সুপ্রভাত ডেস্ক »
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেল উদ্বোধনের পর সেই সুড়ঙ্গ পথে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তিন মিনিটে আনোয়ারায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর পর আতশবাজি ফোটানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর গাড়িতে চড়ে টানেল ধরে রওনা হন আনোয়ারা প্রান্তে। পেছনে অনেকগুলো বাসে ছিলেন তার সফরসঙ্গীরা।
টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে পৌঁছে প্রথম যাত্রী হিসেবে সেখানে টোলে দেন সরকারপ্রধান। টোল কালেক্টর ঝুমুর আক্তার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে টাকা নিয়ে রশিদ দিলে হাত তুলে তা দেখান শেখ হাসিনা। খবর বিডিনিউজের।
টানেলের আনোয়ার প্রান্তে বেরিয়ে নদীতে আরেকটি ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে কোরিয়ান ইপিজেড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেন।
এ টানেলের মাধ্যমে শিল্পঘেরা কর্ণফুলীর দুই পাড়ের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হচ্ছে, সংযোগ হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের। তাতে গতি পাবে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য।
কর্ণফুলী নদীর একপাড়ে বন্দর নগরী, অন্যপাড়ে আনোয়ারা উপজেলার শিল্প এলাকা। ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ার উচ্চাভিলাসী লক্ষ্য নিয়ে বানানো এই টানেলের মাধ্যমে এই দুই পাড় যুক্ত হল। পথ খুলল বিশ্বমানের যোগাযোগের। চট্টগ্রাম বন্দর নগরীকে চীনের সাংহাই এর আদলে গড়ে তোলার যে উচ্চভিলাসী লক্ষ্য সরকারের ছিল, তার একটি বড় পদক্ষেপের বাস্তবায়ন হল নদী তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।