নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। সোমবার (৭ জুলাই) নগরীর ইপিজেড, পতেঙ্গা, পাঁচলাইশ, ডবলমুরিং ও কোতয়ালী থানা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে ৯ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে মেয়াদ উত্তীর্ণ চকোলেট, কেক অননুমোদিত ওষুধ ও নকল চেরি ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় চালানো অভিযানে নগরীর ইপিজেড থানার সিজল এর পরিবেশক জসিম ফুডসকে মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশু খাদ্য (চকোলেট) ও বার্থডে কেক রাখায় ৫ হাজার, একই এলাকার মাসুদা মেডিসিন শপকে স্যাভলনের মূল্য ঘষামাজা করে বেশি দামে বিক্রয় করায় ১০ হাজার, পতেঙ্গা থানার কাটগড় বাজারের নাহার বেকারিকে নকল চেরি ব্যবহার ও ছাপা সংবাদপত্র ব্যবহার করে বেকারি পণ্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার, একই বাজারের ফরায়েজী স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ এলাকার মেসার্স নিরাময় ফার্মেসিকে অননুমোদিত ওষুধ সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার, একই এলাকার অপটিক্যাল পয়েন্টকে মেয়াদ বিহীন স্যানিটাইজার রাখায় ৩ হাজার, কাজীর দেউড়ী বাজারের রফিকের মাংসের দোকানকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার, আগ্রাবাদ এলাকায় বেশি দামে স্যাভলন বিক্তয়ের প্রস্তাব করায় ফুটপাতের বিক্রেতা আইয়ুবকে ২ হাজার, একই এলাকার সাকিব সু স্টোরকে ফুটপাতে রেখে বেশি দামে স্যানিটাইজর বিক্রয়ের প্রস্তাব করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।