সুপ্রভাত ডেস্ক »
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এসব টিকা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা।
টিকা আনার জন্য জন্য ত্রিপক্ষীয় যে চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তির আওতায় কেনা টিকার অংশ হিসেবে এসব টিকা এসেছে।
পরের চালান কবে আসবে তা এখনও জানা যায়নি।
এ বছর ২৫ মার্চ কোভিড মহামারী পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটলে ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে নানান চেষ্টা ও আলোচনা চললেও সেরাম ইনন্সিটিউট থেকে আর টিকা পায়নি বাংলাদেশ।
এর আগে ২৬ মার্চ দেশটি থেকে সর্বশেষ ১২ লাখ ডোজ টিকার চালান এসেছিল। এ নিয়ে প্রায় সাড়ে সাত মাস পর আবার ভারত থেকে কোভিশিল্ডের টিকা এল।
প্রতিবেশি দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ডের ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ।
চুক্তি অনুযায়ী, এ বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে সরকারের কেনা টিকার ৫০ লাখ ডোজ, ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে টিকা আসে ২০ লাখ ডোজ।
এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ।
টিকার প্রথম চালান আসার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর ভারতে করোনাভাইরাস মহামারী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার।
ফলে সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়।
সূত্র : বিডিনিউজ