সুপ্রভাত ডেস্ক :
পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেছেন করোনার মৃত্যু ঝুঁকি কোনো জুজুর ভয় নয়। তিনি ঈদে গ্রামে না গিয়ে যে যেখানে আছে সেখানেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঈদকে সামনে রেখে ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন তিনি।
গত পনেরই এপ্রিল আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলন করলেন বেনজীর আহমেদ।
তিনি যখন এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন সেই সময়ে ঈদকে সামনে রেখে নির্দেশনা অমান্য করে ঢাকা থেকে গ্রামে যাওয়া মানুষের ঢল থামাতে কয়েকদিন ধরে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন আছেন, আর মারা গেছেন নয়জন।
মিস্টার আহমেদ দেশবাসীর উদ্দেশ্য বলেছেন যে যেখানেই আছেন সেখানেই অবস্থান করুন। দয়া করে দেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলবেননা।
তিনি বলেন এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ২৪টি জেলা করোনামুক্ত ছিলো। যখনি নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর থেকে মানুষ বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গেলো সঙ্গে সঙ্গে পুরো দেশ আক্রান্ত হয়ে গেলো। আবার যদি এভাবে ছুটে যাওয়া হয় তাহলে দ্বিতীয় দফা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
“আপনারা কিন্তু করোনাদূত হয়ে পরিবার, গ্রামবাসীর কাছে উপস্থিত হবেন। শুধু করোনা হয় আপনি মৃত্যুদূত হয়েও পরিবার বা গ্রামবাসীর কাছে আবির্ভূত হতে পারেন। আদরের পরিবার, কাছের জন, গ্রামবাসী, শহরবাসীকে বিপদে ফেলবেন না”।
সবার কাছে সহযোগিতা চেয়ে মিস্টার আহমেদ বলেন, “যেখানে চেকপোস্ট দেয়া হয়েছে সেখানে থেমে যান, ফিরে আসুন। আসেন আমরা দেশকে নিরাপদ রাখি। এই ঈদে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেও আগামী ঈদুল ফিতর যেনো পরিবারের সাথে উদযাপন করতে পারি সেই পথকে যেনো উন্মুক্ত রাখি”।
তিনি বলেন সরকারের এই পলিসি বা নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন এই মূহুর্তে ফেরিঘাটে তিন নম্বর সিগন্যাল। তারপরও মানুষ লঞ্চ, ট্রলার যোগে চোরাপথে পার হওয়ার চেষ্টা করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ডাবল ঝুঁকি নিচ্ছেন কিন্তু আপনি।
শপিং করার সময় স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মার্কেট সমিতি, সেলসপারসন ও যিনি কিনবেন সবাই এটি মেনে শপিং করবেন। পাঁচ দোকান দেখে, দশ দোকান দেখে- এক দোকান থেকে কিনবেন এটা পরিহার করা ভালো হবে।শপিংয়ের বেলায় সতর্ক থাকবো যাতে এটাই জীবনের শেষ শপিং না হয়”।
আইজিপি বলেন করোনার মৃত্যু ঝুঁকি কিন্তু সত্যি ঝুঁকি, এটি জুজুর ভয় নয়। এটি রিয়েল থ্রেট। সেকারণে মার্কেটে ঢোকার বেলায় যে সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হয়েছে তা বিক্রেতা ও ক্রেতা মেনে চলবে।
তিনি বলেন এগুলো মেনে চললে বৈশ্বিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে জাতি, জনগণকে তুলনামূলকভাবে ভালো সুরক্ষা দেয়া যাবে।