সুপ্রভাত ডেস্ক
রফতানি বাড়াতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি পণ্যের জন্য নগদ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। ২০২৩ অর্থবছর অনুযায়ী, রফতানিকারকরা ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে এই নগদ সহায়তা পাবেন। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৪৩টি পণ্য রফতানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাবে। এই ৪৩টি পণ্য গত বছরও একই রকম সহায়তা পেয়েছিল। খবর ঢাকামেইল’র।
সার্কুলার অনুযায়ী, দেশীয় বস্ত্র খাত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য, নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে রফতানি, তথ্যপ্রযুক্তি বা আইসিটি খাতের ব্যক্তিগত ফ্রিল্যান্সারদের সেবা ও পণ্য, কৃষিপণ্য এবং দেশে উৎপাদিত চা, বাইসাইকেল, এর যন্ত্রাংশ, এমএস স্টিল, সিমেন্ট শিট রফতানিতে ৪ শতাংশ সুবিধা দেওয়া হবে। এর বাইরে ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে বস্ত্র খাতের রফতানিকারকদের অতিরিক্ত আরও ২ শতাংশ সুবিধা দেওয়া হবে। ফলে তারা স্বাভাবিক ৪ শতাংশসহ মোট ৬ শতাংশ সহায়তা পাবেন। তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকারকদের বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ১ শতাংশ। তবে এটি সব খাতে প্রযোজ্য নয়।
কৃষিপণ্য, শাক-সবজি, ফলমূল, প্রক্রিয়াজাত করা কৃষিপণ্যে ২০ শতাংশ ও হালকা প্রকৌশল পণ্য রফতানিতে ১৫ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। পাট খাতে তিনভাবে সহায়তা দেওয়া হবে। এর মধ্যে বৈচিত্র্যকৃত পাটপণ্যে ২০ শতাংশ, পাটজাত চূড়ান্ত পণ্যে ১২ শতাংশ ও পাট সুতায় ৭ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। ওষুধ জাতীয় পণ্য, মাংস ও প্রক্রিয়াজাত করা মাংস রফতানিতে ২০ শতাংশ, হিমায়িত চিংড়িতে ৭ থেকে ১০ শতাংশ, হিমায়িত মাছ রফতানিতে ২ থেকে ৫ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে ১৫ শতাংশ, সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে অবস্থিত কারখানা বা বাইরের কারখানার মধ্যে যাদের নিজস্ব বর্জ্য পরিশোধন কারখানা রয়েছে সেগুলোতে উৎপাদিত ক্রাস্ট ও ফিনিশড চামড়া রফতানিতে ১০ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। কৃষিপণ্য আলু ও পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত পার্টিকেল বোর্ড রফতানিতে ২০ শতাংশ, ফার্নিচারে ১৫ শতাংশ, শস্য ও শাক-সবজির বীজ, আগর ও আতর রফতানিতে ২০ শতাংশ, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারিতে ১৫ শতাংশ, সিনথেটিক ও ফেব্রিক্সের মিশ্রণে তৈরি জুতা ও ব্যাগ রফতানিতে ১৫ শতাংশ, দেশে উৎপাদিত কাগজ ও কাগজ জাতীয় পণ্য, দেশে তৈরি সফটওয়্যার, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও হার্ডওয়্যার, প্লাস্টিক দ্রব্য রফতানিতে ১০ শতাংশ। ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের মধ্যে মেডিকেল ও সার্জিক্যাল পণ্য, হাতে তৈরি পণ্য, গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি, রগ, শিং থেকে তৈরি পণ্য, পেট বোতল, পেট বোতল থেকে তৈরি পলিইস্টার স্টাপল ফাইবার, ফটোভোলাটিক মডিউল, মোটরসাইকেল, রাসানিক পণ্য, রেজার ও রেজার ব্লেডস, সিরামিক পণ্য, টুপি, কাঁকড়া ও কুচে, বিভিন্ন ধাতব পণ্য, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও কিচেন পণ্য, জাহাজ রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। চাল রফতানিতে ১৫ শতাংশ, বিশেষায়িত অঞ্চল বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্কে অবস্থিত কারখানাগুলোর তৈরি পোশাক, কৃষি পণ্যে ৪ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। এর আগে এ বিষয়ে একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে। এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই সার্কুলার জারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ নগদ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে। রফতানিকারকরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে ঘোষিত নগদ সহায়তা রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে সহায়ক হবে।



















































