নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘড়ির কাটায় তখন সাড়ে ১০টা। চট্টগ্রাম-১০ আসনের ১৫৪ নম্বার ভোটকেন্দ্র হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চ বিদ্যালয় ভোটার শূন্য। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল নিয়ে যেতে আপত্তি জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে সমঝোতা। এর মধ্যে কেন্দ্রে লাঠি ভর দিয়ে প্রবেশ করে নুরুল ইসলাম, বয়স ৭৫। তিনি কোন দিকে গিয়ে ভোট দিবেন জানতে চাইলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুইজন সদস্য তাকে নিয়ে যান বুথে। ভোট দেওয়া শেষে কেন্দ্র থেকে বের হন তিনি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে যখন ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটার শূন্য, তখন ভোট অধিকার আদায় করতে কেন্দ্রে আসতে দেখা যায় বৃদ্ধ নুরুল ইসলামকে। বেশ হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পরে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে আসেন তিনি।
ভোট দেওয়া শেষে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের পর থেকে আমি সবগুলো ভোট দিয়েছি। এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমার মতামত যদি ভোট দিয়ে জানাতে না পারি, তাহলে নাগরিকত্বের তো মূল্য থাকে না। তাই আমি ভোট দিই। বয়স হয়েছে, অসুস্থও। এরপরও একজনকে নিয়ে ভোট দিতে চলে এসেছি।’
ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ঢুকে মাত্রই ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছি। আগে লাইন ধরে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এরমধ্যে নানা বিষয়ে তর্ক ও মারামারি হতো। এখন এসব নেই। ভোটার কম তাই ঝামেলাও নাই। ঝামেলা হলে এ বয়সে ভোট দেওয়া খুব কষ্টকর হতো। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়েছি, এরপরও আনসার সদস্যরা আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।’