Blog Page 2771

কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেল মাছ বিক্রেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীর কর্নেলহাট ফুটওভার ব্রিজের নিচে রাস্তা পারাপারের সময় কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় মারা গেলেন এক মাছ বিক্রেতা। মঙ্গলবার রাত ১১ নাগাদ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় জুয়েল সিদ্দিকী জানান, তিনি কর্নেলহাট এলাকায় ওষুধ কিনতে এসে দুর্ঘটনাটির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি দেখতে পান একজন লোকের মৃতদেহ রাস্তার উপর পড়ে আছে।
ঘটনাস্থলের উপস্থিত কয়েকজনের সাথে আলাপ করে তিনি জানতে পারেন, লোকটি রাস্তা পারাপারের সময় একটি কাভার্ডভ্যান তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় লোকটি ঘটনাস্থলেই মারা যান। প্রাথমিক অবস্থায় লোকটির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকটির পরিচয় জানতে পারেন জুয়েল সিদ্দিকী। তিনি বলেন, লোকটি কৈবল্যধামের মালিপাড়া এলাকায় ভ্যানে করে মাছ বিক্রি করতেন।

পরবর্তীতে আকবরশাহ থানা পুলিশ লাশটিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করে। তার পরিচয় প্রসঙ্গে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি বলে জানান আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুস্তাফিজুর রহমান।

যেভাবে সময় কাটাচ্ছেন আইসোলেশনের রোগীরা

চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের আইসোলেশন শয্যা- সুপ্রভাত

সরেজমিন: বিআইটিআইডি ও ফিল্ড হাসপাতাল

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া :
‘আমরা যদি সময়ের যত্ন নিই, তবে সময় আমাদের জীবনের যত্ন নেবে।’ বিখ্যাত আইরিশ লেখিকা মারিয়া এজগ্রোথের এ উক্তিটির মর্মার্থ যেন হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা রোগীরাই বুঝতে পারছেন। তাদের আশপাশে কোনো স্বজন নেই, নেই তাদের প্রিয়মুখ। একটি বদ্ধ কক্ষে নিজেকে সুস্থ করার চেষ্টায় তারা আজ ব্যস্ত। ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে তাদের আইসোলেশনের দিনগুলো কীভাবে কাটছে?
বিআইটিআইডি’র আইসোলেশন ইউনিট সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রতিটি কক্ষে নিরাপদ দূরত্বে সাজানো আছে চারটি শয্যা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি কক্ষে আইসোলেট করে রেখেছে তিনজন রোগী। রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য ডাক্তার নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে রোগীদের পাশে যাচ্ছেন এবং সেবা দিচ্ছেন। এছাড়া রোগীদের পাশে অন্য কারো যাওয়ার কোন নিয়ম না থাকায় তারা পরিবার-পরিজনদের সাথে দেখা করতে পারছেন না। তারা মুঠোফোনে পরিবারের সাথে কথা বলছেন এবং জানাচ্ছেন তাদের শারীরিক অবস্থার কথা।
অন্যদিকে ফিল্ড হাসপাতালের আইসোলেশনে রোগীরা একটি সজ্জিত কক্ষে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন। তাদেরও একই অবস্থা। রোগীদের মধ্যে বন্ধুত্বও হচ্ছে। একে অন্যের সাথে পরিচিত হয়ে, গল্প করে করে এবং নিজেদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা ভাগাভাগি করছে কাটছে সময়।
বিআইটিআইডি হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. ফারজানা আক্তারের কাছে জানতে চাওয়া হয় আইসোলেট রোগীদের দিন কিভাবে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিআইটিআইডিতে আমরা একটি কক্ষে তিনজন রেখেছি। তারা যখন শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন একে অপরের সাথে গল্প করছেন। এছাড়া মোবাইলে তাদের ঘরের মানুষদের সাথে কথা বলেন। তাদের কক্ষ থেকে বের হওয়ার নিয়ম না থাকলেও অনেকে বের হয়ে যেতে চান। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের বের না হওয়াটা নিশ্চিত করছি।’
তাদের কিভাবে সেবা দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদেরকে সার্বক্ষণিকভাবে নজরে রাখছি। তাদের জন্য যা যা প্রয়োজন তা করার চেষ্টা করছি। আপনারা জানেন বিআইটিআইডি হাসপাতালটি এ করোনা আসার কারণে পুরোদমে চালু হয়েছে। তাই এতে সুযোগ সুবিধার পরিমাণ আনুপাতিকভাবে কম। এরপরেও আমরা আমাদের সাধ্যমত তাদের সেবা নিশ্চিত করছি। তাদের দৈনন্দিন ওষুধগুলো আমাদের সিস্টাররা নিয়ম করে তাদের দিচ্ছেন। এছাড়া ওয়ার্ড বয় ও ক্লিনাররা নিয়মিত তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করছেন। এছাড়া তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য আমরা (চিকিৎসকরা) কাজ করছি।’
একই প্রশ্নে ফিল্ড হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়–য়া বলেন, ‘আমরা রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য তাদের প্রোপারলি মনিটর করছি। আমাদের ভোলান্টিয়াররা স্বেচ্ছায় তাদের সেবা দিচ্ছেন। রোগীরা নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করছেন। আমাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর অনেক রোগী আমাদের এমনও জানিয়েছেন, তারা ঘরের চেয়ে বেশি সেবা আমাদের কাছে পেয়েছেন। অনেক রোগী যাওয়ার সময় কান্না করছেন, তা দেখে আমাদেরও খারাপ লাগছে। কিন্তু আমরা তো চাই আমাদের কাছে কেউ না থাকুক, সকলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাক।’

চট্টগ্রামে বাড়ছে করোনা রোগী, একদিনেই সর্বোচ্চ কোভিড ১৯ শনাক্ত

মহানগরীতে ৭৮ জন, উপজেলায় ৭ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাড়ছে পরীড়্গা, বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।  মঙ্গলবার একদিনে চট্টগ্রামে ৮৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মহানগরীর ৭৮ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৭ জন। নতুনভাবে আক্রানত্মদের মধ্যে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন রয়েছেন এবং একজন সংবাদকর্মীও রয়েছেন। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও কবক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে অনুষ্ঠিত পরীড়্গায় চট্টগ্রামের এসব রোগী করোনা পজিটিভ হয়েছেন।

এদিকে গতকাল নতুন করে ৮৫ জন শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রানত্ম রোগীর সংখ্যা ৪১৯ জন হয়েছে। এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছেন ৭৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন।

এদিকে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৪৮টি নমুনার মধ্যে ৩১টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৩১টি পজিটিভের মধ্যে চট্টগ্রামের ২৭টি ও অন্যজেলার ৪টি। ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১১ মে সোমবারের ৭০টি নমুনার মধ্যে ১৮টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

এই ১৮টির মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর দুজন এবং ফেনীর দুই জন, লড়্গীপুরের ১৫ জন ও নোয়াখালীর একজন রয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ১২২টি নমুনার মধ্যে ৫৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৫৩ জনের মধ্যে নগরীর ৪৮ জনের, উপজেলার চার জনের এবং অন্য জেলার এক জনের। কিন’ নগরীর ৪৮ জনের মধ্যে একজন পুরাতন রোগী, দ্বিতীয়বার পরীড়্গায় পজিটিভ এসেছে। সেই হিসেবে নগরীতে নতুন আক্রানত্ম ৪৭ জন। এছাড়া কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে চট্টগ্রামের ৩৮টি নমুনায় লোহাগাড়ার চার জন ও সাতকানিয়ার একজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী তা নিশ্চিত করেন।

এদিকে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১১মে সোমবারের রিপোর্টে সিটি গেইট এলাকার ২৪ বছর বয়সী যুবক একজন ও দামপাড়ার ৩০ বছর বয়সী পুলিশ সদস্য রয়েছে একজন। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে চট্টগ্রামের ৫ জনের মধ্যে লোহাগাড়ার ২২ বছর বয়সী যুবক, লোহাগাড়ার ৩২ বছর বয়সী অপর যুবক, একই উপজেলার ২০ বছর বয়সী বালিকা ও ৩২ বছর বয়সী যুবক রয়েছেন, সাতকানিয়ার ৪০ বছর বয়সী এক পুরম্নষ রয়েছেন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্টে মহানগরীর ৪৭ জনের মধ্যে ব্যাটারি গলির একজন, বন্দর এলাকার তিন জন, আকবরশাহ এলাকার একজন বউবাজার এলাকার দুইজন, কোতোয়ালী এলাকার ৫ জন, হালিশহরের দুজন, নিমতলা বিশ্বরোড এলাকার একজন, অক্সিজেন এলাকার একজন, পাথরঘাটা এলাকার দুজন, ষোলশহর দুই নম্বর গেট আলফালাহগলি এলাকার একজন, খাতুনগঞ্জ এলাকার একজন, ডবলমুড়িংয়ের সাতজন, আগ্রাবাদের দুজন, ফকিরহাট এলাকার একজন, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার দুজন, বদরপট্টি এলাকার একজন, পাহাড়তলীর একজন, সাগরিকার দুই জন, দেওয়ানহাটের সাতজন, পতেঙ্গার একজন, বায়েজীদের একজন, ইপিজেডের একজন ও বাকলিয়ার একজন। এছাড়া উপজেলার মধ্যে হাটহাজারির একজন, পটিয়ার দুজন ও সন্দ্বীপের একজন রয়েছে।

অপরদিকে বিআইটিআইডিতে চট্টগ্রামের ২৭ জনের মধ্যে সীতাকু-ের ৩৫ বছর বয়সী পুরম্নষ ও রাঙ্গুনিয়া এসিল্যান্ড অফিসের দুই বছর বয়সী একটি শিশু রয়েছে। নগরীর ২৫ জনের মধ্যে পাঁচলাইশের পুরম্নষ একজন, মেয়র গলির ৬৫ বছর বয়সী নারী, একই গলির ১৮ বছর বয়সী বালিকা ও ৫৬ বছর বয়সী পুরম্নষ, ঠিকানাবিহনী ৪০ বছর বয়সী এক পুরম্নষ, হালিশহরের ২৮ বছর বয়সী যুবক, হালিশহর নয়াবাজার এলাকার ২৮ বছর বয়সী যুবক, অলংকার এলাকার ৫২ বছর বয়সী পুরম্নষ, দামপাড়া পুলিশ লাইনের ৪৪ বছর বয়সী পুরম্নষ, কর্ণেলহাটের ৩৮ বছর বয়সী পুরম্নষ, পাথরঘাটার ৫৭ বছর বয়সী পুরম্নষ, ঝাউতলার ৪৬ বয়সী নারী, ঝাউতলার ২৮ বছর বয়সী যুবক, রিয়াজউদ্দিন বাজারের ২৩ বছরের যুবক, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকার ৩৫ বছরের যুবক, বন্দরটিলার ৪০ বছর বয়সী নারী ও ২৫ বছর বয়সী পুরম্নষ, নেভিগেইট এলাকার ৫৭ বছরের পুরম্নষ, লাভলেনের ৫৭ বছরের পুরম্নষ, চেরাগিপাহাড়ের ২১ বছরের যুবক, দারম্নস সালাম মসজিদ এলাকার ২৬ বছরের যুবক, কর্ণেল হাটের ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ, আকবরশাহ এলাকার ৩২ বছরের যুবক, দামপাড়া পুলিশ লাইনের ৫০ বছর বয়সী পুরম্নষ ও একই এলাকার ৪৮ বছর বয়সী পুরম্নষ।

এদিকে নতুন করে ৮৫ জন করোনায় শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৪১৯ জন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২২ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া সুস’ হয়ে বাড়ি গেছেন ৭৯ জন।

 

এবার করোনায় আক্রান্ত হাসিনা মহিউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীনের পর এবার তার মা হাসিনা মহিউদ্দিনসহ তাদের বাসার কাজের এক ছেলে ও এক মেয়ে করোনা আক্রান্ত।

সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১২২ নমুনা পরীক্ষায় নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ৪৭ জন নতুন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।

তারমধ্যে নগরীর নাসিরাবাদ এলাকার মেয়র গলিতে তিনজনের কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে। এ তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে সালেহীন গত রবিবার কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়।

শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি তাদের নিজ ভবনের তিন তলার একটি কক্ষে নিজেকে আইসোলেট করে রেখেছেন। বর্তমানে তার কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা নেই।

গতকাল (মঙ্গলবার) চমকের রিপোর্ট পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেয়র গলির আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়া তিনজন একই ভবনের। তারমধ্যে একজন মহিউদ্দিন চৌধুরীর সহধর্মিনী এবং অন্য দু’জন হলো তাদের বাসার কাজের ছেলে ও এক মেয়ে।

জানা যায়, গত ১০ মে সালেহীনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ১১ মে চৌধুরী পরিবারের চট্টগ্রামের বাসা থেকে ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার মধ্যে তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো। তাদের একজন মহিউদ্দিন চৌধুরীর সহধর্মিনী হাসিনা মহিউদ্দিন এবং অন্য দু’জন হলো তাদের বাসার কাজের ছেলে হারাধন ও এক মেয়ে শাকি।

অপরদিকে মঙ্গলবার (১২ মে) বিকেলে আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে উপমন্ত্রী নওফেল, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, গাড়িচালক, গানম্যানসহ সবার করোনা নেগেটিভ এসেছে।

পাশাপাশি বোরহানুল হাসান চৌধুরী সলেহীনের স্ত্রী, নবজাত সন্তান, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের ১২ সদস্যেও পরীক্ষাও নেগেটিভ এসেছে।

তাদের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় অবস্থানরত তাদের অন্যান্য সদস্যদের শরীরে করোনা শনাক্ত না হলেও তাঁদের ১০ দিন হোম কোয়ারেন্টানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ছাদ থেকে লাফ দিয়েও পালাতে পারেনি রকি

চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রকি বড়ুয়া- সুপ্রভাত

জামায়াত নেতা সাঈদীকে মুক্ত করতে দেশে ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি’ তৈরির চেষ্টার অভিযোগ #

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কারাবন্দি জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুক্ত করতে দেশে ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি’ তৈরির চেষ্টার অভিযোগে রকি বড়ুয়া নামে এক যুবকসহ ৬ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদ-প্রাপ্ত হয়ে কারাগারে বন্দি আছেন।
গতকাল মঙ্গলবার ভোরে নগরের পাঁচলাইশ এলাকার একটি বাসা থেকে রকিকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে আরও ছয় সহযোগীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের প্রধান লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, ‘রকি বড়ুয়া মূলত একজন প্রতারক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার তথ্য প্রচার করে তিনি প্রতারণা করেন। সম্প্রতি তিনি সাজাপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে পাঁচলাইশ এলাকায় বাসায় অভিযানে গেলে ছাদ থেকে লাফ দেন রকি। পরে আহত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পালাতে গিয়ে রকি তার দুই পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার হওয়া ছয় সহযোগীর মধ্যে এক নারীও আছেন। তারা রকি বড়ুয়ার আস্তানায় থাকতেন। ওই আস্তানা থেকে স্ট্যাম্প-সিল, গেরুয়া পোশাক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকের ছবি জব্দ করা হয়েছে।
র‌্যাব জানায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদীর এবং সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ধর্মীয় বক্তা তারেক মনোয়ারের সঙ্গে রকি বড়ুয়ার বৈঠকের কিছু ছবি গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল মাসুদ সাঈদী ও তারেক মনোয়ারের সঙ্গে লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের পশ্চিম বিবিরবিলা গ্রামে নিজ বাড়িতে রকি বড়ুয়া বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সাঈদীকে মুক্ত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দু’টি দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরির পরিকল্পনা হয় বলে তথ্য পায় র‌্যাব।
বৈঠকের পর ২ মে অনলাইনে ছাত্রশিবির সাঈদীর মুক্তির দাবিতে সরব প্রচারণা চালায়। ৩ মে লোহাগাড়া এলাকায় রকি বড়ুয়ার বাড়ির পাশে একটি বৌদ্ধমন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে তাকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছিলেন র‌্যাব কর্মকর্তারা।
রকি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এবং অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৭ এর প্রধান লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল।

করোনা চিকিৎসায় বিআইটিআইডিতে দশটি সিলিন্ডার দিল আবুল খায়ের গ্রুপ

বিআইটিআইডি হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার দশটি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেছে আবুল খায়ের গ্রুপ- সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন সংকট নিরসনে দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপ সারাদেশের জন্য ৩০০টি সিলিন্ডার আমদানি করে। এ সিলিন্ডারসহ নিজেদের উৎপাদিত অক্সিজেন বিনামূল্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিতে (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ) দশটি সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়।

বিআইটিআইডি হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় হাসপাতালটির পরিচালকসহ চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও আবুল খায়ের গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আবুল খায়ের গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো. ইমরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘যতদিন প্রয়োজন থাকবে ততদিন এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দ্রুততম সময়ে কার্যক্রম শুরু করার জন্য আবুল খায়ের গ্রুপ আমদানি করা ৩০০টি নতুন সিলিন্ডার সংগ্রহ করে ইতিমধ্যে ফিলিং সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি সিলিন্ডারের ধারণক্ষমতা ১ দশমিক ৪ কিউবিক মিটার।

তিনি আরো বলেন, ‘করোনা চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি প্রয়োজনে আবুল খায়ের গ্রুপের দেওয়া সিলিন্ডারের বাইরে অতিরিক্ত সিলিন্ডার অক্সিজেন ফিলিংয়ের জন্য পাঠায় তবে আমরা সেগুলো রি-ফিল করে দিবো। আমরা আমাদের এ অক্সিজেন প্ল্যান্ট করোনার সংকটপূর্ণ সময় পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে চিকিৎসারত সবার জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত করেছি।’

আবুল খায়ের গ্রুপের দশটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বুঝে পাওয়ার পর বিআইটিআইডি পরিচালক বলেন, ‘করোনা রোগীর চিকিৎসায় অক্সিজেন হল মহাওষুধ। আমাদের হাসপাতালে আগে থেকে ১৪ টি সিলিন্ডার ছিল। অক্সিজেনের সংকট থাকায় আমরা এতদিন রেশনিং সিস্টেমে অক্সিজেন সেবা দিয়েছি। আজকে থেকে আমাদের কাছে ২৪ টি সিলিন্ডার থাকবে। ফলে অক্সিজেনের সংকট অনেকটুকুই নিরসন হবে। আবুল খায়েরের মত শিল্প গ্রুপগুলো করোনা চিকিৎসায় এ ধরনের উদ্যোগ নিলে জনগণের চিকিৎসা সেবায় অপূর্ণতা থাকবে না বলে আশা করি।’

প্রসঙ্গত, অক্সিজেনের প্রয়োজনে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান করা হাসপাতালগুলোকে যোগাযোগের জন্য আবুল খায়ের গ্রুপ একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। তারা জানিয়েছেন অক্সিজেনের প্রয়োজনে ০১৯৮৮৮০২১৬৬ নম্বরে যোগাযোগ করলে বিনামূল্যে অক্সিজেন রিফিল সুবিধা পাওয়া যাবে।

অক্সিজেন সংকট মেটাবে আবুল খায়ের গ্রুপ

আবুল খায়ের গ্রুপের অক্সিজেন প্ল্যান্ট- সুপ্রভাত

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া #

নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অতি প্রয়োজনীয় হলো অক্সিজেন। কেননা এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে ফুসফুসের অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা আক্রান্তদের ফুসফুসে পানি জমায়। ফলে শ্বাসযন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহের  প্রয়োজন হয়। এমন সময়ে অন্য যেকোন ওষুধের চেয়ে অক্সিজেন সেবা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী বলে জানা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়। করোনা মহামারিতে দেশে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিতে আবুল খায়ের গ্রুপ তাদের অক্সিজেন প্ল্যান্ট উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

সরেজমিনে সীতাকু- উপজেলার শীতলপুর ইউনিয়নে অবস্থিত আবুল খায়ের স্টিল মিল ঘুরে জানা যায়, লিন্দে গ্রুপ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এটি জার্মানির একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। যা পৃথিবীর ১১০ টির বেশি দেশে অক্সিজেন উৎপাদন ও সরবরাহ করে থাকে। আবুল খায়ের গ্রুপ লিন্দে বাংলাদেশের মাধ্যমে ২০১২ সালে এ প্ল্যান্ট তৈরির কাজ শুরু করে। ২০১৫ সালে এ প্ল্যান্টের উৎপাদন শুরু হয়। মূলত ইস্পাত উৎপাদনের কাজে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও কার্বনের প্রয়োজন হয়। তাই তারা এ প্ল্যান্টটি স্থাপন করেছেন। এ প্ল্যান্টের উৎপাদিত গ্যাস তাদের নিজস্ব কাজে ব্যবহৃত হতো। এ প্ল্যান্ট থেকে দৈনিক ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করা সম্ভব। সুতরাং, এটি দেশের সবচেয়ে বড় অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট।

আবুল খায়েরের এই অক্সিজেন প্ল্যান্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহার কাছে এ প্ল্যান্ট সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্ল্যান্ট দৈনিক ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদন সম্ভব। আমরা এটি মূলত ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে ব্যবহার করতাম। ইন্ডাস্টিয়াল অক্সিজেন ও মেডিক্যাল অক্সিজেনের প্রসেসিং একরকম নয়। তাই আমরা গত কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে আমাদের প্ল্যান্টে মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য কিছু ইকুপমেন্ট নিয়ে আসি। পাশাপাশি বাইরে থেকে অক্সিজেনের জন্য ৩০০ পিস সিলিন্ডার ইমপোর্ট করি।’

করোনা সংকট পরবর্তীতে এ অক্সিজেন প্ল্যান্ট  নিয়ে বাণিজ্যিক কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অক্সিজেন প্ল্যান্ট নিয়ে আমাদের বাণিজ্যিক কোনো পরিকল্পনা নেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নাম হল লিন্দে বাংলাদেশ। তারা তাদের সমস্ত ইকুপমেন্টসহ কারিগরি সহায়তা নেয় লিন্দে ভারত থেকে। বর্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে একটি সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ফলে আমাদের ডিএমডি (ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর) মেডিক্যাল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। করোনা সংকট শেষ হয়ে গেলে আমরা মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিব।’

এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ম্যানেজার ও ইনচার্জ মো ইমরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের এই প্ল্যান্টটি মূলত নিজস্ব উৎপাদন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু দেশের এরকম একটি সংকট দেখে আমরা বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ সেবা প্রদান করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আমরা আজকে (মঙ্গলবার) বিআইটিআইডিতে দশটি সিলিন্ডার প্রদানের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এসেছি। পর্যায়ক্রমে আমরা দেশের সকল করোনা চিকিৎসার হাসপাতালে আমাদের সিলিন্ডার পৌঁছে দেব। এর আগে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসহ সকল করোনা রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। করোনা সংকট যতদিন থাকে, ততদিন পর্যন্ত যে কেউ আমাদেরকে তাদের সিলিন্ডার পাঠিয়ে বিনামূল্যে অক্সিজেন রিফিল করতে পারবেন।’

বন্দর থেকে ১৬ মে’র মধ্যে রেফার কনটেইনার ডেলিভারি না নিলে মাশুল চারগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দরে রেফার কনটেইনার (ফ্রিজ সুবিধাসম্পন্ন কনটেইনার) রাখার একটি পয়েন্টও নেই। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য এক হাজার নতুন পয়েন্ট (বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার পয়েন্ট) বাড়িয়ে ২৬০০ পয়েন্ট করা হলেও তা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখন আর কোনা রেফার কনটেইনার রাখার জায়গা নেই বন্দরের ইয়ার্ডে। তাই বন্দরের ইয়ার্ডে পড়ে থাকা রেফার কনটেইনার ডেলিভারি নেয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ মে’র মধ্যে এসব কনটেইনার ডেলিভারি না নিলে চারগুণ হারে স্টোররেন্ট (মাশুল) আদায় করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে চারগুণ হারে স্টোররেন্ট আদায় করা হবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) স্বাক্ষরিত একটি আদেশও মঙ্গলবার জারি করা হয়েছে। এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬০০ রেফার কনটেইনার রাখার ধারনক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সমস্যার কারণে গত ২৬ মার্চের পর থেকে অনেক আমদানিকারক কনটেইনার ডেলিভারি নেয়নি। এতে বন্দরে রেফার কনটেইনারের স্তূপ বাড়তে থাকায় নতুন করে আরো এক হাজার কনটেইনারের পয়েন্ট তৈরি (বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য) করা হয়। কিন্তু এখন তাও পূর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দ্রুত কনটেইনার ডেলিভারি নিতে হবে আমদানিকারকদের।
জানা যায়, এসব রেফার কনটেইনার দিয়ে বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ফল, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন এসে থাকে। মূলত পচনশীল পণ্য এসব রেফার কনটেইনারে আনা হয়। অনেক আমদানিকারক ২০ ও ৪০ ফুটের এসব কনটেইনারগুলো ফ্রিজ হিসেবে বন্দরের ইয়ার্ডকে ব্যবহার করে এবং বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি করে। তবে ইয়ার্ডে নামার চারদিন পর থেকে প্রতি দিনে ২০ ফুট কনটেইনারের জন্য ৬ মার্কিন ডলার এবং ৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারের জন্য ১২ মার্কিন ডলার করে স্টোররেন্ট পরিশোধ করা হয়। আর এসবের সাথে যুক্ত হয় বিদ্যুৎ বিলের টাকা।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ কনটেইনারও বেড়ে গিয়েছিল বন্দরের ইয়ার্ডে। কিন্তু সব ধরনের পণ্য অফডকে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়ার পর কনটেইনারের জট কিছুটা কমেছে।

কোর্সেরায় মেতেছে ইডিইউ

 

অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিষয়। কর্মদক্ষতা ও ব্যবহারিক জ্ঞান উন্নত করার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত প্লাটফর্ম ই-প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্লাটফর্ম হলো কোর্সেরা। আর বর্তমান সময়ে কোর্সেরার বিভিন্ন কোর্সে মেতে উঠেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি পরিবার।
বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ এর কারণে স্বাভাবিক ক্যাম্পাস জীবন ব্যহত হওয়ায় চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি অতিদ্রুত চালু করে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অনুধাবন করে শুধুমাত্র ক্লাস কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের তৃষ্ণা মেটানো সম্ভব নয়। এরই প্রেক্ষিতে ঘরে বসেই যাতে ইডিইউ সংশ্লিষ্ট সকলে সমকালীন বিশ্বের সমপর্যায়ে নিজেদের উন্নত ও দক্ষ করে তুলতে পারে তার উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তাই অনলাইনে জ্ঞানার্জনের বিশ্বের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম কোর্সেরার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ইডিইউ।
চুক্তির আওতায় ইডিইউ সংশ্লিষ্ট সকলেই ফ্রি’তে নিজেদের পছন্দের কোর্সে যুক্ত হতে পারবে। এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি কেউই। তাই ডাটা সায়েন্স, ডাটা এনালিটিক্স, বিজনেস এনালিটিক্স, পাইথন, ডিজিটাল মার্কেটিং, গুগল আইটি সার্ভিস, প্রফেশনাল ইংলিশ, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং কমিউনিকেশন ও লিডারশিপের মতো হালের জনপ্রিয় সব বিষয়ের অসংখ্য বিশেষায়িত কোর্সে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় ইডিইউ পরিবারের সদস্যরা। কোর্স নেয়ার ক্ষেত্রে নেই কোনো সীমাবদ্ধতা। অনেকগুলোতে কোর্সেই একে একে যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
স্ব স্ব ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন পাঠদানের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ বিশ্বের নামকরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও প্রফেসররা তৈরি করেছে এসব কোর্স ও প্রোগ্রামগুলো। সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষায়িত প্রোগ্রামের আদলে তৈরি এ কোর্সগুলোতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ইডিইউর শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে বিশ্বের উন্নত বিদ্যাপীঠে পড়ার আমেজ। এবং নিজেদের সেই স্তরে উন্নীত করার সুযোগ।
নিয়মিত ক্লাসে চলমান থাকায় কেউ কেউ শুরুতে কোর্সগুলোয় যুক্ত না হলেও সেমিস্টার শেষ হওয়ায় এখন কোর্সেরার ধুম লেগেছে ইডিইউতে। ক্লাস ও এসেসমেন্ট শেষ হওয়ায় অফুরান সময়কে কাজে লাগানোর এমন সুবর্ণ সুযোগ প্রত্যেকেই কাজে লাগাচ্ছে, এমনটাই বললেন ইস্ট ডেল্টায় স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী সূর্য সেন।
স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির সম্প্রতি শেষ করলেন ‘বিজনেস এনালিটিক্স ফর ডিসিশান মেকিং’ কোর্সটি। ইডিইউ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেকে সবসময়ই আধুনিক ও উন্নত রাখতে হয়। এক্ষেত্রে কোর্সেরার সঙ্গে ইডিইউর সংযুক্ত হওয়া আমাদের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা সকলেই লুফে নিয়েছে এ সুযোগ। নিজেদের একাডেমিক বিষয়ের বাইরেও নানা বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে চাইছে প্রত্যেকে।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, একজন মানুষের বিবিধ বিষয়ে আগ্রহ থাকে, কিংবা কর্মক্ষেত্রে বাড়তি অনেক কিছু জানার প্রয়োজন পড়ে। যা স্বাভাবিক সময়ের ব্যস্ততায় জেনে ওঠা সম্ভব হয় না। তাই বর্তমান স্থবির সময়কে কাজে লাগিয়ে ইডিইউ পরিবারের সদস্যদের প্রস্ফুটিত হবার সুযোগ করে দিতে ইডিইউর এই প্রয়াস। এর পাশাপাশি ইডিইউ নিয়মিত ওয়েবিনার ও ই-ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করছে। এসব ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে দেশ-বিদেশের স্কলার ও প্রফেশনালরা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান। বিজ্ঞপ্তি

৩৩, ২২ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ দিলেন ডা. শাহাদাত

২২নং এনায়েতবাজার ওয়ার্ডে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করছেন ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, করোনা, ডেঙ্গুসহ সমস্ত ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে ব্লিচিং পাউডার বা ক্লোরিন সলিউশনই আমাদের একমাত্র অস্ত্র। করোনা ভাইরাস এর পাশাপাশি ডেঙ্গুর এডিশ মশার লার্ভা ধ্বংস করতে হলে ৫% ক্লোরিন সলিউশন জলকামান এর মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো নিয়মিত কিংবা একদিন পর পর যদি স্প্রে করে তাহলে এই রোগগুলোর প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব। তাছাড়া বাসা বাড়িসহ যত্রতত্র আমরা যাতে পানি জমিয়ে না রাখি সেটার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ ডেঙ্গু রোগের এসিড মশা স্বচ্ছ পানিতে বংশবিস্তার করে।
আজ ১২ মে দুপুরে বাদশা মিয়া রোডস্থ নিজ বাসভবন এর সামনে ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গীবাজার ও ২২ নম্বর এনায়েত বাজার এবং ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্র ৬ শতাধিক পরিবারের জন্য ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তরকালে তিনি একথা বলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, উপদেষ্টা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আব্বাস খান, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রাশেদ উল্লাহ, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বাবুল, বিএনপি নেতা মাহবুব আলম রানা, আমিনুর রহমান মিয়া, আবু মুসা, যুবদল নেতা মো. ওয়াসিম ইমরান সিদ্দীকি, জ্যাকশন মো. সাইফুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি

এ মুহূর্তের সংবাদ

নগরের সড়কগুলো দখলমুক্ত করুন

রাত সাড়ে নয়টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন নাহিদ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

সেনা ও পুলিশ পাহারায় এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন

গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র

সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা

জুলাই শহীদদের স্মরণে দেশের ৮৬৪ স্থানে নির্মিত হবে ফলক

সর্বশেষ

নগরের সড়কগুলো দখলমুক্ত করুন

রাত সাড়ে নয়টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন নাহিদ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে অন্তত চার জন নিহত, রাত ৮টা থেকে কারফিউ

সেনা ও পুলিশ পাহারায় এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন

গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র

সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা