Blog Page 38

প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদ শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এক শুভেচ্ছা বার্তায় প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে এই শুভেচ্ছা জানান তিনি।

শুভেচ্ছা বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এই পবিত্র উৎসব সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং লাখ লাখ ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ এই উৎসব অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে উদ্‌যাপন করে। এটি আমাদের ত্যাগ, করুণা ও ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠনে অপরিহার্য।’

শুভেচ্ছা বার্তায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতাও কামনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার অনুরোধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (৬ জুন) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন কর্তৃক পাঠানো এক প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একই সময়ে আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে করোনায় আক্রান্ত হলেও দীর্ঘ সময়ে আর কেউ মারা যায়নি।

২০২০ সালের ৮ মার্চ মাসে দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এই ঘোষণার ভিত্তিতে উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (৬ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমি জানি, আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে-এ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে বিপুল আগ্রহ রয়েছে। আমি আগেও বলেছি, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যতবার গভীর সংকটে পড়েছে, তার মূল কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। এ ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল। যারা ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণের কাছে ঘৃণিত ও অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে একটি পরিচ্ছন্ন, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করা-যাতে ভবিষ্যতে দেশ আর কোনো নতুন সংকটে না পড়ে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত না হলে, অতীতে ছাত্র-জনতার যেসব আত্মত্যাগ হয়েছে, তা বিফলে যাবে। তাই সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন-এই তিনটি ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী রোজার ঈদের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারব। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-যা জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়-সে বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে।
অবাধ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি

ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আজ আমি জাতির উদ্দেশে ঘোষণা করছি ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একদিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার আলোকে নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে আপনাদের কাছে বিস্তারিত রোডম্যাপ পেশ করবে।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি দেখছে বিএনপি

সুপ্রভাত ডেস্ক »

এখনও পরিবহন সেক্টরে আওয়ামী লীগের দোসরদের অবস্থান থাকায় নানামুখী অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (৬ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ আমলের মতো কষ্ট না হলেও ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমেনি। অতিরিক্ত ভাড়ার সাথে এখনও চাঁদাবাজি ও আগের শাসনামলের দখলদারিত্বের চিত্র স্পষ্ট।

তিনি বলেন, ঈদের সময়েও রাজধানী থেকে বের হওয়া যাত্রীবাহী গাড়িগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে ৫ থেকে ১০ ঘণ্টা বিলম্বিত হচ্ছে। ২০-২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এর ওপর অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এখন নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

এসময় দলীয় পরিচয় না দেখে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। বলেন, ঢাকা এখন ছিনতাইয়ের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। মানুষকে শঙ্কামুক্ত করতে সরকারের ব্যাপক কোন উদ্যোগ নেই। একারণে নির্বাচিত সরকারের খুব প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সারাদেশে ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত আগস্ট থেকে চলতি মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ এখনো প্রো-অ্যাকটিভ ভূমিকা নিচ্ছে না। মব ভায়োলেন্স বেড়েছে।

ভারতের ক্রমাগত পুশ ইন ইস্যুতে সরকারের নিরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এ নেতা।

ধুরুং খালে ডুবে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

সুপ্রভাত ডেস্ক »

ফটিকছড়ির ধুরুং খালে গোসল করতে নেমে সাইমন (৭) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার ৪ ঘন্টা পর মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।

শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।   সাইমন ওই এলাকার মো. আইয়ুবের ছেলে।

শিশুটির বড় ভাই জানায়, ‘আমার ভাই গোসল করছিল। এসময় পানির স্রোত বেশি থাকায় সে  ডুবে যায়। তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও পারিনি’।

ফটিকছড়ি থানার ওসি নূর আহম্মদ জানান, ধুরুং খালে ডুবে নিখোঁজ এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নভেম্বরে দেশ ছাড়লেও আমিই দলের সাধারণ সম্পাদক: ওবায়দুল কাদের

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত, সমালোচিত ওবায়দুল কাদের লম্বা সময় গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর এখন মুখ খুলেছেন। এখনো বাংলাদেশে কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার কথা দাবি করেছেন তিনি।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতায় অবস্থান করা ওবায়দুল কাদের বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের তিন মাস তিনি বাসা বদল করে করে আত্নগোপনে ছিলেন; শেষ পর্যন্ত তিন মাস পর গত বছরের নভেম্বরে তিনি নিরাপদে দেশ ছেড়ে গেছেন।

পাঁচই অগাস্ট ওবায়দুল কাদের জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে ছিলেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে সরকারি ওই বাড়িতে থাকতেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের উল্লেখ করেছেন, তিনি সেদিন যখন ঢাকামুখী মিছিলের খবর পান, তখন সংসদ ভবন এলাকাতেই অন্য একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

“আমি আমার বাসায় ছিলাম, সংসদ ভবন এলাকায়। যখন ঢাকা নগরী অভিমুখে বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল আসছিল। মিছিলে তাদের একটা আক্রমণাত্মক মনোভাব ছিল। লাঠি-সোটা নিয়ে তারা যখন ঢাকা মহানগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন তাদের মধ্যে যে বিদ্বেষের ভাব, সেটা বুঝতে পারলাম,” বলেন ওবায়দুল কাদের

রাজপথের পরিস্থিতি দেখে বাসভবন থেকে সরে পড়ার বিষয়টা যে অনুধাবন করতে হলো, সেটা স্পষ্ট মি. কাদেরের কথায়।

তিনি এক পর্যায়ে জানতে পারেন যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বেতার ও টেলিভিশনে ভাষণ দেবেন। “সে খবরটি পেয়ে আমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। সংসদ ভবন এলাকাতেই আর একটা বাড়িতে আমি আশ্রয় নিয়েছিলাম,” বলেন মি. কাদের।

বাথরুমে আশ্রয়, জীবন বাঁচালেন আন্দোলনকারীরা-দাবি কাদেরের
সংসদ ভবন এলাকায় অন্য একটি বাড়িতে যখন আশ্রয় নেন মি. কাদের, তখন সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। এক পর্যায়ে সেই বাড়িও আক্রান্ত হয়। তখন স্ত্রীসহ তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন বাথরুমে।

যদিও আওয়ামী লীগের পতনের দিন থেকে ওবায়দুল কাদেরের কোনো সাড়াশব্দ ছিল না, ফলে তাকে ঘিরে নানারকম গল্প ছিল আলোচনায়।

এখন মি. কাদের সেদিন বাথরুমের আশ্রয় থেকে বেঁচে যাওয়ার গল্প তুলে ধরলেন বিবিসির কাছে।

তিনি বললেন, “আমি একটু অনন্যোপায় হয়ে বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেখানে অনেকক্ষণ থাকতে হয়েছে। “একটা পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা সেদিন এসেছিল আমাদের বাসাবাড়ি আক্রমণ করতে, অনেকে ভাঙচুর-লুটপাট করছে। একটা বিভৎস অবস্থা,” বলছেন মি. কাদের।

ঘটনার বর্ণনায় তিনি এ-ও বলেন, “এরা যখন সারা ঘরের সবকিছু লুটপাট ভাঙচুর করে, এতক্ষণ ধরে আমার ওয়াইফ তাদেরকে বাথরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে বারবার বলছিল আমি অসুস্থ। তারা প্রথমে বিষয়টিকে বিশ্বাস করে তারা অগ্রসর হয়নি।”

“কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেটা বাস্তবে দেখলাম, ভেতরে যে কমোড এবং বেসিন- এটা তাদের টার্গেট। সেজন্য তারা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তো আমার ওয়াইফ আমাকে জিজ্ঞেস করল কী করব? আমি বললাম খুলে দাও।”

‘আমি তখন নির্বাক, কিছু বলিনি’
মি.কাদেরের বর্ণনায়, “বাথরুমের দরজা খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়িমড়ি ছুট। অনেকেই ঢুকে পড়ল। তারা হঠাৎ আমার দিকে তাকিয়ে – তাদেরকে দেখলাম যে বিস্ময়ে ভরা চোখ। অবাক বিস্ময়ে তারা আমার দিকে তাকিয়ে।”

“আমাকে জিজ্ঞেস করল, আপনার প্রধানমন্ত্রী তো চলে গেছে, আপনি যাননি? আমি তখন নির্বাক। আমি কিছু বলিনি।”

মি. কাদেরের দাবি, “এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে একটা বিভক্তি দেখলাম। একটা গ্রুপ বলছে যে, না ওনাকে জনতার হাতে তুলে দেই। আবার কেউ কেউ বলছে, সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেই।

“একটা পর্যায়ে যারা আমাকে রক্ষা করতে চেয়েছিল তাদের সংখ্যার আধিক্যটা লক্ষ্য করলাম এবং তারা শেষ পর্যন্ত জয়ী হলো, ” বললেন মি. কাদের।

শেষপর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সেই দলটি মি. কাদেরের শার্ট পাল্টিয়ে এবং মুখে মাস্ক দিয়ে তাকে নিয়ে রাস্তায় নামল। তারাই তাকে ও তার স্ত্রীকে একটা ইজিবাইকে নিয়ে রাস্তায় মানুষের ভিড় থেকে রক্ষা করল বলে দাবি করেন তিনি।

“রাস্তায় লোকজনের ভিড় বেশি। আমার চাচা- চাচি অসুস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি- এ কথা বলে বলে বিভিন্ন জায়গায় বুঝিয়ে সুঝিয়ে আমাদেরকে নিয়ে গেল। আমরা বিপদমুক্ত হলাম একটা পর্যায়ে,” বলেন ওবায়দুল কাদের।

পাঁচই অগাস্ট ঢাকায় এভাবে বিপদমুক্ত হওয়ার কথা বলেন মি. কাদের। কিন্তু কোথায় গিয়ে বিপদমুক্ত হলেন এবং এরপর কোন এলাকায় বা কার আশ্রয়ে আত্মগোপনে ছিলেন––এ নিয়ে কিছু বলেননি মি. কাদের।

মি. কাদেরের দেশ ছাড়া নিয়েও নানা আলোচনা ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে এখনো তিনি তা স্পষ্ট করেননি।

এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মি. কাদের বলেন, “দেখুন কীভাবে এসেছি, এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা বলার কী দরকার আছে? এসেছি তিন মাস পরে। পাঁচই অগাস্টের তিন মাস পর আমি নভেম্বর মাসে দেশ ছেড়েছি। এটুকু বলতে পারি।”

কারও সঙ্গে ছিল না যোগাযোগ
পাঁচই অগাস্টের পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দেশ ছেড়ে পালানোর বা গ্রেফতার হওয়ার নানা রকম খবর প্রকাশ হচ্ছিল। কিন্তু ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান নেওয়া দলটির অন্য নেতারাও তার সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

মি. কাদেরও বলছেন, ভারত যাওয়ার আগে তার সঙ্গে তাদের দলের নেত্রী শেখ হাসিনা বা অন্য কারও সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না।

“কোনো যোগাযোগ ছিল না। সেখান থেকে আমি কোনো যোগাযোগের চেষ্টা করিনি। তখন আসলে আমার একটা কনসার্ন ছিল যে, আমাকে ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছিল।”

“আমাকে বার বার বাসা পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমার ওখানে অ্যারেস্ট হওয়ার একটা ঝুঁকি আছে,” বলেন মি. কাদের।

তিনি আরও বলেন, “আমাকে অনেকগুলো মেডিসিন নিতে হয়। আমার তো বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। সেই কারণেই তখন এ ঝুঁকি নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। অনেকেই আমাকে প্রথম থেকেই দেশ ছাড়তে বলেছিল। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি দেশেই থাকার।”

“কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেভাবে এখানে সেখানে তল্লাশি, তাতে আমি আর ঝুঁকি নিতে চেষ্টা করলাম না। বাধ্য হয়েই আমাকে দেশত্যাগ করতে হয়েছে,” দাবি মি. কাদেরের।

কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে উল্লেখ করেন মি. কাদের।

তিনি দাবি করেন, “আমি এখনো দলের সাধারণ সম্পাদক। আমাদের দলে তিন বছর পর পর কাউন্সিলে নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ আছে। আমি এখন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কথা বলা শুরু করেছি।”

‘ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে ধারণা ছিল না’
পাঁচই অগাস্টে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদের স্পিকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপিদের অনেকে এবং পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীরও অনেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

ওবায়দুল কাদেরও দেশের কোনো একটি সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন– এমন আলোচনা, গুঞ্জন ছিল।

সে সময় আশ্রয় নেওয়াদের ৬২৬ জনের একটি তালিকা সম্প্রতি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। অবশ্য সেই তালিকায় ওবায়দুল কাদেরের নাম নেই।

মি. কাদের দাবি করেন, ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টা তার ধারণায় ছিল না।

তিনি বলেছেন, “ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিতে হবে, এরকম কোনো ধারণা আমার ছিল না। তখন আমি একটা প্রাইভেট বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলাম। প্রথম দুই দিন চেঞ্জ (বদল) করে করে ছিলাম। ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে, এরকম চিন্তা আমি তখন করিনি।”

ক্ষমা চাইবে কিনা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের জুলাইয়ের শুরু থেকে ১৫ই অগাস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪০০ জন নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে পাঁচই অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে ৮৩৪ জন নিহত হয়েছে।

এত প্রাণহানির ঘটনার পরও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের এখনো কোনো অনুশোচনা নেই। এনিয়ে রয়েছে আলোচনা, সমালোচনা।

শেখ হাসিনাসহ দলটির নেতৃত্ব তাদের পতনের পেছনে ‘ষড়যন্ত্রের’ কথা বলছে। এই তত্ত্বের ওপর ভর করেই তারা ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে, এখনো পর্যন্ত এমনটাই মনে হচ্ছে দলটির নেতাদের কথায়।

তাদের এই অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তারা আসলে ভুল স্বীকার করবে কি না বা ক্ষমা চাইবে কি না?

এ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য হচ্ছে, “একটা কথা আমি বলি আপনাকে। আমাদের মধ্যে চর্চা আছে। ঘটনার বিশ্লেষণে আমাদের ভূমিকা নিয়ে কথাবার্তা আছে।”

অবশ্য একইসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের অভ্যন্তরে যখন শান্তি, স্থিতি আসবে এবং আমরা দেশের মাটিতে রাজনীতি যখন করতে পারবো, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যখন আমরা পরিচালনা করতে পারবো, যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে- মানুষকে নিয়ে আমাদের রাজনীতি, এদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে আমরা কখনো পিছিয়ে থাকতে প্রস্তুত নই।”

মি. কাদের বলেন, “ক্ষমা চাওয়ার বিষয় দেশের মাটিতে। দেশের বাইরে থেকে আমরা ক্ষমাটা চাইবো কেমন করে? সব কিছুরই সূত্র হলো দেশ। দেশের মাটিতে বসেই আমরা যদি কোনো কিছু অনুশোচনা, ক্ষমা এসব বিষয় যদি থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা দেশের মাটিতেই আমাদের যে বিশ্লেষণ, আমাদের যে রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা, তার প্রতিফলন অবশ্যই হবে।”

তবে বাংলাদেশে জুলাই আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হচ্ছে। সেই বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সহসাই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন রয়েছে। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও অনিশ্চয়তার কথা বলছেন।

এমন প্রেক্ষাপটে ওবায়দুল কাদেরও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।

লন্ডনে পৌঁছেছেন জুবাইদা রহমান

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডনে পৌঁছেছেন। শুক্রবার (৬ জুন) বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান তারেক রহমান।

বিষয়টি. নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত তথ্য ও ছবি প্রকাশ করেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বেলা ১১টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেন ডা. জুবাইদা রহমান। লন্ডনে স্বামী তারেক রহমান ও কন্যার সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন তিনি।

গত ৬ মে দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান। তিনি সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের মেয়ে। ঢাকায় অবস্থানকালে তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ডা. জুবাইদা রহমানের জন্ম সিলেটে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটিতে লন্ডন যাওয়ার পর সরকার তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকা ছেড়ে লন্ডনে পাড়ি জমান। পরে তিনি যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তামিম জানালেন রাজনীতি, বিসিবি ও মাঠে ফেরা নিয়ে

সুপ্রভাত ডেস্ক »

রাজনীতির জন্য আমি তৈরি না; তাই কখনও আমাকে সেই সেক্টরে দেখা যাবে না— এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর বিপিএল দিয়ে মাঠে ফিরতে চান দেশসেরা এ ওপেনার।

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তামিম বলেন, আমি রাজনীতিতে আসছি না। বিষয়টা এমন না, আমি রাজনীতি খুবই অপছন্দ বা ঘৃণা করি। রাজনীতির মাধ্যমেই সুযোগ থাকে বড় পরিসরে দেশের পরিবর্তন ও উন্নতিতে অংশ নেয়ার। যারা রাজনীতিবিদ আছেন, তারা এই সেক্টরের জন্য যথেষ্ঠ যোগ্য। আমি মনে করি না, আমি এর জন্য তৈরি আছি। এই কারণেই আমি রাজনীতিতে কখনোই আসবো না। আমার কাছের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরাও এটি জানে।

মাঠের ক্রিকেটে কবে নাগাদ দেখা যাবে তামিমকে? এমন প্রশ্ন সবার। এর জবাব দিলেন তামিম নিজেই। বলেন, সবকিছু যদি ভালোভাবে চলে, আগামী বিপিএলেই আমি খেলবো। এখন পর্যন্ত শারীরিকভাবে আমি ভালোই আছি। পরের মাসে কিছু টেস্ট আছে। আশা করছি, মাঠে না ফেরার কোনো কারণ নেই।

ক্রিকেট প্রশাসন বা বিসিবিতে তামিমের অভিষেক হচ্ছে কি না— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক কিছুর ওপর এটি নির্ভর করে। বোর্ডে অন্তত দুই ডজনেরও বেশি পরিচালক থাকে। বিসিবিতে এমন পরিচালকের মধ্যে কয়েকজন আছেন, যারা ক্রিকেটের ভালো চান না, বরং ক্ষতির কারণ। তেমন বোর্ডে তামিম যাবেন না বলে জানান।

কাজের আমলনামা প্রকাশ করলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বিগত আট মাসে দেশি-বিদেশি দুই শতাধিক উদ্যোক্তা ও সিইওদের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩০টি সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এর মধ্যে ১৮টি কাজে অগ্রগতি লক্ষণীয়, ৭টি কাজ সময়মতো এগোচ্ছে, আর ৫টি কাজ নির্ধারিত সময়ের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।

শুক্রবার (৬ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

আশিক চৌধুরীর পোস্টটি  অনলাইন পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

ঠিক আট মাস হলো বিডা-বেজায় আজকে। সরকারের বয়স প্রায় দশ মাস। ব্যারিস্টার ফুয়াদ ঠিকই বলেছেন। একটা আমলনামা দেয়া দরকার। আমরা কি শুধু দুইটা প্রেজেন্টেশন করলাম এতদিন ধরে? কিছু সাংবাদিক, ফেসবুক বিশেষজ্ঞ ও বটদের লেখা পড়লে তাই মনে হয়।  আমাদের রিপোর্ট কার্ডটি শেয়ার করলাম। ধৈর্য ধরে পড়ার অনুরোধ রইলো।

আমাদের কাজ মূলত তিনটা এরিয়ায়:

ক. বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে পলিসি ও এক্সিকিউশন এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া

খ. যারা দেশে অলরেডি বিনিয়োগ করেছেন, তাদের কেস বাই কেস ইস্যু সমাধানের মাধ্যমে এম্বাসেডর তৈরি করা

গ. দেশের ইমেজ ইমপ্রুভ করার পাশাপাশি একটা সলিড ইনভেস্টমেন্ট পাইলাইন গঠন করা

#ক
একদম শুরুর দিকে দুইশরো বেশি দেশি-বিদেশী উদ্যোক্তা ও সিইওদের পরামর্শ অনুযায়ী ৩০ টি পদক্ষেপ সনাক্ত করা হয়। তার মধ্যে মোট ১৮ টি নির্দিষ্ট সময়সীমার তুলনায় এগিয়ে আছে, ৭ টি তে আমরা অন ট্র্যাক আছি, ৫ টি তে আমরা প্ল্যান এর থেকে পিছিয়ে আছি। এই প্রগ্রেস আমরা প্রতি দুই মাস পরপর তাদের সাথে ‘স্টেট ওফ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট’ নামে ওয়েবিনার হোস্ট করে শেয়ার করি। ওয়েবিনার এর লিংকগুলা কমেন্টে আছে। ডিসেম্বর নাগাদ সবগুলা কমপ্লিট করার টার্গেট।

যেগুলোতে রোডম্যাপ / অরিজিনাল টাইমলাইন থেকে এগিয়ে আছি (প্রায়োরিটি অর্ডারে নয়):

১. ইনভেস্টর্স কনসালটেশন: ব্যবসায়ে প্ৰতিবন্ধকতা এবং তার সমাধান সম্মন্ধে তাদের সাথে ডিটেল আলোচনা।
২. ১০০ টি ইকোনমিক জোনের বদলে ৫ টিতে ফোকাস করা। সেই পাঁচটিতে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, অন্যান্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার এর একটা রোডম্যাপ পাবলিশ করা। অব্যাবহৃত জমিতে সোলার পার্ক করা। সামরিক শিল্পে সক্ষমতার জন্য একটি মিলিটারি/ডিফেন্স ইকোনমিক জোন চালু করা।
৩. প্রতি মাসে আন্ত-মন্ত্রণালয় কোঅর্ডিনেশন মিটিং চালু করা; ব্যবসা পরিস্থিতি আলোচনা ও সমস্যা সমাধান করতে।
৪. গুরুত্বপূর্ণ বিনোয়োগকারীদের সমস্যা সমাধান করতে আলাদা একটি টিম গঠন করা।
৫. বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস পোর্টাল এর মাধ্যমে পাওয়া সেবার পারফরমেন্স ডেটা (কতগুলো সেবা দেয়া হলো, কার কতদিন লাগলো) বিডার ওয়েবসাইট এ পাবলিক করা।
৬. এফ ডি আই হিটম্যাপ: বাংলাদেশ এ কোন সেক্টরে বিনোয়োগ করা উচিত, কোন সেক্টরে সামনে সরকার পলিসি সাপোর্ট দিবে, এরকম একটা রিসার্চ প্রকাশ করা। এর সিকুয়েল হিসেবে একটি সেমিকন্ডাক্টর টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। আগামী মাসে তারা রিপোর্ট জমা দিবে।
৭. ফরেন কারেন্সি লোন গ্রহণ প্রক্রিয়ার উন্নতি – স্পিড টু  মার্কেট, ফ্লেক্সিবিলিটি, ইত্যাদি।
৮. এনবিআর এ গ্রিন চ্যানেল বা অথোরাইজড ইকোনমিক অপারেটর চালু করা।
৯. এনবিআর এ ডিজিটাল ইনভয়েসিং বা ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো চালু করা।
১০. বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোর এফিসিয়েন্সি বাড়ানোর জন্য পোর্ট স্ট্রাটেজি নির্ধারণ। এর ধারাবাহিকতায় একটি ফ্রি ট্রেড জোন স্থাপন।
১১. স্টার্টার প্যাক: ব্যবসা শুরু করার জন্য বেসিক যে কয়টি অনুমোদন লাগে তা একটা ডিজিটাল ফর্ম এ নিয়ে আসা।
১২. বিডাতে একটি দক্ষ রিসার্চ উইং চালু করা
১৩. এফডিআই প্রোমোশনে সবার জন্য প্রণোদনা বা ইন্সেন্টিভ প্রোগ্রাম চালু করা।
১৪. ঢাকায় একটি ম্যাচমেকিং ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন করা।
১৫. ইনস্টিটিউশনাল এক্সেলেন্স: বিডা-বেজাকে ডি নথিতে এনে সম্পূর্ণ পেপারলেস করা। বিডা-বেজায় ডে কেয়ার চালু করা কর্মচারীদের জন্য।বিডা অফিসে। বিনোয়োগকারীদের এবং কর্মচারীদের জন্য ক্যান্টিন, মিটিং ফেসিলিটি চালু করা।
১৬. কমিউনিকেশন স্ট্রাটেজি বা যোগাযোগ কৌশলের উন্নতি: পরিমার্জিত নতুন ওয়েবসাইট – যেটা এই মাসের শেষে লঞ্চ হবে, বিডা ও বেজার সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্স (লিংকডইন, এক্স, ফেসবুক, ইত্যাদি), লোগো রিভ্যাম্প, স্টার্টার FAQ, ইত্যাদি।
১৭. এনবিআর, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এর প্রতিনিধি বিডা অফিসে কোলোকেট বা সংস্থাপন করা। প্রত্যেক সরকারি অফিসের ব্যবসায়ীদের জন্য একজন ফোকাল পয়েন্ট পার্সনের নাম পাবলিশ করা।
১৮. ওয়ার্ক পারমিট/ভিসা ও সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থার উন্নতি।
অন ট্র্যাক:
১৯. বিডায় গুরুত্বপূর্ণ ইনভেস্টরদের জন্য রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট টিম চালু করা – একই সাথে দুই বছরের একটি প্রোগ্রাম ডিসাইন করে প্রাইভেট সেক্টরের দক্ষ অফিসারদের দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেয়া।
২০. সরকারের সবগুলো ব্যবসায়ী সেবার জন্য করা ওয়ান স্টপ সার্ভিস ও ডিজিটাল প্লাটফর্মকে একীভূত করা বা একটি সিঙ্গেল সাইন ইন প্লাটফর্ম এ নিয়ে আসা।
২১. বিভিন্ন লাইসেন্সিং এর প্রয়োজনীয়তা চ্যালেঞ্জ করে লাইসেন্স এর সংখ্যা কমিয়ে আনা।
২২. সরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাইভেটাইজ করা।
২৩. মার্জার ও একুইজিশন রুল সংস্কার।
২৪. বিডা-বেজার আইন আধুনিকীকরণ।
২৫. বিডা, বেজা, বেপজা, হাই টেক পার্ক ও পিপিপি অথরিটিতে সমন্বয়হীনতা কমাতে তাদের একই ছাতার নিচে নিয়ে আসা।
পিছিয়ে আছি:
২৬. প্রাইভেট সেক্টর অ্যাডভাইসারি কাউন্সিল চালু করা: সরকারকে একদম আনফিল্টার্ড ফিডব্যাক দেবার জন্য।
২৭. ট্যাক্স রুলস: ইনকিউবেশন, গ্রান্ডফাদারিং, সানসেট রুলস।
২৮. ক্যাপিটাল রিপেট্রিয়েশন নীতি ওর প্রক্রিয়া সংস্কার।
২৯. বিডার সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কার/আধুনিকায়ন।
৩০. এনার্জি সিকিউরিটি বা জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ স্ট্রাটেজি।

অনেকগুলো উদ্যোগ আমরা ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, ইউএনডিপি, বিভিন্ন এম্বেসী আর প্রাইভেট সেক্টর পার্টনারদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করছি। অনেকেই বিনা পারিশ্রমিকে দেশসেবা / সাহায্য করছেন। তাদের ছাড়া কিছুতেই সম্ভব হতো না আগানো। সংস্কারের কাজ আদৌ হচ্ছে কিনা, তাদেরকেও জিজ্ঞেস করতে পারেন।

#খ

দেশের এক্সিস্টিং বিনিয়োগকারীদের সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করা এবং তাদের হয়ে পলিসি এডভোকেসি করা জরুরি। নতুনরা এসে তাদের কাছেই জানতে চাইবেন এদেশে ব্যবসা করা উচিত কিনা।

– বেশ কিছু কোম্পানির ইস্যু সমাধান করা হয়েছে। যেমন: ইয়ংওয়ান গ্রূপ, মেটলাইফ, শেভ্রন, লাফার্জ, বাংলাদেশ অটোমোবাইলস। তারা পাবলিকলি এগুলা শেয়ার করেছেন। আরও অনেকে বাকি আছেন। তারা ডিসার্ভ করেন। কিন্তু লোকসল্পতার কারণে সবাইকে সাহায্য করতে পারছি না।

– পলিসি এডভোকেসির ক্ষেত্রেও কাজ হচ্ছে। যেমন: ফুল ও পার্শিয়াল বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স পলিসি সংস্কার, ম্যান মেড ফাইবার আনুষাঙ্গিক ইম্পোর্ট ডিউটি হ্রাস, ইন্সেটিভ এর জন্য নো ডেডাক্শন সার্টিফিকেট ইস্যু প্রক্রিয়া বদল, ইত্যাদি। কিছু রিফ্লেকশন এই বাজেট এ  এসেছে। আরো অনেক কিছু বাকি রয়ে গেছে। লম্বা লিস্ট। সামনে আশা করি আরো দেখতে পাবেন।

#গ

আমরা আগে কখনও ইনভেস্টর পাইপলাইন ট্র্যাক করতাম না। ইনভেস্টর আমাদের দেশে এমনিতেই আসবে, এই আরোগ্যান্স এর কোনো কারণ নাই। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট মেনুর অনেকগুলা অপসন এর মধ্যে একটা। তাছাড়া বিদেশে বসে গুগল সার্চ করলে আমাদের নিয়ে যে পারসেপশন তৈরি হয়, সেটা রিয়েলিটির চেয়ে অনেক বেশি নেগেটিভ। সামনের দিগুলিতে এমন চাতক পাখির মতো যাতে বসে থাকতে না হয়, ইনভেস্টররা যাতে জানেন কেন বাংলাদেশ ২.০ আগের চেয়ে আলাদা, দেশি-বিদেশী ব্যবসায়ীদের যাতে ম্যাচমেকিং হয়, সেজন্য আমরা দুটি সামিটের আয়োজন করেছি; একটি সবার জন্য, আরেকটি চীনকে ফোকাস করে। ৬৭৫ জন বিনিয়োগকারী এসেছেন এই প্রোগ্রামগুলোতে। দ্বিপাক্ষিক মিটিং হয়েছে বাংলাদেশী এবং বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনশোর একটু বেশি।

আমরা আগেও বলেছি, বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট একদিনে আসে না। সামিটে এসে ইমোশনাল হয়ে কেউ হুট করে ১০০ কোটি টাকার চেক লিখে ফেলে না। যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজে করেন তারা জানেন। তারপরও সৌভাগ্যক্রমে তিনটি একদম নতুন বিনিয়োগ অলরেডি কনফার্ম করেছে। একটি গার্মেন্টস, একটি এয়ারলাইন্স এর এমেনিটি কিট ও একটি ঘড়ি ম্যানুফ্যাকচারার। সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। দশ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে ফ্যাক্টোরিগুলা চালু হলে। আরো প্রায় ১৫ টি প্রজেক্ট আছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফাইনাল হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা একটা সলিড পাইপলাইন তৈরী হলো। আগামীতে যারা বিডা চালাবেন তাদের শূন্য থেকে শুরু করতে হবে না।

ইনভেস্টমেন্ট সামিট নিয়ে প্ৰত্যাশার অনেক বেশি একটা হাইপ তৈরি হয়েছিল। সেটা আমাদের টার্গেট ছিল না। আমি আগেও বলেছি, জআমরা খালি একটা গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড প্রোগ্রাম ডেলিভার করতে চেয়েছিলাম। এটার জন্য আলাদা কোনো বাহবা পাবার আশা আমরা একদম করি না। আরো ভালো করার অনেক সুযোগ আছে। কাজগুলো কমিটেড সময়ের মধ্যে হচ্ছে কিনা, এর জন্য আমাদের অ্যাকাউন্টেবল করুন। ধন্যবাদ।

পুনশ্চ ১:অক্টোবর থেকে এপ্রিল এর বিনোয়োগের পরিমান আর গত বছরের একই সময়ের নাম্বারটা প্রায় একই। কিন্তু এতে বিডার কোনো ক্রেডিট বা ফেইলিওর নাই। এতো বড়ো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরে এতো তাড়াতাড়ি বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ আগের জায়গায় ফিরে গেছে তা আশার কথা।  কিন্ত এর পেছনে মূল শক্তি অর্থনৈতিক টার্ন অ্যারাউন্ড: রিসার্ভ বৃদ্ধি, এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতি, ইত্যাদি।

পুনশ্চ ২: ইনফর্মেশন প্লিজ ভেরিফায়েড সোর্স থেকে নিবেন। ভুল তথ্যের শিকার হবেন না। আমাদের জিজ্ঞেস করুন। আমরা উত্তর দেবার চেষ্টা করবো।

রাজধানীর বাস টার্মিনালে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ, টিকিট আছে বাস নেই

সুপ্রভাত ডেস্ক »

ঈদুল আজহার আগের দিনগুলোতে রাজধানীর প্রধান প্রধান বাস টার্মিনালে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল দেখা যায়। ব্যতিক্রম নয় এবারের ঈদেও। শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপনে ঈদের ছুটিকে সামনে রেখে শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের ঢল।

সকাল ৭টা থেকেই যাত্রীরা দলে দলে টার্মিনালে ভিড় করতে শুরু করেন। কেউ পরিবার নিয়ে, কেউ একা ছুটছেন প্রিয়জনের কাছে ঈদ উদযাপন করতে।

তবে যাত্রীদের চাপের তুলনায় বাসের সংখ্যা কম। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে আবার আগে টিকিট কেটেও নির্ধারিত সময়ে বাস পাননি।

যেমনটা বলছিলেন ময়মনসিংহগামী যাত্রী মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকাল ৭টার দিকে এসেছি। ৯টার বাস ছিল, এখন ১১টা পেরিয়ে গেছে বাসের দেখা নেই।

টাঙ্গাইলের যাত্রী নুপুর আক্তার বলেন, বাচ্চা, ব্যাগ—সব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে গেছে। টিকিট কেটেছি ৫ দিন আগে, কিন্তু বাস নেই।

অন্যদিকে আছে বাড়তি ভাড়া নিয়ে অভিযোগ। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২০০-৩০০ টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সাধারণত ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোণা, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাস যায়।

আরাফাত হোসেন নামের প্রাইভেট কোম্পানির কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, ৩৫০ টাকার ভাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা নিচ্ছে। ঈদের সময় হলেও সব সময় হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। টার্মিনালে তদারকি করার মতো কেউ নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান হলেও খুব বেশি কার্যকর বলা যাবে না।

নাম প্রকাশ না করে মহাখালী টার্মিনালের একজন সুপারভাইজার বলেন, বাসের সংখ্যা কম, কারণ অনেক বাস মালিক রাস্তায় যানজটে পড়েছে কিংবা যান্ত্রিক সমস্যায় ভুগছে। আমরা চেষ্টা করছি যেন ধীরে ধীরে সব বাস ছাড়তে পারে। এছাড়া ঈদ সার্ভিস দিতে গিয়ে চালক সংকট রয়েছে। আর রাজধানীর যানজটের বিষয়ে নতুন করে কি বলবো। নানা অজুহাতে ঈদের সময় বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা নয়। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এদিকে আজ সকালে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।  অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশ কয়েকটি পরিবহনকে জরিমানা করেছে বলে জানা গেছে

এ মুহূর্তের সংবাদ

ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুলের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

মব সন্ত্রাসের জননী শেখ হাসিনা: বিএনপি নেতা ফারুক

সর্বশেষ

ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুলের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

মব সন্ত্রাসের জননী শেখ হাসিনা: বিএনপি নেতা ফারুক