে শুনানি। এতে শাহরুখ বা গৌরি খান না এলেও উপস্থিত ছিলেন নায়কের ম্যানেজার। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় কোর্ট জানান, আগামীকালও চলবে জামিন শুনানি।
উল্লেখ্য, ২ অক্টোবর মুম্বাইয়ে গোয়াগামী প্রমোদতরি থেকে আটক হন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান।
জানা যায়, শাহরুখের ছেলেকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস)-আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পরোয়ানায় লেখা রয়েছে, ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি ও নগদ ১,৩৩,০০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরির টার্মিনালে।
এনসিবি সূত্রে খবর, শাহরুখপুত্রের সরঞ্জাম থেকেও মাদক উদ্ধার হয়েছে। তার লেন্স রাখার বাক্সে নেশাদ্রব্য পাওয়া গেছে। সেই পার্টিতে জামাকাপড়ের সেলাই, মেয়েদের ব্যাগের হাতলের মধ্যেও লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মাদক। আটকের আগে আরিয়ান চরস খেয়েছিলেন।