নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া :
দেশে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩৭৪ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০৫ জন এইডস রোগী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ লক্ষ্যে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সেবায় নিয়োজিত ক্লিনিক ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এইডস নির্মূলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রনজন বড়–য়া রাজন বলেন, একই সিরিঞ্জ দিয়ে শিরায় মাদক গ্রহণকারীদের মধ্যে সংক্রমণ হার ২২ শতাংশের বেশি ছিল। এখন এ হার কমে গেছে। আমরা শিরায় মাদক গ্রহণকারীদের কাউন্সেলিং করছি। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সব অন্তঃসত্ত্বা মায়ের এইচআইভি পরীক্ষা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইচআইভিতে আক্রান্ত ১০৫ জন শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে রীতিমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয়ভাবে এ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এর আওতায় গর্ভবতী মায়ের মধ্যে এইডস সংক্রমণ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বহির্বিভাগেও এইডস আইভি শনাক্ত করা হচ্ছে। বাইরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিয়মিতভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য চিকিৎসক দিয়ে নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে এইডস সংক্রমণ বাড়ছে কিনা। আমরা চাই যে ১০৫ জন রোহিঙ্গা এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে সুস্থ করে ভবিষ্যতে যেন এ রোগ বাড়তে না পারে সে ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মহিউদ্দিন মহিন বলেন, মরণঘাতি এ রোগের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার না হলেও বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এইডস এর প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার।
তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১% এর নিচে। এ হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে এবং এইডস আক্রান্তদের প্রতি সামাজিক বৈষম্য রোধে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও অন্য সংস্থাসমূহের কার্যকর ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
এ মুহূর্তের সংবাদ