সৌদি আরব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ওপর আরোপ করা তাদের নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তুলে নিতে যাচ্ছে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ভ্রমণের লাগাম টেনে ধরতে এ স্থগিতাদেশ দেয়ার দীর্ঘ ছয় মাস পর এটা করা হচ্ছে। রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একথা জানায়। খবর এএফপি’র। সুনির্দিষ্ট তারিখের কথা উল্লেখ না করে ওই মন্ত্রণালয় আরো জানায়, সৌদি আরব আগামী বছরের ১ জানুয়ারির পর সৌদি নাগরিকদের ক্ষেত্রে আকাশ, স্থল ও নৌ পথে চলাচলের সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি পরিবেশিত এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উপসাগরীয় এ দেশের
নাগরিকরা এবং সৌদি নাগরিক না হলেও যাদের দেশটিতে বসবাসের বৈধ অনুমতি বা ভিসা রয়েছে এমন
ব্যক্তিরা করোনাভাইরসে আক্রান্ত না হলে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সৌদি আরবে প্রবেশের সুযোগ পাবে।
সরকারি ও সামরিক কর্মচারি, বিদেশি দূতাবাস কর্মী এবং চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরাসহ বিভিন্ন
‘ব্যতিক্রমী শ্রেণীর লোকজনও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাবে।
মন্ত্রণালয় আরো জানায়, সৌদি আরব পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে উমরাহ পালনের সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করবে।
দেশটি ইসলামের পবিত্র বিভিন্ন নগরীতে মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় গত মার্চ থেকে
বছরজুড়ে উমরাহ পালন স্থগিত ঘোষণা করে। করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরব গত জুলাইয়ের
শেষের দিকে একেবারে স্বল্প পরিসরে হজ পালনের আয়োজন করে। বার্ষিক এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এ বছর মাত্র ১০ হাজার মুসলিম অংশগ্রহণের সুযোগ পান। গত বছর প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালন করেছিলেন।
সৌদি আরব গত মার্চে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত ঘোষণা করে। এর ফলে বহু নাগরিক বিভিন্ন দেশে আটকা পড়ে।
সৌদি আরবে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ হাজার ২শ’ জনের বেশি লোক এ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে।
আন্তর্জাতিক