নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরের বাজারগুলোতে বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হলেও বাজারে অস্থিরতা কাটছে না। গতকাল বুধবার নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ডজন প্রতি ডিম বিক্রি করেছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। আর তা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ১৬৫ টাকার উপরে।
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, অস্থির হওয়া ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মধ্যস্বত্ব কারবারি ও আড়তদারেরা। পাইকারি পর্যায়ে এখনো ডিম বিক্রি করছে শতপ্রতি ১ হাজার ১৮০ টাকায়। সরকারিভাবে নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। যদি উৎপাদক পর্যায় থেকে ডিমের দাম কমানো যায়, তাহলে বাজারে নির্ধারিত দামে ডিম পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ডিমের দাম অস্থিরতা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার কারণে সাত ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী বাজারে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন হক।
অভিযানে চৌমুহনী বাজারের জে আলম ব্রাদার্সকে ১ হাজার, হালাল শপকে ১ হাজার, জনপ্রিয় স্টোরকে ১ হাজার, জিলানী স্টোরকে ১ হাজার, নাসফিকা ট্রেডার্সকে ২ হাজার, আমিন এন্টারপ্রাইজকে ২ হাজার ও রাজ এন্টারপ্রাইজকে ২ হাজার টাকাসহ মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন হক বলেন, ডিমের মূল্য তালিকা না রাখা ও সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি না করার কারণে সাত ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাজারের অস্থিতিশীলতা টেকাতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তাছাড়া ডিমের বাজার অস্থিতিশীলের পর ১২ আগস্ট ও ১৫ আগস্ট পর পর দুটি অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থাটি। এসব অভিযানে মূল্য তালিকা না থাকা ও ক্রয়-বিক্রয় রশিদে গড়মিল পাওয়ায় পাহাড়তলী বাজারের জান্নাত ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা ও জৈনপুর ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তাছাড়া আরেক অভিযানে একই বাজারের আল আমিন ডিমের আড়ত নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকাসহ দুই অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।