অধ্যাদেশ পর্যালোচনা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনকারীরা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ পর্যালোচনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সঙ্গে সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের বৈঠক শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বেলা পৌনে ৩টায় সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের মধ্যে নুরুল ইসলাম, বাদীউল কবিরসহ নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবারও বিক্ষোভ করেন তারা। এদিন সচিবালয়ে বিজিবি, বিশেষ অস্ত্র ও কৌশল (সোয়াট) ইউনিট এবং বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।

তীব্র আন্দোলনের মধ্যে মঙ্গলবার ভূমি সচিবকে প্রধান করে সাত সচিবের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে সরকার।

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। অধ্যাদেশটিতে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান শিরোনামে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে সরকারি কোনো কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হোন, যার কারণে অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে আনুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হোন, অন্য যে কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন, যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।