চট্টগ্রামে টানা দ্বিতীয়দিন মারা গেলেন ৬ জন, সুস্থ ১৮ জন#
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মঙ্গলবার ৬ জন মারা যাওয়ার পর বুধবারও করোনায় ৬ জন মারা গেলেন। একইসাথে নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৫৯ জন।
বুধবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও শেভরন ল্যাবে ১ হাজার ২৬৫টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২৫৯ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ১৭৬ জন মহানগরীর ও উপজেলার রয়েছে ৮৩ জন। এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৩১ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ২১০ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন সুস্থ হওয়ায় এপর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২৯৭ জন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৭৬ টি নমুনার মধ্যে ৩৮টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ১৪ জন মহানগরীর এবং ২৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭০টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৩৯ জনের, এদের মধ্যে ১১ জন মহানগরীর এবং ২৮ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ২৩৭টি নমুনার মধ্যে ৪২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এরমধ্যে ৩৬ জন নগরীর ও ৬ জন উপজেলার। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০৬টি নমুনার মধ্যে ২৮ জন পজিটিভ হয়েছে, এরমধ্যে ২১ জন নগরীর ও ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। শেভরনে ২৪৪টি নমুনার মধ্যে ৭৪ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ৬৩ জন নগরীর ও ১১ জন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৩২টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৩৮ জনের, এরমধ্যে ৩১ জন নগরীর ও ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবের কোনো রিপার্ট পাওয়া যায়নি।
উপজেলায় আক্রান্ত ৮৩ জনের মধ্যে হাটহাজারিতে ২০ জন, রাউজানে ১৭ জন, চন্দনাইশে ৮ জন, সাতকানিয়া ও মিরসরাইয়ে ৬ জন করে, পটিয়ায় ৫ জন, লোহাগাড়া, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়ায় ৪ জন করে, বাঁশখালীতে ৩ জন ও বোয়ালখালীতে ২ জন রয়েছেন।
এদিকে গত বুধবার মঙ্গলবার নতুন করে ২৫৯ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১১,০৩১ জন। এর আগে ৭ জুলাই ২৯৫ জন, ৬ জুলাই ২৯৭ জন, ৫ জুলাই ২৯২ জন, ৪ জুলাই ২২০ জন, ৩ জুলাই ২৬৩ জন, ২ জুলাই ২৮২ জন, ১ জুলাই ২৭১ জন, ৩০ জুন ৩৭২ জন, ২৯ জুন ৪৪৫ জন, ২৮ জুন ৩৪৬, ২৭ জুন ৬৪ জন, ২৬ জুন ১৫৯ জন, ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন (কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগীসহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন (রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন (ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।