সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
ইউক্রেনকে উড়িয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল ইংল্যান্ড। দারুণ আধিপত্য বিস্তার করে খেলা গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা ৪-০ ব্যবধানে জয় পায়।
দলের হয়ে জোড়া গোল করেন হ্যারি কেইন। এছাড়া হ্যারি ম্যাগুইর ও জর্ডান হেন্ডারসন একটি করে গোল পান। ২৫ বছর পর ইউরোর শেষ চারে উঠল ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে ঘরের মাঠের আসরে সেমিফাইনাল খেলেছিল দলটি।
শনিবার বাংলাদেশ সময় রাতে ইতালির রোম শহরের স্তাদিও অলিম্পিকোতে শেষ আটের ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুদল। তবে আক্রমণাত্মক শুররু করা ইংলিশরা ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই লিড নেয়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুজন ফুটবলারকে কাটিয়ে রাহিম স্টারলিং বল সামনের দিকে ঠেলে দেন। আর ফঁকায় বল পেয়ে একা থাকা ইউক্রেন গোলরক্ষক হিওরি বুশচানকে পরাস্থ করতে কোনো সমস্যা হয়নি কেইনের। অবশ্য ১৭তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল ইউক্রেন। কাইল ওয়াকারের থেকে বল পেয়ে যান প্রতিপক্ষের রোমান ইয়ারেমচুঙ্ক। তবে জন স্টোনসকে কাটিয়ে শট নিলেও গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড সেভ করেন। ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো ইংলিশরা। স্টারলিংয়ের কাট-ব্যাক থেকে পোস্ট থেকে ২০ গজ দূরত্বে বল পান ডিক্ল্যান রাইস। তিনি দারুণ এক শট নিলেও ইউক্রেন গোলরক্ষক দলকে বাঁচান। পাঁচ মিনিট পর আরও বড় সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। লুক শ ফাঁকায় থাকা জাডোন সাঞ্চোর দিকে বল পাস করেন। তবে তার করা শট সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে জমা পড়ে। যদিও শ’র শটটি ভিএআর এ দেখে নিশ্চিত হয় তিনি অফসাইড ছিলেন না। ফলে গোল হলে লিড বাড়তো দলটির।
প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান কমানের সুযোগ এসেছিল ইউক্রেনের। মায়কোলা শাপারেঙ্কোর শট অল্পের জন্য গোলে পরিণত হয়নি।
বিরতির পর প্রথম মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইংলিশরা। শ’র ফ্রি-কিক থেকে হ্যারি ম্যাগুইরের শক্তিশালী হেড লক্ষভেদ করে জালে। চার মিনিট পরেই কেইনের জোড়া গোল পূর্ণ হওয়ার মাধ্যমে ব্যবধান ৩-১ করে ইংল্যান্ড। স্টারলিং ব্যাক-হিল করে শ’র দিকে বল পাস করেন। সেখান থেকে এই লেফট-ব্যাক ক্রস করলে টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ড হেডের মাধ্যমে গোলটি করেন। ৬৩তম মিনিটে নিজেদের চতুর্থ গোল করে ইউক্রেনকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় ইংল্যান্ড। ম্যাসন মাউন্টের ক্রস থেকে জালের কাছে থাকা জর্ডান হেন্ডারসন হেড দিয়ে গোল করেন। জাতীয় দলের হয়ে ৬২তম ম্যাচে এসে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম গোলের দেখা পেলেন এই মিডফিল্ডার। খেলার ৭৫তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া হয় ইউক্রেনের। ২৫ গজ দূর থেকে মাকারেঙ্কো বুলেট গতির শট নিলেও পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিতে পারেননি। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় ৪-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। আগামী ৭ জুলাই লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ডেনমার্কের বিপক্ষে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংলিশরা। খবর বাংলানিউজের