নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকা চট্টগ্রামের সকল বিনোদনকেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী শনিবার থেকে সকল বিনোদনকেন্দ্র দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন।
বুধবার চট্টগ্রাম জেলা করোনাভাইরাস বিষয়ক সমন্বয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে দর্শনার্থীদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলকসহ আরো ১৫টি নির্দেশনা দিয়ে বিনোদনকেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- পার্কের প্রবেশ পথে জীবানুমুক্তকরণ ট্যানেল স্থাপন, থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, প্রবেশ পথে নিরাপদ শারীরিক দূরত্বের জন্য এক মিটার পরপর মার্কিং লাইন করা, পার্কে ময়লা ফেলার পাত্র ও স্যানিটাইজার অথবা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা।
পার্ক খোলার আগে ও পরে এবং মধ্যবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাইড, শৌচারগার জীবাণুমুক্ত করা, দর্শনার্থীরা শৌচাগার ব্যবহারের পর দরজার হাতল, বেসিন জীবানুমুক্ত করা, রাইডে দর্শনার্থীদের এক আসন পরপর বসানো এবং যে সকল রাইডে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে না সেগুলো বন্ধ রাখা।
পার্কের প্রবেশপথ ও রাইডের কাছে তিন জনের বেশি জনসমাগম করতে না দেওয়া, স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাপড় পরা নিশ্চিত করা, পার্কের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বোর্ড, লিফলেট বিতরণ করা এবং ফুড কর্নারে বসে খাওয়া দাওয়া না করা।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন জানান, দর্শনার্থীদের সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধানসহ ১৬টি শর্তে চট্টগ্রামের সব বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শর্ত মেনে আগামী শনিবার থেকে সরকারি, বেসরকারি সব বিনোদনকেন্দ্রের পাশাপাশি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতও উন্মুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, বিনোদনকেন্দ্রগুলো এসব নির্দেশনা মানছে কিনা তা তদারকি করতে একটি মনিটরিং টিম থাকবে। যদি কেউ না মানে তাহলে সে বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে।
গত ১৯ মার্চ করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম জেলার সব পিকনিক স্পট, বিনোদন পার্ক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের এই নির্দেশনার পর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়েস লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, স্বাধীনতা পার্কসহ সরকারি, বেসরকারি সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়।