সুপ্রভাত ডেস্ক »
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ও ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ বঞ্চিত সনদধারীদের শূন্যপদে যুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীরা।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, বেসরকারি স্কুল ও কলেজের লক্ষাধিক পদে শিক্ষকের সংকট পূরণের লক্ষ্যে ২৩ সালের নভেম্বর মাসে এনটিআরসিএ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদনকারী থেকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯১১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়। সেখান থেকে লিখিত পরীক্ষায় ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয় এবং সর্বশেষ মৌখিক পরীক্ষায় ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়। আমরা যারা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি, তারা শিক্ষাদান করার জন্য রাষ্ট্রের যাচাই করা যোগ্য শিক্ষক।
‘গত ১৯ আগস্ট ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ১ লাখেরও বেশি পদের বিপরীতে মাত্র ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। যেখানে আরো প্রায় ৬০ হাজারের বেশি পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থীর নিয়োগ বঞ্চিত হয়। সর্বোচ্চ মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েও নিয়োগ না পাওয়ায় এই বিশাল সংখ্যক প্রার্থী এখন প্রচণ্ড হতাশা, মানসিক চাপসহ পারিবারিক ও সামাজিক নিগ্রহের শিকার।’
তারা আরো বলেন, এরইমধ্যে ঘোষণা হয়েছে ১৯তম শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পরিবর্তিত পদ্ধতিতে হবে। সেহেতু সনদের মেয়াদ থাকা শর্তে ১৮তম সব নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীদের সুপারিশ নিশ্চিত করার পর ১৯তম সার্কুলার দেওয়ার জন্য এনটিআরসির কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ কারণে প্রভাষক পদে বিভিন্ন বিষয়ে অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থী সুপারিশ বঞ্চিত হয়। এছাড়া স্কুল পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী বাদ পড়ে। সেক্ষেত্রে এনটিআরসিএ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্যপদ যুক্ত করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমাদের সবার সুপারিশ নিশ্চিত করুক।