নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপের কারণে ডেক্সড্রোজ নরম্যাল স্যালাইনের (ডিএনএস) ও আইভি স্যালাইন চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগকে পুঁজি করে স্যালাইনের দাম বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এমনই অভিযোগে নগরে অভিযান পরিচালনা করে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা ৬৭ টাকার স্যালাইন ১৫০ টাকা, ৮৭ টাকার স্যালাইন ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গেইটের ফামের্সিতে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৪ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, অতিরিক্ত দামে স্যালাইন বিক্রি করায় মেডিসিন জোনকে ৫০ হাজার টাকা, শাহাদাত ফার্মাকে স্যালাইন মজুত থাকার পরও স্যালাইন বিক্রি না করায় ৫০ হাজার টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয়ের কারণে সাথী ফার্মেসি ও জীবন ফার্মা এন্ড সার্জিক্যালসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান নিয়ে ভাক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি চমেক হাসপাতালের কৃত্রিম স্যালাইন সংকট সৃষ্টি করেছে ব্যবসায়ীরা। অনেকে ফার্মেসিতে স্যালাইন নেই বলেন, আবার অনেকে বেশি দামে বিক্রি করেন। এই অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে আমরা ক্রেতা সেজে দেখতে পায় আধ লিটার নরম্যাল স্যালাইনের মূল্য ৬৭ টাকা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এক লিটার নরম্যাল স্যালাইনের দাম ৮৭ টাকা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। গত এক মাস ধরে বাজারে এমন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রোগীদের হয়রানি করছেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও বলেন, বেশি দামে ওষুধ বিক্রি, ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যখনই আমাদের কাছে এমন অভিযোগ আসবে তথন আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তবে ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে তাদের। একটি সিন্ডিকেট এটির দাম বাড়িয়ে রোগীদের হয়রানিতে ফেলছেন। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে তো বিক্রি করতে হবে।’