সংবাদদাতা, বাঁশখালী :
বাঁশখালীতে ১৩০০ পিস ইয়াবাসহ এক ইয়াবা বিক্রেতাকে যুবকেরা ধাওয়া করে পুলিশে ধরিয়ে দিল। গতকাল সোমবার সকাল ৮টায় বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের নাপোড়া শামশুইয়াঘোনা গ্রামের স্থানীয় আনসার কমান্ডার আব্দুল মোতালেব নামের এক যুবকের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে এলাকায় মাদক প্রতিরোধে এ কাজ করেন। গ্রেফতার হওয়া ইয়াবা বিক্রেতা কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার মৃত আব্দুল খলিলের পুত্র মো. ফরিদ (৪৫)। সে দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালীর গ্রামে-গ্রামে কতিপয় বিক্রেতার মাধ্যমে ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল।
পুলিশ জানায়, ওইদিন সকাল ৮টায় ইয়াবাবিক্রেতা মো. ফরিদ ইলিশ ও লইট্যা মাছভর্তি একটি পলিব্যাগ নিয়ে স্থানীয় ফিরোজ নামের এক ব্যক্তির বাড়ি যাচ্ছিল। ওই সময় স্থানীয় আনসার কমান্ডার আব্দুল মোতালেব, মৌলভী জাকের হোসেনসহ কয়েকজন যুবকের আচরণে সন্দিহান হলে উক্ত ফরিদকে চ্যালেঞ্জ করে। এতে সে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। তখন তার কোমরে থাকা বিশেষ বেল্টের একটি থলে থেকে ১৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনা যুবকদের মাধ্যমে জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্য শের আলী বাঁশখালী থানার পুলিশে খবর দেন। পরে উপপরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান মো. ফরিদকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।
এদিকে ফরিদের ধরে পড়ার বিষয় জানতে পেরে ফিরোজ বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। স্থানীয় ফিরোজের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ ফিরোজকে পাননি। কোনো নিকটাত্মীয় না হলেও প্রায় সময় ফরিদ স্থানীয় ফিরোজের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। ফরিদ প্রতিবার ফিরোজের বাড়িতে কিছুক্ষণ থেকে কক্সবাজার চলে যেতেন। এভাবে ফরিদ বাঁশখালীর বিভিন্ন গ্রামে ইয়াবা বিক্রেতাদের মাধ্যমে ইয়াবা বিক্রয় করে কৌশলে এলাকা ছাড়তেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘এ ব্যাপারে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। ধৃত আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’