সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বিপিএলের এবারের আসরে একই দলে দেখা যাবে সাকিব আল হাসান এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। সরাসরি চুক্তিতে সাকিব এবং ম্যাথিউসকে দলে টেনেছে চিটাগং কিংস। এছাড়া সরাসরি চুক্তি এবং প্লেয়ার্স ড্রাফট মিলিয়ে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে বেশ ভালো দল গড়েছে চিটাগং। ২০২৩ বিশ্বকাপে টাইমড আউটের ঘটনার কথা নিশ্চিতভাবেই মনে আছে সকলের। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে লঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে টাইমড আউট করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তখনকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন করায় ম্যাথিউসকে আউট দিয়ে দেওয়া হয়। সেই ম্যাচের পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পরে টাইমড আউটের ঘটনাটি বেশ উত্তাপ ছড়ায়। পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের যুক্তি দেখাতে থাকেন বিশ্বের নানা প্রান্তের ক্রিকেটবোদ্ধারা। সেই থেকেই সাকিব এবং ম্যাথিউস যেন একে অপরের অলিখিত শত্রুই বনে যান ক্রিকেট দুনিয়ায়। যদিও তাদের মধ্যে কোনো ধরনের নেতিবাচক আচরণ কখনওই দেখা যায়নি। টাইমড আউট ঘটনার পরেও মাঠের খেলায় দুজনই ছিলেন যথেষ্ট পেশাদার। সবকিছু ঠিক থাকলে বিপিএলের আসন্ন মৌসুমে একই দলে খেলবেন সাকিব এবং ম্যাথিউস। সাকিব এবং ম্যাথিউস ছাড়াও বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে চিটাগং। জাতীয় দলের পরিচিত মুখ শরিফুল ইসলামকে সরাসরি চুক্তিতে দলে নিয়েছে চিটাগং। এছাড়া ড্রাফট থেকে দলে টেনেছে শামীম হোসেন পাটোয়ারী, পারভেজ হোসেন ইমনের মত যুব বিশ্বকাপজয়ী তারকাদের। বিদেশিদের মধ্যে মঈন আলী বিপিএল এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের পরিচিত মুখ। এছাড়া উসমান খানের বিপিএলে সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তিও রয়েছে। হায়দার আলী, বিনুরা ফার্নান্দো, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রদেরও ড্রাফটের আগেই দলে নিয়েছে চিটাগং। সরাসরি চুক্তিতে সাকিবকে দলে নিয়েছে চিটাগং। ড্রাফট থেকে বিদেশিদের মধ্যে গ্রাহাম ক্লার্ক এবং থমাস ও’কনলকে দলে নিয়েছে চিটাগং কিংস। এছাড়া দেশিদের মধ্যে শামীম-ইমন ছাড়াও চিটাগংয়ের ডেরায় রয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন, খালেদ আহমেদ, মার্শাল আইয়ুব, নাঈম ইসলামের মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। বিপিএলের সর্বশেষ আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আলো ছড়ানো আলিস আল ইসলামকেও দলে নিয়েছে চিটাগং। মাত্রই যুব বিশ্বকাপ খেলে আসা মারুফ মৃধা, শেখ পারভেজ জীবনদেরও দলে নিয়েছে চিটাগং কিংস। দলের যা অবস্থা তাতে ওপেনিংয়ে উসমান খানকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। উসমানের সঙ্গী হতে পারেন মোহাম্মদ মিঠুন অথবা পারভেজ হোসেন ইমন। মিডল অর্ডারটা দারুণ শক্তপোক্ত চিটাগংয়ের। সাকিব, ম্যাথিউসদের সাথে মঈন আলী, হায়দার আলীরাও থাকছেন। ফিনিশিংয়ে নিশ্চিতভাবেই বড় দায়িত্ব থাকবে শামীম পাটোয়ারীর কাঁধে। পেস ইউনিটে চিটাগংয়ের দেশি ক্রিকেটাররা পরীক্ষিত নাম। শরিফুল, খালেদরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। মারুফ মৃধা মাত্রই খেলে এসেছেন যুব বিশ্বকাপ। সেখানেও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। স্পিন ইউনিটে রহস্যের জাল বিছিয়ে উইকেট শিকারের জন্য প্রস্তুত থাকবেন আলিস আল হাসান। দলের অধিনায়ক হিসেবে সাকিব বা মিঠুনের থাকার সম্ভাবনাই আপাতদৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি। তবে এখনও আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। সব মিলিয়ে একদম তারকায় ঠাসা না হলেও চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেওয়ার মত দল গড়েছে চিটাগং কিংস। একনজরে চিটাগং কিংস স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান, শরিফুল ইসলাম, মঈন আলী, উসমান খান, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, হায়দার আলী, বিনুরা ফার্নান্দো, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, পারভেজ হোসেন ইমন, খালেদ আহমেদ, আলিস আল ইসলাম, গ্রাহাম ক্লার্ক, থমাস ও’কনল, মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম ইসলাম, মারুফ মৃধা, রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদ, শেখ পারভেজ জীবন, মার্শাল আইয়ুব। সূত্র- বিডিক্রিকটাইম