সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
লকডাউন পরবর্তী সময় লা লিগায় কোমর বেঁধেই নেমেছিল তারা। বার্সেলোনা একাধিক ম্যাচে পয়েন্ট খুঁইয়ে তাদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল বটে, কিন্তু সে দিকে ভ্রুক্ষেপ ছিল না জিদানের ছেলেদের। বরং রামোস, বেনজেমারা নিজেরা মত্ত ছিলেন ম্যাচ জয়ের নেশায়। এই যেমন শুক্রবার বার্সেলোনা পয়েন্ট খোয়ালেই খেতাব নিশ্চিত ছিল তাদের। ন্যু-ক্যাম্পে বার্সা পয়েন্ট খোয়ালোও, তবু নিজেদের লক্ষ্যে স্থির রিয়াল মাদ্রিদ।
আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে ভিল্লারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দু’মরশুম পর ফের স্পেনের সেরা ক্লাবের শিরোপা উঠল রিয়াল মাদ্রিদের মাথায়। এই নিয়ে ৩৪ বার। ফুটবলার হিসেবে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের জার্সি গায়ে মাত্র একবারই লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। তবে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হিসেবে দু’বার শিরোপা জেতা হয়ে গেল ফরাসি কিংবদন্তির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তুলনায় মরশুমের শুরু থেকেই লা লিগাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন জিদান। লকডাউন পরবর্তী সময় দলের পারফরম্যান্সেই স্পষ্ট যে বার্সার চেয়ে দু’পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও লকডাউনে বসে লিগ জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় হোমওয়ার্কটা ভালোই সেরে রেখেছিলেন ‘জিজু’।
এদিন ম্যাচের আগে জিদান ভিল্লারিয়ালকে তাদের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে বর্ণণা করলেও ম্যাচের প্রথমার্ধ দেখে সেটা বোঝার উপায় ছিল না। তিনকাঠির নীচে কার্যত নিশ্চিন্তেই প্রথমার্ধটা কাটালেন থিবো কুর্তোয়া। যেটুকু খেলা হল ভিল্লারিয়াল অর্ধেই। ২৯ মিনিটে লুকা মদ্রিচের পাস থেকে বিপক্ষ গোলরক্ষককে নাটমেগ করে লিগের তার ২০তম গোলটি করেন বেনজেমা। দ্বিতীয়ার্ধে ভিল্লারিয়াল রক্ষণভাগের এক খেলোয়াড় বক্সের মধ্যে রামোসকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় রিয়াল। কিন্তু পেনাল্টি নেওয়ার ক্ষেত্রে নাটক সৃষ্টি হয়। সরাসরি গোল করার পরিবর্তে রামোস এক্ষেত্রে পেনাল্টি স্পটে বল বসিয়ে পাস দেন সতীর্থ বেনজেমাকে।
জোরালো শটে বেনজেমা বল জালে রাখলেও ভিএআরের সাহায্যে সেই গোল বাতিল করে রিয়াল মাদ্রিদকে পুনরায় স্পটকিক নেওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। সেখান থেকে ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোলটি করেন ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমা। রিয়ালের দ্বিতীয় গোলের পর হঠাৎই কিছুটা ম্যাচে ফেরে ভিল্লারিয়াল। ৮৩ মিনিটে মারিও গ্যাসপারের ক্রস থেকে দর্শনীয় হেডে বল জালে রাখেন ভিনসেন্ট ইবোরা। যদিও তাতে রিয়ালের জয় আটকায়নি। শেষ লগ্নে আসেনসিওর একটি গোল ভিএআরের সাহায্য নিয়ে বাতিল করেন রেফারি। নইলে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ত রিয়াল মাদ্রিদের।
২-১ গোলে ম্যাচ জিতে খেতাব জয় নিশ্চিত হয়ে যায় জিদানের দলের। অন্য ম্যাচে ন্যু-ক্যাম্পে ওসাসুনার কাছে ১-২ গোলে হেরে গিয়েছেন লিওনেল মেসিরা। সবমিলিয়ে অপেক্ষা আর দীর্ঘায়িত না করে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই খেতাব হাতে তুলে নেয় রামোস অ্যান্ড কোম্পানি। ৩৭ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের ঝুলিতে ৮৬ পয়েন্ট।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।