হৃদয়-উত্তাপে মনকে শাণিত করেন মোহীত উল আলম

খড়িমাটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা

চুয়েটে সেমিনারে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়াসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

‘কল্পনা ও ছন্দের অনবদ্য সৃষ্টি কবিতা। মোহীত উল আলমের কবিতা ছন্দবদ্ধ ও সহজ পংক্তির দীপ্ত উচ্চারণ। যা মনকে শান্তি দেয়। হৃদয়-উত্তাপে মনকে শাণিত করে। পুরো কবিতায় গল্প বলে যাচ্ছেন, শেষ পংক্তিতে একটা মোচড়। এটাই কবিতা।’
গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অবস্থিত ক্লাব কলেজিয়েট মিলনায়তনে কবি ও কথাসাহিত্যিক মোহীত উল আলমের ‘পড়ন্ত বেলায় কবিতা শতক’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা আরো বলেন, ‘কবি তার সম্পূর্ণ জীবনকে কবিতায় ধারণ করেছেন। প্রতিটি কবিতাপাঠে বোঝা যায় জীবনের হিসেব-নিকেশে একজন মানুষকে কতটা মানবিক বোধে থাকতে হয়। অকপটে ভালবাসার উজানের দিকে যেতে হয়।’
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। এসময় তাঁর জীবন ও কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন কবি ফাউজুল কবির, খুরশীদ আনোয়ার, অভীক ওসমান, হোসাইন কবির, এজাজ ইউসুফী, হাফিজ রশিদ খান, অধ্যাপক মুজিব রাহমান ও অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য। এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মাহিনুর কুদসী ইসলাম, আলোকচিত্রশিল্পী মওদুদুল আলম, কথাসাহিত্যিক আজাদ বুলবুল, কবি কামরুল হাসান বাদল, কবি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাংবাদিক ডেইজি মওদুদ, ডা. ইমরান বিন ইউনুস, কথাসাহিত্যিক বিচিত্রা সেন, ড. শ্যামল কান্তি দত্ত, অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, কবির সহোদরা নাজমাতুল আলম, কোহিনূর আক্তার, অগ্রজ বন্ধু এম ইব্রাহিম খান, ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল হক, অধ্যাপক সোলায়মান চৌধুরী ও অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ।
কবি মোহীত উল আলমের কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, মুজাহিদুল ইসলাম ও বর্ষা চৌধুরী।
উল্লেখ্য, মোহীত উল আলম সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। জন্ম চট্টগ্রাম, ১৩ই ডিসেম্বর ১৯৫২। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে অবসরগ্রহণ ও পরে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি; আরও পরে ঢাকায় ইউল্যাব (ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ)-এর কলা অনুষদের ডিন এবং ইংরেজি ও মানবিক বিদ্যা বিভাগের সভাপতি। এরপর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহের উপাচার্য। বর্তমানে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম-এর কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক।
তিনি কানাডার ‘লেইকহেড ইউনিভার্সিটি’ থেকে ইংরেজিতে দ্বিতীয়বার এমএ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাট্য-সাহিত্যের ওপর পিএইচডি করেন।
তাঁর ইংরেজি ভাষা-শিক্ষা-বিষয়ক গ্রন্থ ‘গল্পে গল্পে ইংরেজি শেখা’ ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘একুশে পুরস্কার’ লাভ করে। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কর্তৃক ২০১৫ সালে সাহিত্য-পুরস্কার পান। একই বছরে তিনি কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজোকলজি বিভাগ থেকে এমিনেন্ট টিচার সম্মাননা পান।

চুয়েটে সেমিনার

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজির উদ্যোগে “রিনিউবেল এনার্জি এডভান্সমেন্ট এন্ড ইমার্জিং ট্রেন্ডস ফর এ গ্রিনার টুমোরো” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর চুয়েটের কেদ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া । এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এর সাবেক জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মানজেরি খোরশেদ আলম।
সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক বিভাগের অধ্যাপক ড. নওশাদ আমিন এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন নরওয়ের আগডার ইউনিভার্সিটি (ইউআইএ) এর ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সুমান রুদ্র। এতে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ। সঞ্চালনা করেন ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজি এর মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জনাব পাপড়ী মিত্র।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, “এই গতিশীল বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর বিকল্প নেই। কারণ আমাদের যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখার জন্য আমাদের প্রতিনিয়তই এনার্জির দরকার হয়। আমাদের অনেক সমস্যা রয়েছে আর এই সমস্যা গুলো সমাধানের পথও আমাদেরই খুজে বের করতে হবে। সমাধানের মধ্যে অন্যতম একটি হল নবায়নযোগ্য জ্বালানী। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রগুলো নতুনত্ব পাচ্ছে আর এগুলোকে কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও এগুলো কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আগামী প্রজন্মের সবুজ ভবিষ্যৎ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং বাস্তবভিত্তিক কর্মমুখী পদ্ধতির নিবিড়ভাবে কাজ করা উচিত। একটি নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তুলতে সকলে মিলে যে যার অবস্থান থেকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।” বিজ্ঞপ্তি