সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
টি-টোয়েন্টিতে ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটি দল কত ওভারে কত উইকেট হারিয়ে জিততে পারে? এমন প্রশ্ন শুনলে যে কেউ অবাক হবেন। ১৬৬ রান করতে ১৪-১৫ ওভার তো অন্তত লাগার কথা। দু-একটি উইকেটও পড়ার কথা। কিন্তু আপনি যদি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টসের খেলা না দেখে থাকেন, তাহলে আপনাকেই বলছি, স্কোরকার্ড দেখে স্রেফ অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। ভাববেন, কেউ হয়তো স্কোর লিখতে ভুল করেছে। কিন্তু ঘটনা সত্যি। ১৬৬ রান তাড়া করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ জয় তুলে নিয়েছে মাত্র ৯.৪ ওভারে। অর্থ্যাৎ মাত্র ৫৮ বল খেলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা কোনো উইকেট না হারিয়েই। বুধবার রাতে দুই ওপেনার অভিশেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেড মিলে যে তাণ্ডবলীলা বইয়ে দিয়েছেন লখনৌ বোলারদের ওপর, তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। মাত্র ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ট্রাভিস হেড। ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অভিশেক শর্মা। শেষ পর্যন্ত ট্রাভিস হেড অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৮৯ রান করে। সমান ৮টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মেরেছেন তিনি। অর্থ্যাৎ ৮৯ রানের মধ্যে ৮০ রানই করেছেন তিনি বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি মেরে। অভিষেক শর্মা অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৭৫ রানে। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি। তার ৬৮ রানই এসেছে চার এবং ছক্কা থেকে। মাত্র ৩৪ বলে ১০০ এবং মাত্র ৫০ বলে ১৫০ রানের জুটি গড়েন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। এর আগে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে লখনৌ সুপার জায়ান্টস।
৩০ বলে ৫৫ রানে আয়ুশ বাদোনি এবং ২৬ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান। ৩৩ বলে ২৯ রান করেন লোকেশ রাহুল। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লখনৌ রয়েছে ৬ষ্ঠ স্থানে। খবর জাগোনিউজ’র