মতবিনিময়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম বলেছেন, নগরবাসীর ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে না। করদাতাদের বুঝাতে হবে যে, বিগত ২০০৯ সালে কর পুনঃমূল্যায়ন করা হয়েছে, তারপর আর পৌরকর মূল্যায়ন করা হয়নি। বর্তমানে সরকারি নির্দেশনার আলোকে সিটি করপোরেশন ২০১৭ সালের মূল্যায়নের আলোকে কর আরোপে বাধ্য হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন করদাতা সংক্ষুদ্ধ হলে, পূর্বের কর পরিশোধ করে আপিল করলে করদাতার সামর্থ অনুযায়ী সর্বোচ্চ সহনীয় পর্যায়ে কর পুনঃনির্ধারণ করা হবে। তিনি করদাতাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করার জন্য কর আদায়কারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
গতকাল রোববার বিকালে চসিকের গৃহকর সংক্রান্ত আপিল ও কর আদায় সুসংহত করার লক্ষ্যে রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা ও কর আদায়কারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। এতে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব সার্কেলের কর কর্মকর্তা, উপ কর কর্মকর্তা ও কর আদায়কারীগণ।
সভাপতির বক্তব্যে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম কর আদায়কারীদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা হলেন এই প্রতিষ্ঠানের হৃৎপিণ্ড। আপনাদের উপরই নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও দুর্নাম। তিনি বলেন, কর দাতাদের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলে তাদের মন জয় করে কর আদায় নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক সার্কেলে সহজভাবে আপিল করার সুবিধা সৃষ্টির জন্য আপিল হেল্প ডেস্ক খুলতে হবে। তিনি বলেন, বিশাল এই প্রতিষ্ঠানের একমাত্র আয়ের পথ পৌরকর। এটা আদায় করতে গিয়ে কোন করদাতা যদি হয়রানি বা অনৈতিক অর্থ আদায়ের শিকার হন, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর আদায়কারীকে নিশ্চিতভাবে শাস্তি পেতে হবে মর্মে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি আন্তরিকতার সাথে কর আদায়ে মনোনিবেশ করার জন্য এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাওনা আদায়ে আরো বেশি তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দেন। বিজ্ঞপ্তি