অধিকাংশ কারখানা বেতন দিলেও বোনাস হয়নি

চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক »

একদিন বাদেই বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। কিন্ত এখনও অনেক পোশাক কারখানায় বেতন দেওয়া হলেও বোনাস দেওয়া হয়নি। আবার কিছু কারখানায় বেতন-বোনাস দুটোয় দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সূত্রমতে, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৪৭০টি পোশাক কারখানা রয়েছে। এরমধ্যে বিজিএমইএর তালিকাভুক্ত ৯১, বিকেএমইএর ১৪০টি কারখানা আছে।

বাকিগুলো চুক্তিভিক্তিকভাবে পরিচালনা করছে মাঝারি ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান। সব প্রতিষ্ঠানকে ২০ রোজার মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া হলে এখনও দুটোই দিতে পারেনি ২৭০টি কারখানা। এছাড়া ৯৭০টি কারখানা বেতন দিলেও বোনাস দিতে পারেনি।

এ নিয়ে কথা হয় পোশাক কারখানা মালিক ও বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটির আগে বেতন-বোনাস পরিশোধের চেষ্টা করছে কারখানা মালিকরা। তবে বেশকিছু কারখানা মালিকরা বায়ারের টাকা না পাওয়ায় দিতে দেরি করছেন। এটা নিয়ে অবশ্য বিজিএমইএসহ কাজ করছে। ব্যাংক লোন নিয়ে বেতন-বোনাস পরিশোধ করার চেষ্টা করছেন।

একই প্রসঙ্গে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতেই হবে। অধিকাংশ কারখানা মালিকরা আর্থিক সংকটে আছে। এজন্য ব্যাংক লোন নিয়ে হলেও শ্রমিকদের ঈদ আনন্দ ঠিক রাখতে বিজিএমইএ কাজ করছে। আশা করছি, শ্রমিকরা ২০ তারিখের মধ্যে তাদের প্রাপ্য পেয়ে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে চিন্তায় আছি। লোডশেডিংয়ের কারণে কারখানা পুরো সময় ধরে চলছে না। আমরা ফ্যাক্টরি চালু রাখতে না পারায় শ্রমিকরা ওভারটাইম পাচ্ছে না।’

পোশাকের ক্রয়াদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ক্রয়াদেশ অনেক কম। এর একমাত্র কারণ হলো বৈশ্বিক মন্দা। কিন্তু এ অর্থনীতি স্বাভাবিকভাবেই ঘুরে দাঁড়াবে। তখন প্রচুর অর্ডার আসবে।’

তিনি আরও বলেন, যে অর্ডারগুলো আছে, সেগুলো ঠিক রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এজন্য গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। আমরা বিল বেশি দিতে রাজি। লোডশেডিংয়ের কারণে শ্রমিকরা নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে পারছে না।’

শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা প্রসঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম বিতরণ দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে।

তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘আমাদের উৎপাদন অনুযায়ী চাহিদা বেশি। চাহিদার জোগান দিতে আমরা লোডশেডিং করে সাপ্লাই দিচ্ছি। আর শিল্প-কারখানাগুলো তো এক জায়গায় নয়। তাই তাদের জন্য আলাদা কিছু করার সুযোগ নেই।’