একদিনে মারা গেলেন ৬ জন #
নতুন শনাক্ত ২৯৫ জন, সুস্থ ১৪ জন #
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কোতোয়ালীতে ৭৮৩ জন #
নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে ৬ জন মারা গেলেন, বিপরীতে সুস্থ হয়েছে ১৪ জন। একইসাথে নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৯৫ জন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও শেভরন ল্যাবে ১ হাজার ৪৭১টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২৯৫ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ২১৬ জন মহানগরীর ও উপজেলার রয়েছে ৭৯ জন। এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৭৭২ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ২০৪ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১২৭৯ জন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৭৭ টি নমুনার মধ্যে ১৩টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮৩টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৫৬ জনের। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৫৩৪টি নমুনার মধ্যে ১১৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০৩টি নমুনার মধ্যে ২৮ জন পজিটিভ হয়েছে। শেভরনে ৮৪ টি নমুনার মধ্যে ৪৪ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৯০টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৩৯ জনের। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবের কোনো রিপার্ট পাওয়া যায়নি।
কোতোলীতে আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি
চট্টগ্রাম মহানগরীর করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ৬ জুলাই পর্যন্ত হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কোতোয়ালী থানায়। এর আগেও এই থানায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল। এই থানায় করোনা আক্রান্ত ৭৮৩ জন। এছাড়া পাঁচলাইশে ৭৫৭, চকবাজারে ৪৪৬, ডবলমুড়িংয়ে ৩৯৭, বায়েজিদে ৩৭৯, চাঁন্দগাওয়ে ৩৪৮, বাকলিয়ায় ৩২৯, বন্দরে ৩৬২, পতেঙ্গায় ৩২৭, ইপিজেডে ২৯০, আকবরশাহ থানায় ২৭৮, সদরঘাটে ২৩৭ এবং কর্ণফুলীতে ১৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার নতুন করে ২৯৫ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১০,৭৭২ জন। এর আগে ৬ জুলাই ২৯৭ জন, ৫ জুলাই ২৯২ জন, ৪ জুলাই ২২০ জন, ৩ জুলাই ২৬৩ জন, ২ জুলাই ২৮২ জন, ১ জুলাই ২৭১ জন, ৩০ জুন ৩৭২ জন, ২৯ জুন ৪৪৫ জন, ২৮ জুন ৩৪৬, ২৭ জুন ৬৪ জন, ২৬ জুন ১৫৯ জন, ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন (রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন (ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।