আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে ইউএস বাংলা। কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার পর ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, কলকাতা, গুয়াংজুসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের মহামারি প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাবিশ্বের সাথে বাংলাদেশের আকাশপথের পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিঘিœত। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে আন্তর্জাতিক রুটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি প্রদান করেছে। করোনারভাইরাস এর দুর্যোগকালীন সময়ে দেশের আমদানি-রপ্তানিকে সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে বর্তমান অবস্থায় বিভিন্ন দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে মহামারি করোনা ভাইরাসের সময়কালীন স্বাস্থ্যসেবাকে সচল রাখার জন্য চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী আমদানি করতে সহায়তা করা হচ্ছে। এছাড়া জরুরি রপ্তানি পণ্যসামগ্রী বিশেষ করে গার্মেন্টস পণ্য, পচনশীল দ্রব্য শাক-সবজি ইত্যাদি বিদেশে রপ্তানিতে সহায়তা করা হচ্ছে।
দেশের ক্রান্তিকালে আমদানি-রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কাজ করছে ইউএস-বাংলা।
প্রতিটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটে প্রায় ১৫ টন কার্গো পরিবহন করতে পারবে। বাংলাদেশের সাথে কার্গো পরিবহনে যেসব দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সেসব দেশে কার্গো পরিবহন করতে পারবে। ইউএস-বাংলা পরিচালিত আন্তর্জাতিক রুট সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, কলকাতা, চেন্নাই, গুয়াংজু, মাস্কাট, দোহাসহ এশিয়ার দেশগুলোতে বিশেষ করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কার্গো পরিবহনের পরিকল্পনা করছে।
ইউএস-বাংলার কার্গো ফ্লাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন- ০১৭৭৭৭০৭৫০৩। বিজ্ঞপ্তি
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যে ইউএস বাংলার কার্গো ফ্লাইট
করোনা ভাইরাস : যেভাবে কাজ করবে প্লাজমা থেরাপি?
বিবিসি বাংলা :
করোনাভাইরাস চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
শনিবার করোনাভাইরাসে সুস্থ হওয়া কয়েকজন ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এই প্লাজমা পরীক্ষানিরীক্ষার পরে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের থেরাপি দেয়া হবে।
বিশ্বের অনেক দেশে ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি শুরু করা হয়েছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে কিছুদিন আগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ খান (এম এ খান) বলেছেন”শুরুতে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৪৫ জন রোগীর ওপর এই থেরাপি প্রয়োগ করবো। তারপর আমরা তাদের উন্নতির বিষয়টি পর্যালোচনা করবো। পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্যান্য রোগীদের ওপর প্রয়োগের বিষয়টি আসবে।”
বাংলাদেশে আপাতত এই চিকিৎসার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে। সফলতা পাওয়া গেলে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় এটি পুরোদমে শুরু করা হবে তিনি জানান।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি বেশ পুরোনো একটি পদ্ধতি।
এই পদ্ধতিতে সাধারণত কোন ভাইরাল সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই রক্ত সঞ্চালিত করা হয় একই ধরনের ভাইরাল সংক্রমণের শিকার রোগীর দেহে।
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুর মহামারি এবং ১৯৩০ এর দশকে হামের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছিল। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে ইবোলা, সার্স এবং ’এইচ-ওয়ান-এন-ওয়ান’ এর মতো রোগের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহার করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হওয়ার পর বিশ্বে এ পর্যন্ত ৪৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে আর মারা গেছে তিনলক্ষের বেশি মানুষ। বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ২৯৮জন।
কিন্তু এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর কোন ওষুধ বা টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
প্লাজমা থেরাপি কী?
মানুষের রক্তের জলীয় অংশকে বলা হয় প্লাজমা বা রক্তরস। রক্তের মধ্যে প্রায় ৫৫ ভাগই থাকে হলুদাভ রঙের এই প্লাজমা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে যারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের শরীরে এক ধরণের অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার তৈরি হয়।
তাদের শরীর থেকে প্লাজমার মাধ্যমে সংগ্রহ করা এই অ্যান্টিবডি যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয়, তখন তার শরীরের সেই অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তখন তিনিও সুস্থ হয়ে ওঠেন।
চিকিৎসকরা এভাবেই করোনাজয়ী একজনের শরীর থেকে প্লাজমা বা রক্তরস সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করবেন। ফলে তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।
ডা: এম এ খান বলছেন, ”প্লাজমায় অনেক ধরণের অ্যান্টিবডি থাকে। যখন কেউ কোন রোগে আক্রান্ত হন, তখন সেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে এ ধরণের অ্যান্টিবডি প্রোটিন তৈরি হয়। ওই প্রোটিন জীবাণুর চারপাশে এক ধরনের আবরণ তৈরি করে সেটাকে অকেজো করে ফেলে। এভাবেই অ্যান্টিবডি কাজ করে।”
প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে একজনের শরীরের কার্যকর অ্যান্টিবডি অন্যদের শরীরের স্থানান্তর করা হবে।
কীভাবে দেয়া হবে প্লাজমা থেরাপি
চিকিৎসকরা আশা করছেন একজন সুস্থ রোগীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা প্লাজমা দুই থেকে তিনজন অসুস্থ রোগীকে দেয়া সম্ভব হবে।
শনিবার তিনজন করোনাজয়ী চিকিৎসকের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের শরীর থেকে সংগ্রহ করা প্লাজমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি থাকা ৪৫ জনের শরীরে প্রয়োগ করা হবে।
ডা. এম এ খান বলছেন, “আপাতত কয়েকদিন আমরা শুধু প্লাজমা সংগ্রহ করবো। এসব প্লাজমায় কতটা অ্যান্টিবডি রয়েছে সেটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সেটা একটা বিশেষ রিএজেন্ট ব্যবহার করে করতে হয়, সেগুলো স্পেন থেকে আনানো হয়েছে।”
“এরপরে কোন ধরণের রোগীকে সেই প্লাজমা দেয়া হবে, সেটা বাছাই করতে হবে। শুরুতে আমরা গুরুতর অসুস্থ বা মুমূর্ষু রোগীদের দিতে চাই, বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে।”
”এভাবে ৪৫ জন রোগীর শরীরে এই প্লাজমা প্রয়োগের পর আমরা কার্যকারিতা দেখবো। কতটা কাজ করছে, কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা, জ্বর কমলো কিনা, নিউমোনিয়ার কি অবস্থা ইত্যাদি। পাশাপাশি অপর ৪৫ রোগী বাছাই করে নিয়ে তাদের উন্নতির বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করা হবে। যদি দেখা যায়, প্লাজমা থেরাপিতে ভালো কাজ হচ্ছে, তখন এটা বিস্তৃতভাবে প্রয়োগ করা শুরু হবে। ”
”এমন না যে, শতভাগ রোগীর ক্ষেত্রে এটা কাজ করবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের তো কোন কার্যকর চিকিৎসার উপায় নেই। ফলে এই পদ্ধতির প্রয়োগ করে দেখতে অসুবিধা নেই। বিশ্বের অনেক দেশেই প্লাজমা থেরাপির ওপর নির্ভর করা হচ্ছে। আইসিইউতে নেয়ার আগে এই থেরাপির প্রয়োগ করা গেলে ভালো ফলাফল আসতে পারে।”
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সৌদি আরব, ভারত, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে সফলভাবে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ করা হয়েছে। সেখানে সাফল্যের হার বেশ ভালো। এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে।
”হাসপাতালে ভর্তির পর যেসব রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, তাদের যদি এক ব্যাগ বা ২০০ মিলিমিটার পরিমাণ প্লাজমা দেয়া যায়, তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। কারণ প্লাজমা শরীরের রক্তের মধ্যে যে ভাইরাস থাকে, তার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে।” তিনি বলছেন।
এই গবেষণার জন্য তাদের ছয় মাস সময় দেয়া হলেও, ডা. খান আশা করছেন, দু’মাসের মধ্যেই তারা তাদের পরীক্ষা শেষ করতে পারবেন। জুন মাসের শেষ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে সব ধরণের রোগীর ওপর এটি প্রয়োগ করা যাবে বলে তারা আশা করছেন।
গত এপ্রিল মাসে এই বিষয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের স্থাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই কমিটির প্রধান করা হয় অধ্যাপক ডা. এম এ খানকে।
চীনে পরীক্ষায় সফলতার দাবি
চীনে করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার পর সেখানে প্রথম এটি নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়।
শেনঝেন পিপলস হাসপাতাল এনিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে ২৭শে মার্চ। চীনের ‘ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ’ এই হাসপাতালেই। ৩৬ হতে ৭৩ বছর বয়সী পাঁচজন রোগীর ওপর এই পদ্ধতিতে চালানো চিকিৎসার ফল বর্ণনা করা হয়েছে এতে।
কোভিড-নাইনটিন থেকে পুরোপুরি সেরে উঠা পাঁচজনের রক্ত সঞ্চালিত করা হয় এই পাঁচ রোগীর দেহে। এদের সবাই ১২ দিন চিকিৎসার পর পুরোপুরি সেরে উঠেছেন বলে চীনা গবেষকরা দাবি করছেন।
এই পদ্ধতির সাফল্য ব্যাপক ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এখনো সম্পূর্ণ প্রমাণিত নয়। তারপরও এটির মধ্যে কিছু সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। কেবল গুরুতর অসুস্থ কোভিড-নাইনটিন রোগীদের জরুরী চিকিৎসায় ডাক্তাররা এই থেরাপি ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানাচ্ছে লস এঞ্জেলস টাইমস। হিউস্টন মেথডিস্ট হাসপাতাল যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এই থেরাপি ব্যবহার করেছে।
প্লাজমা সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ
হেমাটোলজির অধ্যাপক এম এ খান বলছেন, ”প্লাজমা দানের ব্যাপারে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। যারা প্লাজমা দেবেন, তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই। এখানে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কিছু নেই। বরং তার প্লাজমা হয়তো অন্যদের সুস্থ হয়ে উঠতে সহায়তা করবে। এটা একেবারে রক্ত দেয়ার মতো একটা ব্যাপার।”
কিন্তু প্লাজমা সংগ্রহ তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। কারণ এখনো সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের খুব একটা সাড়া পাচ্ছেন না তারা। এজন্য আপাতত চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্লাজমা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
”পুরোপুরি প্রয়োগের আগে আমাদের প্লাজমার একটা ব্যাংক তৈরি করে রাখতে হবে। যাতে অনেককে থেরাপি দেয়া যায়। সেজন্য করোনাভাইরাস থেকে যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের এগিয়ে আসতে হবে।”
পুলিশ, বিভিন্ন বাহিনীসহ যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে সুস্থ হয়েছে, প্লাজমা দেয়ার জন্য তাদের প্রতি তিনি আহবান জানিয়েছেন।
এছাড়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষার রি-এজেন্ট ও কিট অনেক ব্যয়বহুল বলে তিনি জানান।
”সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ এবং সরকারি সহযোগিতা ছাড়া প্লাজমা সংগ্রহের পুরো কাজটি সফল করা সম্ভব নয়।” তিনি বলছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে সুস্থ হয়েছেন, এমন যে কেউ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে যোগাযোগ করে প্লাজমা দিতে পারবেন।
পুলিশ কমিশনারের কাছে যুবলীগ নেতা রিয়াদের সুরক্ষাসামগ্রী হস্তান্তর

চলমান করোনাযুদ্ধে সম্মুখ যোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ত্যাগ ও দ্বায়িত্ববোধকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের নিকট মহানগর যুবলীগ নেতা মো. ফসিউল আলম রিয়াদের সার্বিক সহযোগিতায় পিপিই ও বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা।
শনিবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় এই সুরক্ষাসামগ্রীগুলো পুলিশ কমিশনার এর কাছে হস্তান্তর করা হয়
এতে উপস্থিত ছিলেন নগর যুবলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন, মো. আসলাম, মো. আজাদ, মো. আলাউদ্দিন মুন্না, সাইফুল ইসলাম টিটু, শিবু শীল, মহানগর ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ, নুর চৌধুরী, রিমনসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
হস্তান্তরকালে যুবলীগ নেতা মো. ফসিউল আলম রিয়াদ বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণের জান-মাল রক্ষার পাশাপাশি করোনা যুদ্ধে সম্মুখভাগ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। জনসচেতনতা থেকে শুরু করে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতসহ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা, সুরক্ষা এমনকি দাফন কাজ ও করে যাচ্ছেন। তাই তাদের এই মহান কাজকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। বিজ্ঞপ্তি
নিম্ন আয় ও কর্মহীন মানুষদের অর্থ সহায়তা প্রয়াসের
সামাজিক সংগঠন প্রয়াস’র উদ্যোগে আজ ১৬ মে শনিবার সকাল ১১টায় নগরীর একটি বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে নি¤œ আয় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি হাসান মুরাদ চৌধুরী মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র উপদেষ্টা লায়ন এএম কামাল উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা এবং মানবাধিকার কাউন্সিল চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল, সংগঠনের পরিচালক মহসীন উল কাদের, গ্রিনল্যান্ড সমাজ কল্যাণ পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক আলতাবুর রশীদ বাবু, আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রয়াস সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার।
সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম জনির সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি কিবরিয়া হোসাইন বাপ্পী, সহ-সাধারন সম্পাদক মো. শাহজাহান, মো. ইসমাইল, অর্থ সম্পাদক ওমর ফারুক আসিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মাবুদ সুমন, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নোমান, প্রচার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাহাব উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, পরিকল্পনা সম্পাদক মাহির অসেফ বাবু, মিডিয়া সম্পাদক জামাল হোসেন জনি, অফিস সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, কার্যকরী সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, মো. সুলতান মাহমুদ রাজীব প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
নগদ অর্থ কারা পাচ্ছে জনসম্মুখে আসা উচিত : ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘৫০ লাখ পরিবারের সরকারের ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা যাতে রাজনৈতিকভাবে প্রধান্য না পায়। সরকার ৫০ লাখ অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। এ টাকা যাতে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা ভগ বাটোয়ারা করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কারা টাকা পাচ্ছে এটা জনসম্মুখে আসা উচিত। ত্রাণের চাল নিয়ে যেমন রাজনীতি এবং নয় ছয় হয়েছে, নগদ অর্থ প্রদানেও যাতে রাজনীতিকরণ করা না হয়।
শনিবার (১৬ মে) দুপুরে বাদশা মিয়া রোডস্থ নিজ বাসভবনে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) এর উদ্যোগে গুম, নির্যাতনে নিহত ও আহত পরিবারের মাঝে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দেশব্যাপী হত দরিদ্র, অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছে এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করে আসছে। যতদিন এই মহামারীর প্রাদুর্ভাব থাকবে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হাজারের অধিক গড়িয়েছে। তাই ঘর থেকে বের না হয়ে নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপদ রাখতে অন্য কোন বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম মহানগর ড্যাব সভাপতি ডা. আব্বাস উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি তমিজউদ্দিন আহমেদ মানিক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র উপদেষ্টা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি। ড্যাব মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ঢালীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার সারোয়ার আলম, ড্যাব নেতা নুরুল করিম চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি
চট্টগ্রাম অ্যাথলেটিক্স একাডেমির আত্মপ্রকাশ
ঝিমিয়ে পড়া চট্টগ্রামের অ্যাথলেটিক্স অঙ্গণকে আবার সচল করার প্রত্যয়ে আত্মপ্রকাশ হচ্ছে চট্টগ্রাম অ্যাথলেটিক্স একাডেমির। ইতোমধ্যে একাডেমির পক্ষ হতে রমজানের শুরুতে দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। আজ ১৬ মে (শনিবার) চট্টগ্রামের অ্যাথলেটিক্সের উজ্জ্বল নক্ষত্র কাজী আবদুল আউয়ালকে একাডেমির পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রীাড়াবিদ রুহুল আমীন, মোশারফ হোসেন ও একাডেমির উদ্যোক্তা জাতীয় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সাইক্লিস্ট আবুহেনা মোস্তফা কামাল (টুলু)। বিজ্ঞপ্তি
করোনা ফিল্ড হাসপাতালে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার দিলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ
দেশের একমাত্র বিশেষায়িত করোনা ফিল্ড হাসপাতালের নিয়োজিত করোনাযোদ্ধা ডাক্তার এবং রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ ১৬ মে শনিবার হাসপাতালটিতে ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত ফলমূল এবং গ্রিন-টি উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
হাসপাতালের স্বপ্নদ্রষ্টা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার হাতে এসব সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া এজন্য ভিডিও বার্তায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবদুর রশীদ লোকমান, শাহাবুদ্দিন বাদশা, মফিজুর রহমান দুলাল, এসএম আকবর,জয়নাল আবেদিন, সুমন কান্তি নাথ, আইয়ুব চৌধুরী, রাশেদুল ইসলাম রুশো, মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য জাহেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
এসি ছাড়া যেভাবে ঘর ঠাণ্ডা রাখবেন
সুুপ্রভাত ডেস্ক :
এসি দীর্ঘক্ষণ চালিয়ে রাখা শরীরের পক্ষে খারাপ। তাছাড়া যে কোনও সংক্রমণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরেই বাড়ে। কাজেই ঘড় ঠাণ্ডা রাখুন প্রাকৃতিক উপায়ে।
একে তো প্রচণ্ড গরম, তার উপর আবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা সবারই! এই গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই হয়ত এসির ব্যবহার করছেন। তবে যাদের ঘরে এসি নেই তারা তো গরমে সেদ্ধ হওয়ার উপক্রম! তবে উপায়?
অবশ্যই উপায় রয়েছে। জানেন কি? এসি ছাড়াও ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায়। এক্ষেত্রে মানতে হবে কয়েকটি নিয়ম। তবেই ঘর থাকবে এসির ন্যায় ঠাণ্ডা।
ঘর ঠাণ্ডা করার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায় হলো টেবিল ফ্যানের সামনে একটি পাত্রভর্তি বরফ রাখা। ফ্যানের বাতাস বরফের মতোই ঠাণ্ডা হয়ে ঘরে ছড়িয়ে পড়েবে।
জানেন কি? কয়েকটি গাছ ঘরে রাখলেই আপনি শীতল পরিবেশ পাবেন। অর্কিড জাতীয় গাছ রাখতে পারেন। গাছগুলো ঘরের মধ্যে থাকা গরম বাতাস থেকে কার্বনডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করে ও অক্সিজেন সরবরাহ করে ঘরে ঠাণ্ডা রাখে।
বিনা প্রয়োজনে ঘরের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্সের সংযোগ বন্ধ রাখুন। এতে ঘরের তাপমাত্রা বাড়ে। রাতে ঘরের জানালা দরজা খোলা রাখুন। এতে করে ঘর সহজেই ঠাণ্ডা হবে। এছাড়াও জানালার কাছে একটি টেবিল ফ্যান রাখতে পারেন, এতে করে ঘরের গরম বাতাস বাইরে বেরিয়ে যাবে।
ঘর ঠাণ্ডা রাখার আরো একটি ভালো উপায় হলো, একজস্ট ফ্যান চালু রাখা। বাড়ির সবগুলো একজস্ট ফ্যান চালু রাখলে ঘরের ভেতরের সব গরম বাতাস বাইরে বেরিয়ে যাবে।
খবর : ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস’র।
জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রামে চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে হবে
ঢাকার পর করোনাভাইরাসের হটস্পট চট্টগ্রাম। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সে সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মাঝে করোনা আক্রান্ত জটিল রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর-আইসিইউর সংকট দেখা দিয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের মধ্যে কেবল চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দশটি আইসিইউ সেবা চালু রয়েছে। সরকার পর্যায়ে নির্ধারিত অপর প্রতিষ্ঠান ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ সুবিধা নেই।
অন্যদিকে মহামারি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার এই দুঃসময়ে নগরের বেসরকারি হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু করা সম্ভব হয়নি। করোনা সংক্রমণ শরু হওয়ার পর চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডি হাসপাতাল। পাশাপাশি প্রস্তুত রাখার কথা ছিল রেলওয়ে হাসপাতাল, বন্দর হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত হাসপাতালগুলো।
শুরুর দিকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল বন্ধ থাকা হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালটি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হবে। কিন্তু এতদিন পেরিয়ে গেলেও এবং বর্তমানে হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবার অপ্রতুলতা সত্ত্বেও শুধুমাত্র সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এই বেসরকারি হাসপাতালটি চালু করা যাচ্ছে না। সুপ্রভাতের প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জনবল সংকটের কারণে এটি চারু করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে অবহিত করা হয়েছে। বর্তমানে শয্যা সংকটের কথা বললে তিনি বলেন, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু হওয়ার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা আসতে দেরি হয় তাহলে আমরা চট্টগ্রামের ১২টি হাসপাতাল পর্যায়ক্রমে অধিগ্রহণ করব।
বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় দুই মাসেও যেখানে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু করতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেখানে তারা আরও ১২টি হাসপাতাল অধিগ্রহণের কথা ভাবছে। কী আশ্চর্য? আসলে শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্রুত ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মত সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। ফলে পুরো বিষয়টি আর গুছিয়ে সম্পাদন করতে পারছে না।
এদিকে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। লকডাউন এলাকার পরিধিও বাড়ছে প্রতিদিন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চিকিৎসাসুবিধা বৃদ্ধি করতে না পারলে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকবে তা কল্পনাও করা যাচ্ছে না।
কাজেই আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও কর্মক্ষমতা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানাব। সে সঙ্গে চিকিৎসাসেবার পরিধি বাড়িয়ে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। এ বিষয়ে কোন ধরনের গাফেলতি মার্জনাযোগ্য হবে না।
মাত্র একটি ফোন বদলে দিয়েছে মাধুরীর জীবন!
সুুপ্রভাত ডেস্ক :
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের অগণিত ভক্ত। বহু মানুষের স্বপ্নসুন্দরী মাধুরী দীক্ষিত। মাধুরীর অভিনয়, মিষ্টি স্বভাব, সুন্দর নাচ দশকের পর দশক মন ভরিয়েছে মানুষের। আজ, ১৫ মে মাধুরী দীক্ষিতের ৫৩ তম জন্মদিন। ১৯৬৭ সালে মুম্বইয়ে জন্ম মাধুরীর, অবোধ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। মাত্র তিন বছর বয়সেই নাচ শেখা শুরু। ছবি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন… সব সময়েই মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে মাধুরী।
সেই সময়ে বলিউডের অন্যতম সেরা নায়ক সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়েও অনেক কানাঘুষো চলেছে। ৯০-এর দশকে শুধু নয়, আজও সঞ্জয় ও মাধুরীর বিষয়ে নানা চর্চা হয়ে থাকে। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, একটা সময়ে সঞ্জয় দত্তও চেয়েছিলেন মাধুরীকে বিয়ে করতে। কিন্তু সেই সময় সঞ্জয় বিবাহিত হওয়াতে দু’জনের বিয়েতে বাধা এসেছিল।
১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণে সঞ্জয়ের নাম জড়িয়ে যেতে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। সঞ্জয় মাধুরীর খলনায়ক সুপারহিট হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে শ্যুটিং করতে বিদেশে গিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। ঠিক সেই সময়েই বোন প্রিয়া দত্ত ফোন করে জানিয়েছিলেন, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে টাডার মামলা করা হয়েছে। যখন দেশে ফিরছিলেন ঠিক সেই সময়েই বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয়কে।
তারপরই সঞ্জয়-মাধুরীর সম্পর্কের শেষ ঘনিয়ে আসে। যখন সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক ‘সঞ্জু’-তে মাধুরী সম্পর্কিত বেশ কিছু দৃশ্য কাটতে হয়েছিল, তখন ফের একবার সঞ্জয়-মাধুরী সম্পর্ক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন পুরনো ঘটনা দিয়ে বর্তমানকে ধূসর করতে চাননা মাধুরী, তাই বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চেয়েছেন। মাধুরীর রূপে মুগ্ধ হয়েছিলেন একাধিক মানুষ, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুরেশ ওয়াদেকর। এমনকী শোনা যায় তিনি মাধুরীকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন। সুরেশ ওয়াদেকর একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়ক ছিলেন, মরাঠি সংস্কৃতির প্রতি বেশ দখলও ছিল তার।
মাধুরীও সুরেশকে পছন্দ করতেন। সেই সময়েই খবর আসে সুরেশের জন্য তার বাড়ির লোকেরা পাত্রী পছন্দ করে ফেলেছেন। তবুও মাধুরীকে বিয়ে করার আশা ছিল সুরেশের মধ্যে। মাধুরীর পরিবার এই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু, সুরেশের বাড়ি থেকে নাকোচ করে দেওয়া হয়েছিল এই সম্পর্ক। এরপরই একের পর এক সুপারহিট ছবিতে আস্তে আস্তে বলিউডে মাধুরী যেন এক নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন।
লকডাউনে মাধুরী বাড়িতেই জিম খুলেছেন, প্রতিদিনই শরীরচর্চা করেন তিনি। লকডাউনে মাধুরী বাড়িতেই জিম খুলেছেন, প্রতিদিনই শরীরচর্চা করেন তিনি।
এরপরে অনিল কাপুর ও মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গেও মাধুরীর নাম জুড়েছিল। একটি খবর ছড়িয়েছিল, অনিল কাপুর নাকি মাধুরীকে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ছবি করতে নিষেধ করেছিলেন, তবে এই খবরের কোনও সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। একে একপ্রকারের গুঞ্জনও বলা যেতে পারে।
খবর : নিউজ১৮’র।