সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। নগরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৮৪ হাজার পরিবারে ৫টি করে ৪ লাখ ২০ হাজার সাবান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য ২১ হাজার মানুষকে মোবাইল একাউন্টে দেওয়া হবে নগদ অর্থ সহায়তা ।
বুধবার পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের জহুর আহমদ চৌধুরী সিটি করপোরেশন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউএনডিপি’র অর্থায়নে পরিচালিত এলআইইউপিসি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উপকারভোগীদের মধ্যে জরুরি পুষ্টি খাদ্য সহায়তা ও সাবান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় নগরের ১ হাজার ৬৭৪ জন গর্ভবতী মা প্রতিমাসে জরুরি পুষ্টি খাদ্য ডিম, তেল এবং ডাল সহায়তা পেয়ে আসছে। এভাবে নগরে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সেবা সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করলে করোনা মোকাবেলা ও খাদ্যাভাব অনেকটাই লাঘব হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বে কোভিড-১৯ একটি মহামারি রূপ নিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এর দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে আমাদের দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নগরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতরা। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি ও সচেতন হওয়ার। এই সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ সরবরাহে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পও ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি আরো বলেন, দরিদ্র এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য ৩৬৪ সিডিসি ও ২১টি ওয়ার্ডের ৩৮৪টি জায়গায় হাত ধোয়ার পয়েন্ট স্থাপন করেছে। কয়েকটি এতিমখানায় ৪৫ হাজার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দরিদ্র এলাকার মানুষকে সচেতন করার জন্য লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং, ক্যাবল টিভির মাধ্যমেও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত করছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প গর্ভবতী মায়েদের জন্য ১ হাজার দিনের জরুরি পুষ্টি খাদ্যা সহায়তা দিয়ে আসছে।
সম্প্রতি ইউএনডিপি ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহায়তায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মাঝে প্রায় ৭০০শ পিপিইসহ আনুষাঙ্গিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোবারক আলী, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান চৌধুরী, টাউন ফেডারেশনের চেয়ারপারসন কোহিনূর আক্তারসহ এলআইইউপিসি প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর