সুপ্রভাত ডেস্ক »
যুক্তরাষ্ট্রর প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার।
কিসিঞ্জার ১৯৭০ দশকে দুজন প্রেসিডেনটের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রর পররাষ্ট্র নীতির প্রধান পরিচালক ছিলেন, যে সময় আমেরিকা ভিয়েতনাম যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসে, এবং কম্যুনিস্ট চীন-এর সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
বিশ্ব কূটনীতিতে কিসিঞ্জারের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী, এবং ভিয়েতনামে শান্তি স্থাপনে ভূমিকার জন্য তাঁকে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়েছিল। একই সময়, তিনি প্রবল সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন।
মধ্যপ্রাচ্যেও কিসিঞ্জার একাধিক সাফল্য অর্জন করেন, যার অন্যতম ছিল ১৯৭৫ সালে মিশর আর ইসরাইলের মধ্যে সিনাই চুক্তিতে মধ্যস্থতা। আরব-ইসরাইলি শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তাঁর কাজ ‘’শাটল ডিপ্লমেসি’’ নামে পরিচিতি পায়।
বিশ্বব্যাপী সাফল্য সত্ত্বেও কিসিঞ্জার একজন বিতর্কিত ব্যক্তি ছিলেন।
কম্বোডিয়া ও লাওসে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সম্প্রসারণ, চিলি ও আর্জেন্টিনায় সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন, ১৯৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়ার রক্তক্ষয়ী অভিযানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক নৃশংসতার বিষয়ে চোখ বন্ধ রাখা ও সমর্থন করা —এসব অভিযোগ রয়েছে কিসিঞ্জারের বিরুদ্ধে।
হাইনয আলফ্রেড কিসিঞ্জার ১৯২৩ সালের ২৭ মে জার্মানির বাভারিয়া অঞ্চলের ফুএর্থ শহরে জন্ম নিয়েছিলেন। তাঁর পরিবার ১৯৩৮ সালে নাৎসি জার্মানি থেকে পালিয়ে নিউইয়র্ক চলে আসে, এবং তাঁর নাম হাইনয-এর পরিবর্তে হেনরি করা হয়।