Blog Page 2730

ইরফানের নামেই মহারাষ্ট্রের গ্রাম

সুপ্রভাত ডেস্ক

চলচ্চিত্র জগতকে অপূর্ণ রেখে গত ২৯ এপ্রিল চলে গিয়েছেন অন্যতম অভিনেতা ইরফান খান। শুধু বলিউড নয় হলিউডেও তিনি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাই তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দেশ-বিদেশের বহু তারকারা।

এবার এই অন্যতম অভিনেতা কে সম্মান জানাতে এক অভিনব উদ্যোগ মহারাষ্ট্রের এক গ্রামে। মহারাষ্ট্রের সেই গ্রামের নামকরণ করা হলো প্রয়াত অভিনেতার নামেই।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের এই গ্রামের নাম হল ইগতপুরি। সেই গ্রামের নাম বদলে এবার নামকরণ করা হলো প্রয়াত অভিনেতা নামে। কারণ ওই গ্রামের সঙ্গে বিশেষ যোগ ছিল ইরফানের।

সেখানে একটি বাগান বাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল বলে জমি কিনেছিলেন ইরফান। এছাড়াও সেই গ্রামের জন্য বেশ কিছু কাজ করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা।

জানা যাচ্ছে, এই গ্রামটির দুস্থ পরিবারের বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইরফানদায়িত্ব নিয়েছিলেন ইরফান খান। বাচ্চাদের নিয়মিত বইপত্র কিনে দিয়েছেন। এছাড়াও গ্রামে একটি স্কুল খোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। সেই স্কুলের যাবতীয় খরচের বেশ কিছুটা বহন করেছিলেন অভিনেতা নিজেই।

এখানেই শেষ নয়। ইগতপুর গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যের কথাও তিনি ভেবেছিলেন। কিনে দিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলান্স। যাতে অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছতে পারেন। আর এ জন্যই ইরফান খানকে শ্রদ্ধা জানাতে জেলা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামের নতুন নামকরণ করার। খবর কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।

আমিরের পরামর্শ

সুপ্রভাত ডেস্ক

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে ছবির সব খুঁটিনাটি বিষয়ে তার মনযোগ থাকে। সব সময় নিখুঁত সিনেমা করতে চান তিনি। যেকোনো সিনেমা নির্মাণের আগে চিত্রনাট্যর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সেকারণে লকডাউনের এই অবসরে চিত্রনাট্যকারদের আহ্বান করেছেন ভালো চিত্রনাট্য লেখার জন্য। আমির বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচালকদের ভালো চিত্রনাট্যকার দরকার। নবাগত স্ক্রিপ্ট রাইটারদের আরও বেশি বেশি করে চিত্রনাট্য লেখায় মন দেওয়া উচিত। লেখা ছেড়ে দিলে চলবে না। আরও প্র্যাকটিস করতে হবে।’ সম্প্রতি বলিউডের ‘সিনেস্তান’ সংস্থার পক্ষ থেকে এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। গৃহবন্দি জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে স্ক্রিপ্ট রাইটারদের জন্য এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সেই প্রতিযোগিতারই বিচারক প্যানেলে ছিলেন আমির খান। ‘সিনেস্তান’-এর চিত্রনাট্য লেখার প্রতিযোগিতায় মোট পাঁচ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে বিজেতা হিসেবে।

খবর আরটিভিঅনলাইন’র।

রাতে আসছে আয়নাবাজি’র প্রথম পর্ব

সুপ্রভাত ডেস্ক

‘আয়নাবাজি’ সিনেমার পর এবার করোনায় মানুষকে সচেতন করতে নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে দেখা যাবে সচেতনতামূলক এ ধারাবাহিক। ‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’র প্রথম পর্ব প্রচার হবে লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপস ‘র‌্যাবিটহোল’ ও ব্র্যাকের ফেসবুক পেজে। অমিতাভ রেজা পরিচালিত সিনেমা ‘আয়নাবাজি’র চরিত্র আয়না, হৃদি ও সাংবাদিক সাবের করোনা সংকটকালে কী করছে, সেটা নিয়েই এবারের গল্প। ঘরে বসেই নির্মাতা ও কলাকুশলীরা এই সিরিজের কাজ করেছেন। অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, মাসুমা রহমান নাবিলা ও পার্থ বড়ুয়া। ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইডের সহায়তায় নির্মিত হয়েছে এটি। আয়নাবাজি সিরিজটির প্রসঙ্গে অমিতাভ রেজা বলেন, অনেক দিন থেকে ‘আয়নাবাজি’ ছবিটি মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। সেই চরিত্রগুলো যেন এবার মানুষকে সচেতন করতে পারে এই লক্ষ্য নিয়েই সিরিজটি নির্মাণ করেছি। এদিকে এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে সিরিজের টিজার ও একটি গান। সিরিজের জন্য গল্প লিখেছেন নাসিফ ফারুক। তিনটি পর্বের সিরিজের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭ থেকে ৮ মিনিট।

খবর ডেইলিবাংলাদেশ’র।

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করলেন সোনু সুদ

সুপ্রভাত ডেস্ক

ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন মুম্বইতে। লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনও। এমন দুঃসময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে এগিয়ে এলেন সোনু সুদ। বাড়ি কর্তাটকে হলেও কর্মসূত্রে যারা আটকে রয়েছেন মুম্বইতে, এমন শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে ১০টি বাসের ব্যবস্থা করলেন বলিউড অভিনেতা। যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবেন সোনু নিজেই। অভিনেতার কথায়, ‘মাইলের পর মাইল বাচ্চা কাঁধে কিংবা বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে এভাবে হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য আমার কাছে খুবই কষ্টকর।’

সোমবারই কর্তাটকের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মহারাষ্ট্রের থানে থেকে সেই ১০টি বাস রওনা হয়েছে গুলবর্গার উদ্দেশে। যাতায়াতের খরচই শুধু নয়, দীর্ঘ পথে কাউকেই যেন অভুক্ত না থাকতে হয়, সেই জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করেছেন সোনু সুদ। সোমবার থানের বাসস্ট্যান্ডে এসে সশরীরে শ্রমিকদের বিদায় জানিয়েছেন। যে মুহূর্ত ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র এবং কর্তাটক সরকারের অনুমতি নিয়েই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে বাসের আয়োজন করেছেন সোনু। পরবর্তীতে প্রয়োজনে অন্যান্য রাজ্যের শ্রমিকদের জন্যও এমন আয়োজন করতে প্রস্তুত সোনু, জানালেন নিজেই।

এ প্রসঙ্গে বলিউড অভিনেতার মন্তব্য, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি অতিমারীতে এই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সঙ্কট, বিপর্যয়ের সময় সকলেই চান নিজেদের পরিবার, প্রিয়জনের পাশে থাকতে। বাড়ি ফেরার আশায় বৃদ্ধ মা-বাবা, ছোট্ট সন্তানদের নিয়ে ওদের মাইলের পর মাইল হাঁটার দৃশ্য আমার কাছে খুবই কষ্টের। তাই মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটক সরকারের সঙ্গে কথা বলে বাসের বন্দোবস্ত করার অনুমতি জোগাড় করেছি। যাতে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের দশটি বাসে করে বাড়ি পাঠানো যায়। মহারাষ্ট্র সরকারের আধিকারিকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে দারুণ সহযোগিতা করেছেন। অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার অনুমতি দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাব কর্নাটক সরকারকে।’

খবর সংবাদপ্রতিদিন’র।

জোড়া লাগছে হৃতিক-সুজানের সম্পর্ক?

সুপ্রভাত ডেস্ক

একসঙ্গে বসে ডিনার সারছেন, সপরিবারে ইনডোর গেম খেলছেন আবার কখনও বা একের পর এক হৃতিকের ছবি তুলে দিচ্ছেন তিনি। ছেলে, স্বামী, সংসার! সুজান…? রোশন পরিবারের ছবিটা লকডাউনের প্রায় দু’মাস ধরে খানিকটা এ রকমই। অথচ লকডাউনের কয়েক দিন আগেও সুজান-হৃতিক নিজেরাও এই দৃশ্য বদল আন্দাজ করতে পারেননি।

হৃতিকই প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন সুজানকে। অস্থির অবস্থায় তাদের দুই ছেলে রেহান এবং হৃদান যেন বাবা-মা দু’জনকেই কাছে পায়, সেই চেষ্টাই করেছিলেন তিনি।তাই সুজানকে বাড়িতে আসতে বলেছিলেন। সুজানও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে এসেছিলেন প্রাক্তনের বাড়ি। নিন্দুকেরাও পরিস্থিতি বুঝে সরব! কী হতে চলেছে সে নিয়ে তাদের বিস্ময়ের অন্ত ছিল না। কিন্তু ঠিক কী বলেছিলেন সুজান?

বুঝেছিলাম এই সাংঘাতিক সময়ে আমাদের প্রত্যকেরই প্রত্যেককে দরকার। সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে, ভালবাসার জন্যই আমাদের ‘লকডাউন অ্যাডভেঞ্চার’ শুরু হয়, বলেছিলেন সুজান।

খবর আনন্দবাজার’র।

বল-বিকৃতি বৈধ করতে বললেন ইয়ান চ্যাপেল

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের জেরে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে থুতু ও ঘাম দিয়ে বল পালিশের প্রক্রিয়া। যে কারণে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বোলাররা বলের এক দিকে পালিশ ঠিক রেখে সুইং করাবেন কী করে? অনেকেই অনেক রাস্তার কথা বলেছেন। কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্নের পরামর্শ, ‘বলের ওজন এক দিকে বাড়িয়ে দেওয়া হোক।’ অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল মনে করেন, এই সমস্যার সমাধান করতে বল-বিকৃতিকে বৈধ ঘোষণা করা উচিত আইসিসি’র।

এর আগে শোনা গিয়েছিল, আইসিসিও বল-বিকৃতি করার ব্যাপারে ছাড় দিতে পারে। চ্যাপেল একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে তার কলামে লিখেছেন, ‘এখন ক্রিকেট বন্ধ। তাই এটাই হল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আদর্শ সময়। থুতু বা ঘাম দিয়ে বল পালিশ করাটা স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক হবে। তাই বোলারদের অন্য ভাবে বলের পালিশ ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।’ এর আগে চ্যাপেল সুপারিশ করেছিলেন, অধিনায়কদের থেকে জানতে চাওয়া হোক বোলাররা কী ব্যবহার করে বলের পালিশ ঠিক রাখতে চায়।

খবর আনন্দবাজার’র।

এবার ফিক্সিংয়ের দায়ে ৬ বছর নির্বাসিত আফগান ক্রিকেটার

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় বারবার কলঙ্কিত হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট। এবার কালিমালিপ্ত আফগানিস্তান। গড়াপেটার অপরাধে ছ’বছরের জন্য সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হল আফগান ব্যাটসম্যান শফিকুল্লা শাফককে। রোববারই নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে আফগান ক্রিকেট বোর্ড জানায়, ৩০ বছরের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান একাধিকবার ম্যাচ গড়াপেটা করেছেন কিংবা গড়াপেটার চেষ্টা করেছেন। ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী মরশুমে এবং পরের বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে নাম জড়ায় শাফকের। বিজ্ঞপ্তিতে আফগান বোর্ড তাই জানায়, জেন্টলম্যান্স গেমকে কলঙ্কিত করেছেন তিনি। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটকেও প্রভাবিত করা চেষ্টা করেছেন। দুর্নীতিদমন আইন ভঙ্গ করার শাস্তিস্বরূপই তাকে নির্বাসিত করা হল।

গড়াপেটায় জড়িয়ে এর আগে বিশ্বখ্যাত একাধিক ক্রিকেটারের কেরিয়ার নষ্ট হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়াত তারকা হ্যান্সি ক্রোনিয়ে থেকে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন, পাক তারকা সেলিম মালিককে আজীবন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকে এতদিন আগফানিস্তানের ক্রিকেটে গড়াপেটার কালো দাগ লাগেনি। এবার শাফকের জন্য মাথা হেঁট হল সে দেশের বোর্ডের। এসিবির দুর্নীতিদমন শাখার ম্যানেজার সৈয়দ আনওয়ার শাহ কুরেশি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ। জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্নীতির প্রবেশ করিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০১৯ বিপিএলে এই গড়াপেটার কাজে এক সতীর্থকেও সঙ্গী করতে চেয়েছিলেন শাফক।’

তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেছেন দেশের হয়ে ৪৬টি টি-টোয়েন্টি খেলা তারকা শাফক। সেই সঙ্গে উঠতি ক্রিকেটাররা যাতে তার মতো অপরাধে না জড়ান, সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের সঙ্গেও যুক্ত হতে রাজি হয়েছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছে এসিবি।

খবর সংবাদপ্রতিদিন’র।

ডট বলের পর বোলারকে গালি দেন বিরাট!

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

বাইশ গজে তার আগ্রাসনই বিরাটকে ক্রিকেট মানচিত্রে আলাদা জায়গা করে দিয়েছে। ক্রিস গেইল, রোহিত শর্মার মতো তার সমসাময়িক ব্যাটিং গ্রেটদের থেকে ঠিক কোথায় আলাদা বিরাট। উত্তরে বাংলাদেশ পেসার আল আমিন হোসেন জানালেন, প্রত্যেকটা ডট বলের পর বোলারকে স্লেজিং করে বিরাট। যার ফলে পালটা চাপে পড়ে যায় বোলাররা।

বাংলাদেশের এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের সঙ্গে ফেসবুক আড্ডায় আল আমিন বলেন, ‘তুমি বিরাট কোহলিকে যতবার ডট বল করবে ও তোমায় ততবার স্লেজিং করবে। ও এমন কিছু খারাপ শব্দ ব্যবহার করে যা আমি দর্শকদের সামনে বলতে পারব না। ও বোলারের উপর পাল্টা চাপ তৈরির চেষ্টায় থাকে। মনোসংযোগে ব্যাঘাত করার চেষ্টা করে।’

বাংলাদেশ পেসারের কথায়, ‘আমি ক্রিস গেইল, শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মার মতো বড় বড় ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বল করেছি। কেউ বিরাটের মতো না। তুমি একটা ভালো বল করলে ওরা নিজেদের ডিফেন্ড করার চেষ্টা করে। ওরা কোনও কথা বলে না। কোহলি ঠিক উলটো। ও তোমায় পালটা স্লেজ করবে।’ এছাড়াও কেরিয়ারের ওঠাপড়া নিয়ে বলতে গিয়ে ২০১৬ এশিয়া কাপ ফাইনালের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আমিন। উত্তেজক ম্যাচে কোহলি-ধোনির বিরুদ্ধে বল করার বিষয়টিকে অন্যতম কঠিন হিসেবে বিবেচনা করেছেন তিনি।

দিনকয়েক আগে একইভাবে কোহলির স্লেজিং নিয়ে বলতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশ পেসার রুবেল হোসেন অনুর্ধ্ব-১৯ সময়ের অবতারণা করেন। রুবেলের কথায়, ‘আমরা জানি অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সময় কোহলি কেমন খারাপ শব্দ প্রয়োগ করত। জাতীয় দলের হয়ে তুলনায় কম স্লেজিং করে ও। তবে মাঠের তার আগ্রাসন যাই হোক। করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন খাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কসুর করছেন না কোহলি।

করোনায় দেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। আর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে সবচেয়ে মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত মুম্বই পুলিশ। যাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে। তাই সম্প্রতি মুম্বই পুলিশ ওয়েলফেয়ার ফান্ডে আর্থিক সাহায্য দান করলেন বিরাট ও অনুষ্কা। দু’জনেই ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন বলে শনিবার মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

খবর কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।

আইপিএল বাতিল হলে কত টাকা ক্ষতি হবে বিসিসিআই’র?

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

ভিলেন করোনা ক্রিকেটপ্রেমীদের থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কেড়ে নিয়েছে আইপিএল। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রশ্নই উঠছে না। যা পরিস্থিতি তাতে এবছর ভারতে আইপিএল অনুষ্ঠিত হওয়া একপ্রকার অসম্ভব। শেষপর্যন্ত যদি এই কোটি টাকার টুর্নামেন্ট বাতিল করতে হয়, তাহলে কোটি কোটি টাকার লোকসান হবে ভারতীয় বোর্ডের। এমনটাই বলছেন বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমল।

করোনার জেরে সব শিল্পই কমবেশি প্রভাবিত। ব্যতিক্রম নয় ক্রিকেটও। অধিকাংশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাতিল। অধিকাংশ বোর্ডই সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তির নবীকরণ করতে পারেনি। যার জেরে শুধুমাত্র বিসিসিআই এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ছাড়া আর সব বোর্ডের অবস্থা শোচনীয়। এদিকে এখনও পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে আছে আইপিএল। যা কিনা ভারতীয় বোর্ডের রোজগারের মুল উৎস। এহেন মেগা টুর্নামেন্ট বাতিল হলে বোর্ড যে চাপে পড়বে তা মেনে নিচ্ছেন কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমল। তিনি বলছেন, ‘বোর্ড ধরেই নিচ্ছে বিরাট অংকের রোজগার কমবে। যদি আইপিএল না হয়, তাহলে লোকসানের অংকটা ৪ হাজার কোটি ঃটাকা পর্যন্ত হতে পারে।’

শুধু আইপিএল নয়, অন্য ম্যাচগুলি বাতিল হওয়ার ফলেও মোটা লোকসান হচ্ছে বোর্ডের। ধূমল অবশ্য এখনই হিসেব কষে বলতে পারছেন না মোট লোকসানের পরিমাণ কত হবে। তিনি বলছেন,‘আমরা জানি না এবছর আইপিএল আদৌ হওয়া সম্ভব কিনা। আমরা লোকসানের অংকটা তখনই পুরোপুরি বুঝতে পারব যখন জানব ঠিক কটা ম্যাচ বাতিল হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, করোনার আর্থিক ধাক্কা সামলাতে কর্মী ছাঁটাই করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের বেতন কমিয়েছে। তবে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ বলছেন, আমরা শেষপর্যন্ত চেষ্টা করব, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ না করার। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই হিসেব-নিকেশ করে দেখতে হবে লোকসানের অংকটা কত।

খবর সংবাদপ্রতিদিন’র।

খেলাই পারে মানুষের হারানো মনোবল ফিরিয়ে আনতে : পিটারসেন

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

সশরীরের না হলেও অনুরাগীরা মন থেকেই উপস্থিত থাকবেন স্টেডিয়ামে। বিশ্বের মানুষ এক অভূতপূর্ব পরিস্থিত মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের মনোবল একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। খেলাধুলাই পারে মানুষের সেই হারানো মনোবল ফিরিয়ে আনতে। জানালেন প্রাক্তন তারকা ইংরেজ ক্রিকেটার কেভিন পিটারসন।

মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর নিজেদের দেশে ফুটবল চালু করার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে স্পেন, জার্মানির মতো দেশগুলি। একইভাবে নিরাপত্তার দিকটি সম্পূর্ণ সুনিশ্চিত করে বাইশ গজেও খেলা ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী পিটারসন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে অনুরাগী, সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়ানোর দায়িত্ব আমাদের। প্রত্যেকেই খুব নেতিবাচক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একমাত্র খেলাধূলোর মাধ্যমে তাকে মনোবল ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।’ তবে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে না আসা অবধি ফাঁকা গ্যালারিতেই খেলা চালু করার পক্ষে সায় দিয়েছেন তিনি।

ডেইলি মেল’কে পিটারসন জানিয়েছেন, ‘স্টেডিয়ামে অনুরাগী না থাকাটা কোনও ইস্যু হতে পারে না। টেলিভিশন ব্রোডকাস্টিংয়ের মাধ্যমেও সংস্থাগুলো তাদের রেভিনিউয়ের পথ সুনিশ্চিত করতে পারে।’ প্রাক্তন ক্রিকেটারের আরও সংযোজন, ‘বেশ কিছু ক্রিকেটার যারা কেরিয়ারের মূল্যবান সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাদের দিকটাও ভেবে দেখতে হবে। দর্শক স্টেডিয়ামে থাকবে না তো কী হয়েছে। ঘরে বসে ব্রডকাস্টিংয়ের মাধ্যমে তো তারা থাকছেনই।’

সম্প্রতি পিটারসনের কথার সূত্র ধরে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে ক্রিকেট চালুর পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের নায়ক বেন স্টোকসও। তার কথায়, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ক্রিকেট শুরু হলে তাতে ক্রিকেটের সার্বভৌমত্ব কোনওমতেই ক্ষুণœ হবে না।

উল্লেখ্য জার্মানি, স্পেন, তুরস্কের পর এবার দেশে ফুটবল ফেরানোর ব্যাপারে সোমবার উদ্যোগী হয়েছে ব্রিটেনের সরকারও। বেশ কিছু সেক্টরের কাজ শুরুর বিষয়ে সোমবার দুপুরে ৫০ পাতার একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যেখানে প্রিমিয়র লিগ শুরু হয়্যার বিষয়টি সবুজ সংকেত পেয়েছে। মনে করা হচ্ছে জুনের শুরু থেকেই পুনরায় শুরু হবে ইংলিশ প্রিমিয়র লিগ।

এ মুহূর্তের সংবাদ

এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ম না মানার প্রবণতা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আটক

মৌসুমী, ফারিয়া ও সাবিলা নূরসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

সাত পুলিশ সুপারকে বদলি

ইরানে মার্কিন হামলায় কোন দেশ কী বলছে?

ইসি সংস্কার ও নতুন কমিশনের অধীনে নির্বাচন চায় এনসিপি

সর্বশেষ

এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ম না মানার প্রবণতা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আটক

মৌসুমী, ফারিয়া ও সাবিলা নূরসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

সাত পুলিশ সুপারকে বদলি

ইরানে মার্কিন হামলায় কোন দেশ কী বলছে?