সুপ্রভাত ডেস্ক »
নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এটি পেশ করেন। এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে ‘টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’।
বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর কিছুক্ষণ আগে মেরুন রঙের ব্রিফকেস নিয়ে বাজেট অধিবেশনে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আয় করতে হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়া আয়, মুনাফা ও মূলধনের ওপর কর ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজনের করের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক ৬৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, আমদানি শুল্ক ৪৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক ৭০ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক ৫ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।
কর ব্যতীত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআর বহির্ভূত করের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক বরাদ্দের মধ্যে জনপ্রশাসন খাতে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ৪৭ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা, কৃষিতে ৪৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগে ৮২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৩ হাজার ২০৮ কোটি টাকা।
এছাড়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় ৩৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা এবং শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতের জন্য ৫ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে।
বাজেট বক্তৃতায় চলমান অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এর আগে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন তিনি। এর আগে এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে বাজেট সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপনের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।