সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশে প্রথমবারের মতো ২৯ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদানকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ তথ্য জানিয়ে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরা এবং ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জসমূহ খুঁজে বের করে তা মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ করতেই এই সম্মেলন। এ সময় ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।
ভূমিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে জাতীয় ভূমি সম্মেলন ২০২৩ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৭টি উদ্যোগের উদ্বোধন করার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, ৭টি উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্থাপন করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স। বাকি ৬টি উদ্যোগ হচ্ছে- রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ, স্মার্ট ভূমি নকশা, স্মার্ট ভূমি রেকর্ডস, স্মার্ট ভূমি পিডিয়া, স্মার্ট ভূমিসেবা কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
মন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় ভূমি সম্মেলনের অন্যান্য লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে নাগরিক, সরকারি সংস্থা, অংশীজনদের অবহিত করানো, তাঁদের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ভূমি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে ধারণা দেয়া।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে এক অভূতপূর্ব ভূমি সংস্কার কার্যক্রম চলছে। ভূমি সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে ই-নামজারি, ডিজিটাল ভূমি উন্নয়ন কর, ১৬১২২ কলসেন্টার, সোশ্যাল মিডিয়া ও কিয়স্কের মাধ্যমে ভূমিসেবা, ডিজিটাল সার্ভে, অনলাইনে জলমহালের আবেদন, ল্যান্ড ডাটা ব্যাংক, মর্টগেজ ডাটা ব্যাংক। এছাড়া ভূমি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন প্রণয়নের কাজ চলছে, সেইসাথে চলছে পুরোনো আইন যুগোপযোগীকরণের কাজ। এসবের বেশকিছু স্বীকৃতি পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়, যেমন ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, উইসিস পুরস্কার, ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার এবং বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক অর্জন।
মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপর দেশের জনগণের আস্থা ফিরে আসছে -এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন’। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করছেন দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় সত্যিই এক ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন অপরাহ্নে ও পরবর্তী দুই দিন ‘স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনায় মাঠ প্রশাসন’, ‘সায়রাত ও খাসজমি ব্যবস্থাপনা’, ‘অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা, সরকারি মামলা ও সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ’ শীর্ষক চারটি সেমিনার বা প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হবে।