নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘আমাদের যুক্তি ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়টা যদি আমরা করি ,চট্টগ্রামে শিল্পের যে চাহিদাটা আছে , ফিউচারে যে চাহিদাটা হতে যাচ্ছে, এক্সপার্টাইজ চাহিদা যেভাবে বাড়ছে সেসবের যথাযথ যোগান দেওয়া। চট্টগ্রামের শিল্পের মূল্য আমেরিকায় কমে গেছে। আমাদের মার্কেট শেয়ার ৩৫% থেকে ১৩% এ নেমে এসেছে। আমরা কি আরো নামাতে চাই? এক পর্যায়ে আমাদের শিল্প টেকনিক্যাল এক্সপার্টাইজারের অভাবে শিল্প ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মিরসরাইয়ের শিল্পনগরীতে আগামী ৫ বছর পর হাজার হাজার এক্সপার্টাইজার প্রয়োজন হবে। সেই লেখাপড়া জানা আধুনিক প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ মানুষ কই? সুতরাং বিশেষায়িত কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই।’
চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উদ্বোধনী সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির চেয়ারম্যান মো.নাছির উদ্দিন চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি এ বিষয়ে আরো যোগ করেন ,‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি হয়ে ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর আমাদের সিবিইউএফটি স্থাপন ও পরিচালনার পূর্ণাঙ্গ অনুমতি পাই। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রী যেন দেশে ও বিদেশে তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারে। তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারে। আমরা এ ক্ষেত্রে কোনো কোয়ালিটি কম্প্রোমাইজ করবোনা। এর আগে আমাদের ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি ২০২০ সালে কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। কারণ অ্যাপারেল ওয়ার্ল্ডটা এতো বেশি মর্ডানাইজড হয়ে যাচ্ছিলো যে প্রতিদিনকার কারিকুলাম আপডেট করার একটা স্বাধীনতা দরকার ছিলো। যেটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সম্ভব হচ্ছিলো না। তখন বিজিএমইএ এর সিনিয়র মেম্বারেরা মিলে ইউজিসির (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) অধ্যাদেশ মেনে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করি। ২০২২ সালের শুরুর দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাই। তিনি আরো বলেন ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতির ১ম সূতিকাগার সিবিইউএফটি।
গতকাল দুপুর ১২টায় দক্ষিণ খুলশীর বিজিএমইএ ভবনে চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি ( সিবিইউএফটি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এস.এম.আবু তৈয়ব, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, এ এম চৌধুরী সেলিম, মোহাম্মদ ফারহাত আব্বাস, মো .এম মহিউদ্দিন চৌধুরী , এস.এম সাজেদুল ইসলাম, সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম, এম এহসানুল হক,অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল করিম ।
মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পর্কে বলেন,‘চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের ভর্তি র্কাযক্রম শুরু হবে। মার্চে ১ তারিখ হতে আমরা ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার র্কাযক্রম শুরু হবে। বর্তমানে ২টি অনুষদে ২টি করে বিভাগ রয়েছে। সেখানে ভর্তি চলছে। শুরুতে আমরা প্রতি বিভাগে ৩৫জন করে মোট ১৪০জন শিক্ষার্থী ভর্তি নিচ্ছি। আগামীতে ‘ফ্যাকাল্টি অব টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামে একটি অনুষদ চালুরও পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা মোট ৬টি বিভাগের ৩টি অনুষদের অনুমোদন পেয়েছি।
২২ জানুয়ারি টাইগারপাসস্থ নেভি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।